Ad T1

শিশুর আক্রমণাত্মক আচরণ!

ডা. মো. কামরুজ্জামান কামরুল
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ৪৪
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ৪৭

সাধারণত দুই বছর বয়স থেকে কোনো কোনো শিশুর মধ্যে মারামারি, ঝগড়াঝাঁটি, জিনিসপত্র ভাঙা ইত্যাদি আক্রমণাত্মক ও ধ্বংসাত্মক মনোভাব দেখা যায়। শিশুর ক্রোধের কারণ ও প্রতিকারে করণীয় কী, তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

সাধারণত শিশু তার শক্তি ও বাড়তি সামর্থ্যকে যদি কোনো গঠনমূলক কাজে ব্যয় করার সুযোগ না পায়, তখন সে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। অনেক সময় হতাশা থেকেও শিশু এ রকম আচরণ করে। যেমন কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হলে এবং যা সে করতে চায়, তাতে ব্যর্থ হলেও আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে। মা-বাবার অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ, তাদের পর্যাপ্ত স্নেহের অভাবে অনেক সময় শিশু নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তখন আক্রমণাত্মক আচরণ করে। যেসব শিশু অবহেলিত ও অনাথ আশ্রমে লালিত, সেসব শিশুর মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ বেশি দেখা যায়। তারা প্রথমেই আক্রমণকে আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ উপায় বলে মনে করে। আবার অতিরিক্ত ক্ষুধা থেকে বা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে শিশু আক্রমণাত্মক আচরণ করে। শিশুর বিভিন্ন চাহিদা পূরণ না হলেও তারা অনেক সময় আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। যেসব শিশু প্রায়ই অসুস্থ থাকে, তাদের মধ্যেও মাঝে মাঝে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখা যায়। পিঠাপিঠি ভাই-বোনের একে অপরের প্রতি হিংসাত্মক মনোভাব থেকেও শিশু মাঝে মাঝে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক

পালমোনোলজি বিভাগ

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট

বিষয়:

শিশু
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত