আব্দুস সবুর
ভোরের শীতল বাতাসে গাছের সবুজ পাতা দুলছে। বাবার সঙ্গে দ্রুত হেঁটে চলেছে ফাহিম। ওরা যাচ্ছে গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে। কারণ আজ স্কুলে নতুন বই দেবে। ফাহিম তার চাচাতো ভাই সুমনের কাছে নতুন বইয়ের অনেক গল্প শুনেছে। নতুন বই পড়তে নাকি খুব ভালো লাগে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণও বেশ মজার।
সুমন প্রতিদিন বই পড়ে। ফাহিম এক দিন জিজ্ঞেস করেছিল, তুমি বই পড়ো কেন সুমন ভাইয়া? উত্তরে সুমন বলেছে, বই পড়লে জ্ঞানী হওয়া যায়। যারা পড়ালেখা করে, তারা সবার কাছ থেকে সম্মান পায়, লেখাপড়া শেষ করে উচ্চপদে চাকরি করতে পারে. সুন্দর সুন্দর গাড়িতে চড়তে পারে। সেই থেকে সুমন স্বপ্ন দেখে সেও বই পড়বে। বড় হয়ে জ্ঞানী হবে, সবার কাছ থেকে সম্মান পাবে, উচ্চপদে চাকরি করবে আর সুন্দর সুন্দর গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াবে।
নতুন বছরের ১ জানুয়ারি ফাহিম গাঁয়ের স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। ফাহিম ভেবেছিল ওইদিন ওদের নতুন বই দেবে। কিন্তু স্যাররা বই দিতে পারেননি। কারণ স্কুলে তখনও নতুন বই আসেনি। হেডস্যার বলেছেন আগামী শনিবার ছাত্রদের বই দেবেন। ফাহিম এত দিন শুধু দিন গুনেছে কবে শনিবার আসবে আর সে নতুন বই নিতে স্কুলে যাবে। শুক্রবার বিকাল থেকে সে বাবাকে বলতে থাকে স্কুলে যাওয়ার কথা। রাতে ঘুমানোর সময় বাবাকে বলল, আব্বু, আগামীকাল সকাল সকাল স্কুলে যেতে হবে। দেরিতে গেলে যদি স্যার বই না দেন? তাহলে তো আমি লেখাপড়া শিখে বড় হতে পারব না। অমন হলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
ফাহিমের কথা শুনে বাবা মুচকি হেসে বললেন, হ্যাঁ, অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা সকাল সকালই স্কুলে যাব। ঠিক আছে? এখন অনেক রাত হয়েছে, ঘুমিয়ে পড়ো।
ভোরবেলা সবার আগে ফাহিমের ঘুম ভাঙল। সে মা-বাবাকে ডেকে উঠাল। আর স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে লাগল। নতুন বইয়ের প্রতি ফাহিমের অমন আগ্রহ দেখে বাবা-মা অবাক হলেন। মা বললেন, শান্ত হও বাবা। ৯টার আগে তো স্কুলই খুলবে না। আগে কিছু খেয়ে নাও। খালি পেটে স্কুলে গেলে খিদের কষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
মায়ের কথা শুনে ফাহিম শান্ত হলো। মা দ্রুত রান্নাঘরে গিয়ে নুডলস রান্না করে আনলেন। প্রতিদিন ভোরে নাশতা হিসেবে ফাহিম নুডলস খায়। কিন্তু আজ ওর নুডলসের প্রতি আগ্রহ নেই। অল্প একটু খেয়ে বলল, আম্মু আর খাব না। পেট ভরে গেছে।
ফাহিমের এমন কাণ্ড দেখে বাবা-মা আরও অবাক হলেন। তারা বুঝতে পারলেন, ফাহিমকে তাড়াতাড়ি নতুন বইয়ের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তা না হলে ও ধীরে ধীরে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেবে।
ঠিক ৯টায় বাবা ফাহিমকে নিয়ে স্কুলে উপস্থিত হলেন।
প্রাইমারি স্কুলের অঙ্ক স্যার মজিদ মিয়া ফাহিমের বাবার বন্ধু। ওদের দেখেই মজিদ স্যার বললেন, কিরে মাসুদ এত সকাল সকাল ছেলেকে নিয়ে স্কুলে এসেছিস যে?
