ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বাডাস) সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ. কে. আজাদ খান।
বৃহস্পতিবার বাডাস পেডিয়াট্রিক ডায়াবেটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে শিশু ও কিশোর ডায়াবেটিস বিষয়ে আলোচনা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আজাদ খান বলেন, শুধু অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা করাই যথেষ্ট নয়, বরং সুস্থ সমাজের জন্য সবার শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সমাজে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করাও জরুরি।
পিডিআরসি'র পরিচালক ড. বেদৌরা জাবীন অনুস্টানে তার বক্তৃতায় বলেন, রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের শিক্ষা কর্মসংস্থান ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাডাস সেক্রেটারি জেনারেল সায়েফ উদ্দিন, বারডেম মহাপরিচালক প্রফেসর মির্জা ফয়সাল, ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মি. অ্যান্ডারস বি. কার্লসেন, নোভো নরডিস্ক ফার্মার জিএম ড. মোহাম্মদ রিয়াদ মামুন প্রধানী, প্রফেসর জাকির হোসেন, লাইন ডিরেক্টর, এনসিডিসি ডিজিএইচএস এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধি ড. এমদাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত তরুণ-তরুণীরা ভিডিওগ্রাফি ও সরাসরি অভিজ্ঞতা শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে তাদের কর্মজীবনের চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন। এ ছাড়া "ইডিয়াল পেশেন্ট, পেরেন্ট ও স্টাফ অব দ্য ইয়ার" পুরস্কার প্রদান করা হয়।

