ইবিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্‌যাপিত

প্রতিনিধি, ইবি
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ১০
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ১০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও শ্রদ্ধার সাথে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মিলাদুন্নবী উদ্‌যাপন পরিষদ।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে শিক্ষার্থীরা একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করে। পরে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় মসজিদে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালি শেষে সেখানে এক দোয়া মাহফিল ও জিলাপি বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মিলাদুন্নবী উদ্‌যাপন পরিষদের আহ্বায়ক কাজী আহবাব দস্তগীর, সদস্য সচিব মোঃ মাহদী, এবং সদস্য সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, মো. জাকারিয়া, সৈয়দ মুহাম্মদ আলী, ও রেজাউল ইসলাম রাকিব।এছাড়া ছিলেন ইবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আবু ইউসুফ আলী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শাখা সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, জমিয়াতে তোলাবায়ে আরাবিয়া শাখার সেক্রেটারি আব্দুর রউফসহ ধর্মপ্রাণ শতাধিক শিক্ষার্থী।

বক্তব্য প্রদানকালে, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শাখা সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, ‘আজকের এই দিনে এমন এক মহামানবের আগমন ঘটেছিলো, যিনি না আসলে আসমান, জমিন, এমনকি এই বিশ্বজগতের কিছুই সৃষ্টি হতো না। তাঁর কারণেই আমাদের সৃষ্টি হয়েছে, এই পৃথিবীর অস্তিত্ব হয়েছে। সেই মহান নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমন উপলক্ষে যে র‍্যালি আয়োজন করা হয়েছে, তা খুবই ছোট একটি উদ্যোগ হলেও আমরা তাঁকে স্মরণ করার চেষ্টা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেবল একজন ধর্মীয় নেতা ছিলেন না, তিনি রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ও নেতৃত্বেও ছিলেন অনন্য। বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা তাঁর আদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। তাই আজ আমাদের সবার উচিত মহানবীর রেখে যাওয়া পূর্ণাঙ্গ আদর্শ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা।’

ইবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আবু ইউসুফ আলী বলেন, ‘যখন পৃথিবী ছিল চরম অস্থির ও অন্ধকারাচ্ছন্ন, তখন আরব সমাজ ছিল অশান্ত, অন্যায়-অবিচারে পূর্ণ। মানুষের অধিকার ছিল পদদলিত, নারীরা ছিল নিরাপত্তাহীন। সেই ভয়ংকর সময়ে আলোর প্রতীক হয়ে আবির্ভূত হন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি এমন একটি সমাজ উপহার দেন যেখানে ছিল না কোনো জুলুম, অন্যায় বা অবিচার; মা-বোনেরা ছিলেন নিরাপদ।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজকের র‍্যালির মধ্যেই যদি আমাদের ভালোবাসা সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে তা যথেষ্ট নয়। আমাদের নবী (সা.) যে আদর্শ, শিক্ষা ও গাইডলাইন রেখে গেছেন, আমরা যদি তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ না করি, তাহলে তা হবে তার প্রকৃত মর্যাদা দেয়া হবে না। আমাদের উচিত, সেই আদর্শকে বাস্তবায়ন করে জাতির কল্যাণে কাজ করা।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত