শাহীন পরদেশী
ছোটন ক্লাস থ্রিতে পড়ে। ভালো লাগে না ক্লাসে। একটা ভালো বন্ধুও হয়নি এখন পর্যন্ত। সবার কী ভাবসাব। খেলাধুলা করে। ছোটন কেমন জানি মনমরা হয়ে থাকে। কেউ ওর সঙ্গে মেশে না। খেলার সাথি হয় না। ওদের কাছে এগিয়ে গেলেও তাড়িয়ে দেয়।
কেন তাড়িয়ে দেয় জানো? তোমরা কিন্তু এ রকম করবে না। আচ্ছা তাহলে শোনো?
ছোটন দেখতে খুব কালো। খুবই কালো। গায়ের পোশাক সবার থেকে পুরোনো। তাই ছোটনের সঙ্গে কেউ মেশে না। খেলাধুলা করে না। ওর পাশে কেউ বসে না। ক্লাসে সবার পেছনের বেঞ্চে আঁটসাঁট হয়ে বসে থাকে। দরিদ্র ঘরের ছেলে ছোটন। বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ না করে বই হাতে স্কুলে যায় বেশ খানিকটা পথ হেঁটে। ওর আকাশ সমান স্বপ্ন। বড় হয়ে সাংবাদিক হবে। দেশের জন্য কাজ করবে। ছোটন ক্লাসে সবার চেয়ে ভালো ছাত্র। এ জন্য আরো বেশি সবার হিংসা হয়।
হঠাৎ একদিন রুনা মায়ের সঙ্গে স্কুলে ভর্তি হতে আসে। এত দিন ওরা রংপুর ছিল। বাবা বদলি হয়ে এখানে এসেছে। মানে সাদুল্লাপুর এসেছে। রুনাকে স্যার ম্যামেরা ভর্তির সময় প্রশ্ন করল। রুনা বেশ ভালোভাবে উত্তর দিল। অবশেষে রুনা ভর্তি হলো আফসারউদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুলে। কোন ক্লাসে ভর্তি হলো তোমরা কি বলতে পারবে? আচ্ছা বলি তাহলে শোনো? রুনা ক্লাস থ্রিতে ভর্তি হলো।
রুনা প্রথম ক্লাসে এলো। সবাই রুনার সঙ্গে পরিচয় হলো। কিন্তু ওই যে ক্লাসে সবার শেষের বেঞ্চে বসা ছোটন শুধু পরিচয় হলো না।
পরের দিন টিফিনের খাওয়া শেষে সবাই খেলছে সঙ্গে রুনাকে নিয়ে। কিন্তু রুনার হঠাৎ নজর পড়ে গেলে ছোটনের দিকে। ও তো একাই বসে আছে। আমাদের সঙ্গে খেলছে না। মনমরা হয়ে আছে। রুনা খেলা ছেড়ে এগিয়ে এলো। বলল, তোমার নাম কী ভাই? ছোটন কথা বলে না। ওর চোখে পানি। এই কান্না করো কেন? তোমার নাম কি বলো না প্লিজ, প্লিজ? আমার নাম ছোটন। তোমার নাম রুনা তাই না। আমার নাম জানলে কী করে? কালকে ক্লাসে শুনেছি। ওহ আচ্ছা ভালো। এসো আমাদের সঙ্গে খেলবে।
এর মধ্যেই ওরা ডাকছে রুনা এদিকে এসো। ও একটা বিশ্রী। ছি ছি রুনা, ওর সঙ্গে মিশিও না। দেখছো ওকে দেখতে কেমন। আবার ওর পোশাক কি পুরোনো।
এভাবে বলো কেন? ও তো আমাদের মতোই মানুষ। এভাবে বলতে নেই। আমি খেলব না। তোমরা খেলো, যাও।
ছোটন রুনাকে বলল, তুমি খুব ভালো। তুমিও খুব ভালো। তোমার রোল এক তাই না। হুম, তুমি জানলে কীভাবে। ওমা, স্যার নাম ডাকল একেই তো তুমি। তারপর থেকে ছোটন ও রুনা খুব ভালো বন্ধু হলো।
একদিন সবাইকে রুনা ডেকে বুজিয়ে বলল, পোশাক বা চেহারা দেখে কাউকে বিচার করতে নেই। আমরা সবাই মানুষ। আমাদের সবার রক্ত লাল। ধনি, গরিব ভেদাভেদ করতে নেই। অহংকার করা যায় না। অহংকার পতনের মূল। বুঝলে, আমাদের সবার মনে রাখা দরকার।
সবাই ভুল বুঝতে পারল। ছোটনকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাইল। রুনাকে সবাই বলল, তুমি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছো। তোমাকে অনেক অনেক থ্যাংকিউ।
ছোটন আজকে খুব খুশি। বাসায় গিয়ে মাকে বলল, মা ক্লাসে এতদিন কেউ আমাকে বন্ধু ভাবেনি। দেখতেও পারেনি। আজকে সবাই আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ওরা আমার সঙ্গে ক্লাসে একই ব্রেঞ্চে বসে। আমাকে খেলতে নেয়। টিফিনে ওদের সঙ্গে বসেও খাওয়া হয় । আমাকে নিয়ে ক্লাসের কেউ আর আবোলতাবোল ভাবে না।
জানো মা, আমাদের ক্লাসে একটা পরী এসেছে। ওর নাম রুনা। ও খুব, খুব মানে খুব ভালো। ওই তো সবার চোখ খুলে দিয়েছে। মা রুনা খুব মেধাবী। ও বুজিয়ে বলল, সবাই সবার ভুল বুঝতে পারল। এখন থেকে আমিও সবার বন্ধু।
ছোটন ক্লাস থ্রিতে পড়ে। ভালো লাগে না ক্লাসে। একটা ভালো বন্ধুও হয়নি এখন পর্যন্ত। সবার কী ভাবসাব। খেলাধুলা করে। ছোটন কেমন জানি মনমরা হয়ে থাকে। কেউ ওর সঙ্গে মেশে না। খেলার সাথি হয় না। ওদের কাছে এগিয়ে গেলেও তাড়িয়ে দেয়।
কেন তাড়িয়ে দেয় জানো? তোমরা কিন্তু এ রকম করবে না। আচ্ছা তাহলে শোনো?
ছোটন দেখতে খুব কালো। খুবই কালো। গায়ের পোশাক সবার থেকে পুরোনো। তাই ছোটনের সঙ্গে কেউ মেশে না। খেলাধুলা করে না। ওর পাশে কেউ বসে না। ক্লাসে সবার পেছনের বেঞ্চে আঁটসাঁট হয়ে বসে থাকে। দরিদ্র ঘরের ছেলে ছোটন। বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ না করে বই হাতে স্কুলে যায় বেশ খানিকটা পথ হেঁটে। ওর আকাশ সমান স্বপ্ন। বড় হয়ে সাংবাদিক হবে। দেশের জন্য কাজ করবে। ছোটন ক্লাসে সবার চেয়ে ভালো ছাত্র। এ জন্য আরো বেশি সবার হিংসা হয়।
হঠাৎ একদিন রুনা মায়ের সঙ্গে স্কুলে ভর্তি হতে আসে। এত দিন ওরা রংপুর ছিল। বাবা বদলি হয়ে এখানে এসেছে। মানে সাদুল্লাপুর এসেছে। রুনাকে স্যার ম্যামেরা ভর্তির সময় প্রশ্ন করল। রুনা বেশ ভালোভাবে উত্তর দিল। অবশেষে রুনা ভর্তি হলো আফসারউদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুলে। কোন ক্লাসে ভর্তি হলো তোমরা কি বলতে পারবে? আচ্ছা বলি তাহলে শোনো? রুনা ক্লাস থ্রিতে ভর্তি হলো।
রুনা প্রথম ক্লাসে এলো। সবাই রুনার সঙ্গে পরিচয় হলো। কিন্তু ওই যে ক্লাসে সবার শেষের বেঞ্চে বসা ছোটন শুধু পরিচয় হলো না।
পরের দিন টিফিনের খাওয়া শেষে সবাই খেলছে সঙ্গে রুনাকে নিয়ে। কিন্তু রুনার হঠাৎ নজর পড়ে গেলে ছোটনের দিকে। ও তো একাই বসে আছে। আমাদের সঙ্গে খেলছে না। মনমরা হয়ে আছে। রুনা খেলা ছেড়ে এগিয়ে এলো। বলল, তোমার নাম কী ভাই? ছোটন কথা বলে না। ওর চোখে পানি। এই কান্না করো কেন? তোমার নাম কি বলো না প্লিজ, প্লিজ? আমার নাম ছোটন। তোমার নাম রুনা তাই না। আমার নাম জানলে কী করে? কালকে ক্লাসে শুনেছি। ওহ আচ্ছা ভালো। এসো আমাদের সঙ্গে খেলবে।
এর মধ্যেই ওরা ডাকছে রুনা এদিকে এসো। ও একটা বিশ্রী। ছি ছি রুনা, ওর সঙ্গে মিশিও না। দেখছো ওকে দেখতে কেমন। আবার ওর পোশাক কি পুরোনো।
এভাবে বলো কেন? ও তো আমাদের মতোই মানুষ। এভাবে বলতে নেই। আমি খেলব না। তোমরা খেলো, যাও।
ছোটন রুনাকে বলল, তুমি খুব ভালো। তুমিও খুব ভালো। তোমার রোল এক তাই না। হুম, তুমি জানলে কীভাবে। ওমা, স্যার নাম ডাকল একেই তো তুমি। তারপর থেকে ছোটন ও রুনা খুব ভালো বন্ধু হলো।
একদিন সবাইকে রুনা ডেকে বুজিয়ে বলল, পোশাক বা চেহারা দেখে কাউকে বিচার করতে নেই। আমরা সবাই মানুষ। আমাদের সবার রক্ত লাল। ধনি, গরিব ভেদাভেদ করতে নেই। অহংকার করা যায় না। অহংকার পতনের মূল। বুঝলে, আমাদের সবার মনে রাখা দরকার।
সবাই ভুল বুঝতে পারল। ছোটনকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাইল। রুনাকে সবাই বলল, তুমি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছো। তোমাকে অনেক অনেক থ্যাংকিউ।
ছোটন আজকে খুব খুশি। বাসায় গিয়ে মাকে বলল, মা ক্লাসে এতদিন কেউ আমাকে বন্ধু ভাবেনি। দেখতেও পারেনি। আজকে সবাই আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ওরা আমার সঙ্গে ক্লাসে একই ব্রেঞ্চে বসে। আমাকে খেলতে নেয়। টিফিনে ওদের সঙ্গে বসেও খাওয়া হয় । আমাকে নিয়ে ক্লাসের কেউ আর আবোলতাবোল ভাবে না।
জানো মা, আমাদের ক্লাসে একটা পরী এসেছে। ওর নাম রুনা। ও খুব, খুব মানে খুব ভালো। ওই তো সবার চোখ খুলে দিয়েছে। মা রুনা খুব মেধাবী। ও বুজিয়ে বলল, সবাই সবার ভুল বুঝতে পারল। এখন থেকে আমিও সবার বন্ধু।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
২২ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
১ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
১ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচার
২ ঘণ্টা আগে