ফাহিমের বাবা মাসুদ রানা নতুন বইয়ের প্রতি ফাহিমের আগ্রহের কাহিনি শোনালেন। সব শুনে মজিদ স্যার হেসে ফেললেন। আর ফাহিমকে বললেন, ফাহিম, শুধু নতুন বইয়ের প্রতি আগ্রহী হলেই হবে না কিন্তু? ভালোভাবে পড়ালেখাও করতে হবে। বুঝলে?
স্যারের কথা শুনে ফাহিম মাথা নেড়ে বলল, জি স্যার।
সকাল ১০টার মধ্যেই সব ছাত্র উপস্থিত হলো। সাড়ে ১০টা থেকে বই দেওয়া শুরু হলো। মজিদ স্যার ছাত্রদের নাম ধরে ডাকতে লাগলেন। স্যার ফাহিমের নাম ডাকার সঙ্গে সঙ্গে ফাহিম দ্রুত বই নিতে গেল। নতুন বই পেয়ে ফাহিমের সেকি আনন্দ! সে বইয়ের সঙ্গে নাক লাগিয়ে ঘ্রাণ নিতে লাগল। সন্ধ্যার পরপরই সে বই নিয়ে পড়তে বসল।
প্রথম দিনই মায়ের কাছ থেকে ফাহিম স্বরবর্ণের অক্ষরগুলো শিখে ফেলল। বাবা-মাকে সবগুলো অক্ষরের নাম মুখস্থ শোনাল। শুনে তারা খুশি হয়ে ওর প্রশংসা করলেন। তাদের স্বপ্ন, এভাবেই পড়ে পড়ে ফাহিম এক দিন অনেক বড় হবে। সবাই ফাহিমের প্রশংসা করবে।
ভোরের শীতল বাতাসে গাছের সবুজ পাতা দুলছে। বাবার সঙ্গে দ্রুত হেঁটে চলেছে ফাহিম। ওরা যাচ্ছে গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে। কারণ আজ স্কুলে নতুন বই দেবে। ফাহিম তার চাচাতো ভাই সুমনের কাছে নতুন বইয়ের অনেক গল্প শুনেছে। নতুন বই পড়তে নাকি খুব ভালো লাগে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণও বেশ মজার।
সুমন প্রতিদিন বই পড়ে। ফাহিম এক দিন জিজ্ঞেস করেছিল, তুমি বই পড়ো কেন সুমন ভাইয়া? উত্তরে সুমন বলেছে, বই পড়লে জ্ঞানী হওয়া যায়। যারা পড়ালেখা করে, তারা সবার কাছ থেকে সম্মান পায়, লেখাপড়া শেষ করে উচ্চপদে চাকরি করতে পারে. সুন্দর সুন্দর গাড়িতে চড়তে পারে। সেই থেকে সুমন স্বপ্ন দেখে সেও বই পড়বে। বড় হয়ে জ্ঞানী হবে, সবার কাছ থেকে সম্মান পাবে, উচ্চপদে চাকরি করবে আর সুন্দর সুন্দর গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াবে।
নতুন বছরের ১ জানুয়ারি ফাহিম গাঁয়ের স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। ফাহিম ভেবেছিল ওইদিন ওদের নতুন বই দেবে। কিন্তু স্যাররা বই দিতে পারেননি। কারণ স্কুলে তখনও নতুন বই আসেনি। হেডস্যার বলেছেন আগামী শনিবার ছাত্রদের বই দেবেন। ফাহিম এত দিন শুধু দিন গুনেছে কবে শনিবার আসবে আর সে নতুন বই নিতে স্কুলে যাবে। শুক্রবার বিকাল থেকে সে বাবাকে বলতে থাকে স্কুলে যাওয়ার কথা। রাতে ঘুমানোর সময় বাবাকে বলল, আব্বু, আগামীকাল সকাল সকাল স্কুলে যেতে হবে। দেরিতে গেলে যদি স্যার বই না দেন? তাহলে তো আমি লেখাপড়া শিখে বড় হতে পারব না। অমন হলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
ফাহিমের কথা শুনে বাবা মুচকি হেসে বললেন, হ্যাঁ, অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা সকাল সকালই স্কুলে যাব। ঠিক আছে? এখন অনেক রাত হয়েছে, ঘুমিয়ে পড়ো।
ভোরবেলা সবার আগে ফাহিমের ঘুম ভাঙল। সে মা-বাবাকে ডেকে উঠাল। আর স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে লাগল। নতুন বইয়ের প্রতি ফাহিমের অমন আগ্রহ দেখে বাবা-মা অবাক হলেন। মা বললেন, শান্ত হও বাবা। ৯টার আগে তো স্কুলই খুলবে না। আগে কিছু খেয়ে নাও। খালি পেটে স্কুলে গেলে খিদের কষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
মায়ের কথা শুনে ফাহিম শান্ত হলো। মা দ্রুত রান্নাঘরে গিয়ে নুডলস রান্না করে আনলেন। প্রতিদিন ভোরে নাশতা হিসেবে ফাহিম নুডলস খায়। কিন্তু আজ ওর নুডলসের প্রতি আগ্রহ নেই। অল্প একটু খেয়ে বলল, আম্মু আর খাব না। পেট ভরে গেছে।
ফাহিমের এমন কাণ্ড দেখে বাবা-মা আরও অবাক হলেন। তারা বুঝতে পারলেন, ফাহিমকে তাড়াতাড়ি নতুন বইয়ের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তা না হলে ও ধীরে ধীরে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেবে।
ঠিক ৯টায় বাবা ফাহিমকে নিয়ে স্কুলে উপস্থিত হলেন।
প্রাইমারি স্কুলের অঙ্ক স্যার মজিদ মিয়া ফাহিমের বাবার বন্ধু। ওদের দেখেই মজিদ স্যার বললেন, কিরে মাসুদ এত সকাল সকাল ছেলেকে নিয়ে স্কুলে এসেছিস যে?
ফাহিমের বাবা মাসুদ রানা নতুন বইয়ের প্রতি ফাহিমের আগ্রহের কাহিনি শোনালেন। সব শুনে মজিদ স্যার হেসে ফেললেন। আর ফাহিমকে বললেন, ফাহিম, শুধু নতুন বইয়ের প্রতি আগ্রহী হলেই হবে না কিন্তু? ভালোভাবে পড়ালেখাও করতে হবে। বুঝলে?
স্যারের কথা শুনে ফাহিম মাথা নেড়ে বলল, জি স্যার।
সকাল ১০টার মধ্যেই সব ছাত্র উপস্থিত হলো। সাড়ে ১০টা থেকে বই দেওয়া শুরু হলো। মজিদ স্যার ছাত্রদের নাম ধরে ডাকতে লাগলেন। স্যার ফাহিমের নাম ডাকার সঙ্গে সঙ্গে ফাহিম দ্রুত বই নিতে গেল। নতুন বই পেয়ে ফাহিমের সেকি আনন্দ! সে বইয়ের সঙ্গে নাক লাগিয়ে ঘ্রাণ নিতে লাগল। সন্ধ্যার পরপরই সে বই নিয়ে পড়তে বসল।
প্রথম দিনই মায়ের কাছ থেকে ফাহিম স্বরবর্ণের অক্ষরগুলো শিখে ফেলল। বাবা-মাকে সবগুলো অক্ষরের নাম মুখস্থ শোনাল। শুনে তারা খুশি হয়ে ওর প্রশংসা করলেন। তাদের স্বপ্ন, এভাবেই পড়ে পড়ে ফাহিম এক দিন অনেক বড় হবে। সবাই ফাহিমের প্রশংসা করবে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৩ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে