জাকসু নির্বাচনের প্রচারণা শুরু, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রতিনিধি, জাবি
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ১৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার বিকাল চারটা থেকে। প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মানতে হবে বেশ কিছু নির্দেশনা।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে একজন প্রার্থীকে তার বিভাগ, হল, শিক্ষাবর্ষ, উল্লেখযোগ্য কারিকুলাম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমের এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের যৌক্তিকতার বিবরণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।

নির্বাচনের প্রচারণা সংক্রান্ত আচরণ বিধি থেকে জানা যায়, ক্যাম্পাসে যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ থাকবে। নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতীত সর্বোচ্চ ২৫ (পঁচিশ) জনের অধিক একসাথে জমায়েত হওয়া যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি থাকতে পারবে না। এক্ষেত্র বৈধ ভোটার ও প্রার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যতীত অন্য যে কেউ বহিরাগত হিসেবে বিবেচিত হবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো রকম অংশগ্রহণ বা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত উইকেন্ড/ইভিনিং/রিমোট সেন্সিংসহ এম.ফিল/পিএইচ.ডি শিক্ষার্থীগণ কোনো ধরনের অংশগ্রহণ ও প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না।

পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নিম্নে উল্লিখিত স্থান বা যানবাহনে কোনো প্রকার পোস্টার লিফলেট বা হ্যান্ডবিল প্রচার/স্থাপন করতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত কোনো আবাসিক ভবনের দেয়াল, গেইট, অফিস, বিভাগ, অনুষদ, আবাসিক ভবন ও আবাসিক হল এবং এগুলোর সীমানা দেয়াল, গাছ, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে; একইসঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান কোনো গ্রাফিতির উপর কোনো প্রকার নির্বাচনী পোস্টার স্থাপন করা যাবে না। তবে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্থাপিত ও নির্ধারিত বোর্ডে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল প্রচার/স্থাপন করতে পারবেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন ও অন্য যেকোনো ব্যক্তিগত যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল স্থাপন করতে পারবে না।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদির উপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি প্রতিস্থাপন করা যাবে না এবং উক্ত পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদির কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন তথা বিকৃত বা বিনষ্ট করা যাবে না।

কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টারে বা ব্যানারে প্রার্থী তার নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না।

উপবিধি (ঙ) এ উল্লিখিত ছবি সর্বোচ্চ ৩’’(তিন ইঞ্চি) ৫’’(পাঁচ ইঞ্চি) সাইজের সাদা-কালো হাফ, সাধারণ ও

সাম্প্রতিক ছবি হতে হবে। উল্লেখ্য, কোনো অনুষ্ঠান, মিছিলে নেতৃত্বদান, প্রার্থনারত অবস্থা ইত্যাদি ভঙ্গিমায় ছবি

কোনো অবস্থাতেই ছাপানো যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টারের ছবিসহ আয়তন সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৪০ (চল্লিশ) সেন্টিমিটার প্রস্থ ৩০ (ত্রিশ) সেন্টিমিটারের অধিক হতে পারবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।

যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বিধি-নিষিধে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় কোনো প্রকার যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় থেকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিকর্তৃক ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যে মোটর সাইকেল বা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্মীয় স্থাপনা ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো উপাসনালয়নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করতে পারবেন না।

দেয়াল লিখন সংক্রান্ত বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি দেয়াল লিখনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন না; কালি বা রং দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে দেয়াল ছাড়াও কোনো দালান, ভবন, কালভার্ট, সড়ক, যানবাহন বা অন্য কোনো স্থাপনায় প্রচারণামূলক কোনো লিখন বা অঙ্কন করতে পারবেন না।

গেইট বা তোরণ নির্মাণ, প্যান্ডেল বা ক্যাম্প স্থাপন ও আলোকসজ্জাকরণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধে বলা হয়েছে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো গেইট বা তোরণ নির্মাণ করতে পারবেন না কিংবা চলাচলের পথে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবেন না; কোনো ধরনের নির্বাচনী প্যান্ডেল তৈরি করতে পারবেন না; নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করতে পারবেন না; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোনো বক্তব্য সমেত পরিধেয় ব্যবহার করতে পারবেন না; এবং নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারগণকে কোনোরূপ পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনোরূপ উপঢৌকন প্রদান করতে পারবেন না।

উসকানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বা বিস্ফোরক বহন সংক্রান্ত বিধিনিষেধে বলা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হননমূলক বক্তব্য প্রদান বা কোনো ধরনের তিক্ত বা বিদ্বেষমূলক, উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। অনলাইনে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে অন্য কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কারো বিরুদ্ধে মানহানিকর/অপপ্রচার/অশোভন/উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান করা যাবে না। নির্বাচনে কোনো শিক্ষার্থীর জানমালের কোনরূপ ক্ষতিসাধন করা যাবে না।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যে অস্ত্র বা বিস্ফোরক দ্রব্য বা অন্য কোনো অস্ত্র বহন করতে পারবেন না।কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে কোনো প্রকার বল প্রয়োগ বা অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না।

মাইক ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধে বলা হয়েছে কোনো প্রার্থী কিংবা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় মাইক বা কোনোরূপ সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন না।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত