রাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বহিরাগত আনার অভিযোগ

প্রতিনিধি, রাবি
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের সময় যত গড়াচ্ছে, ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে নেতাকর্মীদের এনে ছাত্রদল পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।

বিজ্ঞাপন

তাদের অভিযোগ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন। সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা আছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল বলেছিল বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

রাকসু নির্বাচনে নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মুস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ভোট শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীরা অনেক উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু সকাল থেকে সিরাজী ভবনসহ একাধিক কেন্দ্রে চিরকুট নিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দেয় ছাত্রদলের কর্মীরা। অথচ নির্বাচন কমিশন প্রচারপত্র ও চিরকুট নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছিল।

সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, কয়েকটি স্থানে ছাত্রদল, বিএনপি বহিরাগত নিয়ে প্রবেশ করেছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ এসেছেন। ছাত্রদলের সভাপতি থেকে শুরু করে তাদের অনেক নেতাকর্মী নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন। অথচ পুলিশের সাইবার টিম এগুলো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। পদক্ষেপ নেয়নি নির্বাচন কমিশনও, তারা কোনো কথাই কানে তুলছে না।

তিনি বলেন, ছাত্রদলের কর্মীরা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাদের চিরকুট দিয়েছে, কিন্তু নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নেয়নি। ভোটের শুরুতে সকালে ক্যাম্পাসে প্রবেশের ফটকগুলোতে যে কঠোর ব্যবস্থা ছিল, সেটি ক্রমেই শিথিল হতে দেখা যায়। একদিকে শিক্ষার্থীরা যখন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে, তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

ফাহিম রেজা বলেন, দুই-একটি জায়গায় ভোটাররা ভুলবশত বুথে চিরকুট রেখে আসেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উচিত সেগুলো অপসারণ করা। শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনে থাকব। কিন্তু সে জন্য যেমন খুশি তেমন করা হবে, তা তো হতে পারে না। আমাদের শিক্ষার্থীরা রোদ মাথায় নিয়ে ভোট দিচ্ছে। তাই কোনো অসঙ্গতি আমরা চাই না। তারা যাকে যোগ্য মনে করবেন ভোট দেবেন। সেটা যে দলেরই হোক। আমরা ফলাফল হওয়া পর্যন্ত কমিশনকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত