ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ৪৩

হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক এ সময়ের কমন একটি সমস্যা। স্বাভাবিক একজন মানুষ হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাগ্যক্রমে কেউ কেউ বাঁচলেও কারো জীবন প্রদীপ তখনই নিভে যায়। আর তাই আজ আমরা হ্যালো ডাক্তার বিভাগে কথা বলব, কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এন আই মানিক

প্রশ্ন : বর্তমানে দেশে হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো কী?

বিজ্ঞাপন

উত্তর : উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড। এছাড়া ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য, স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ ও অনিদ্রা ইত্যাদি।

প্রশ্ন : হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ বলুন, যেগুলো উপেক্ষা করা উচিত নয়।

উত্তর : বুকে চাপধরা বা জ্বালাপোড়া ব্যথা (বিশেষ করে বামদিকে বা বুকের মাঝখানে)। ব্যথা কাঁধ, বাহু, গলা বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়া। শ্বাসকষ্ট বা হাঁপ ধরা। হঠাৎ অতিরিক্ত ঘাম ঝরা, দুর্বল লাগা। মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব। এছাড়া অল্প কাজে অস্বাভাবিক ক্লান্তি আসা।

প্রশ্ন : তরুণদের মধ্যে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের হার কেন বাড়ছে?

উত্তর : এর কারণ হলো, অল্প বয়স থেকেই ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন করা। ফাস্টফুড ও জাংক ফুডের প্রতি ঝোঁক। শারীরিক অনুশীলনের অভাব। স্টেরয়েড বা ড্রাগ (বিশেষ করে জিমের) ব্যবহার। মানসিক চাপ, রাত জাগা ও অনিদ্রা। এছাড়া জেনেটিক ঝুঁকি তো আছেই, পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকা।

প্রশ্ন : ধূমপান ও অ্যালকোহল হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে কীভাবে?

উত্তর : ধূমপান সাধারণত রক্তনালি সংকুচিত করে। রক্তে অক্সিজেন কমায়। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ায়। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে অ্যালকোহল উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে, হৃদপেশি দুর্বল করে। অনিয়মিত হার্টবিট বাড়ায়।

প্রশ্ন : ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের হার্টের ঝুঁকি কতটা বেশি?

উত্তর : ডায়াবেটিক রোগীর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দুই-চার গুণ বেশি থাকে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদযন্ত্রের ওপর দীর্ঘমেয়াদি চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে হার্ট ফেইলিওর, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা তিন-পাঁচ গুণ বেশি থাকে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপÑদুটো একসঙ্গে থাকলে ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।

প্রশ্ন : হৃদরোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় কী?

উত্তর : প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করা। লবণ, তেল, চর্বি ও চিনি কম খাওয়া। প্রচুর শাকসবজি, ফল ও ফাইবার খাওয়া। ধূমপান ও অ্যালকোহল সম্পূর্ণ বর্জন। নিয়মিত রক্তচাপ, শর্করা ও লিপিড পরীক্ষা। পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত