অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: বিপিএ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২১: ৪৫

শুধু সরকারি নয় বরং বেসরকারি শিশু বিশেষজ্ঞদেরও বঞ্চনা ও বৈষম্য নিরসনে প্রয়োজনে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) নেতারা।

বিজ্ঞাপন

উন্নত দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্ঞানচর্চা বিকশিত করার লক্ষ্যে অচিরেই বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও জার্নাল এবং ওয়েবসাইট আধুনিকায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি তুলেন তারা।

রোববার দুপুরে মিরপুরে বিপিএ’র ভবনে ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী সভায় শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।

বিপিএ’র নবগঠিত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব ডা. ইয়ামিন শাহরিয়ার চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, ডা. আঈনুল ইসলাম খান, ডা. মো. মনির হোসেন, অধ্যাপক ডা. খয়বর আলী, অধ্যাপক ডা. আবদুর রউফ, অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, ডা. রকিবুল ইসলাম খান, ডা. আব্দুর রউফ, ডা. এএসএম মাহমুদুজ্জামান, ডা. মুস্তাব শিরা মৌ।

বক্তারা বিদ্যমান শিশুস্বাস্থ্য খাতের সংস্কার, পদোন্নতি, সুপার নিউমারারি ও নিয়মিত পদ সৃষ্টি ও ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক মানের মাল্টিডিসিপ্লিনারি সরকারি শিশু ইনস্টিটিউট তৈরি ও দেশের সকল বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপিত শিশু হাসপাতালসমূহে চিকিৎসকসহ জনবল নিয়োগের দাবি জানান। একই সঙ্গে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিপিএ’র গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অনলাইন ভোটিং সিস্টেম চালু করার জোর দাবিও তুলেন তারা।

বিপিএ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন, শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত থেকে বিপিএকে মুক্ত করতে হবে। বিপিএ হতে হবে সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল। পুরোনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় সংগঠনকে আর কুক্ষিগত করে রাখা যাবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান কমিটির হাত ধরেই বিপিএ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।

বিপিএ মহাসচিব ডা. ইয়ামিন শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, বিপিএ শুধু শিশু বিশেষজ্ঞদের পদোন্নতির জন্য কাজ করেনি, বরং বিপিএ ও ওজিএসবি’র হাত ধরেই দেশে একটি বিরাট সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের জন্য সুপারনিউমারারি (৭ হাজার ৭৫০টি) পদ বাস্তবায়নের পথে। তিনি বিগত চার বছর বিপিএ’র কোনো ওয়েবসাইট হালনাগাদ না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। আগের অনির্বাচিত বিপিএ শিশু স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য কোন কাজ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিপিএ মহাসচিব বলেন, বিপিএ’র গঠনতন্ত্রের কালো আইন বাতিল ও অনলাইন ভোটিংসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের নেতৃত্বে শুধু সরকারি শিশু বিশেষজ্ঞ নয় বরং বেসরকারী শিশু বিশেষজ্ঞদেরও বঞ্চনা ও বৈষম্যের নিরসনে প্রয়োজনে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো অকারণে ইচ্ছেমত যাতে কোনো বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসক ছাঁটাই করতে না পারে এবং আর যাতে কোন চিকিৎসক কর্মস্থলে লাঞ্ছিত না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

বিষয়:

বিপিএ
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত