কণ্ঠস্বরের সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে সঠিক চিকিৎসা ও থেরাপির মাধ্যমে এর প্রভাব কমানো সম্ভব বলে মনে করেন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্টস্টিরা। তারা বলেন, ‘কণ্ঠস্বরের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতায় সবার গুরুত্ব দিতে হবে।’
বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উপলক্ষে বুধবার রাতে বিশেষ আলোচনা সভায় থেরাপিস্টরা এসব কথা বলেন।
স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি চিকিৎসকদের জাতীয় পেশাজীবী সংগঠন সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্টস (এসএসএলটি), স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি বিভাগ, সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি), বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট (বিএইচপিআই) এবং ময়মনসিংহ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড হেলথ সায়ন্সেস (এমসিপিএইচএস) এই আয়োজন করে। এবারের প্রতিপাদ্য- “আপনার কণ্ঠকে শক্তিশালী করুন।
এমসিপিএইচএস’র স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও এসএসএলট ‘র সভাপতি ফিদা অল শামসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তারা কণ্ঠস্বরের স্বাস্থ্য রক্ষা, সঠিক ব্যবহার এবং কণ্ঠস্বরজনিত সমস্যার সমাধানে সচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তারা বলেন, দিবসের মূল লক্ষ্য, কণ্ঠস্বরের যত্ন এবং স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া।
এর আগে দিবসটিট উপলক্ষে বুধবার সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য রেলির আয়োজন, যা কণ্ঠস্বরের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছে; কণ্ঠস্বরের যত্ন, স্পিচ থেরাপির গুরুত্ব এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্বলিত তথ্যমূলক লিফলেট বিতরণ; এবং কণ্ঠস্বরের স্বাস্থ্য, থেরাপি ও চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মূল্যবান মতামত ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য সিআরপি’র স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও এসএসএলট ‘র সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা সুলতানা বলেন, ‘কণ্ঠস্বর আমাদের পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং এর যত্নে সচেতনতা বৃদ্ধি আমাদের সকলের দায়িত্ব।’
প্রধান আলোচক বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ও হেড-নেক সার্জন অধ্যাপক ডা. শেখ হাসানুর রহমান বলেন, ‘কণ্ঠস্বরের সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে সঠিক চিকিৎসা ও থেরাপির মাধ্যমে এর প্রভাব কমানো সম্ভব।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআরপি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি কেবল চিকিৎসা নয়, এটি মানুষের জীবনমান উন্নত করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম।’
এ সময় আয়োজক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলো কণ্ঠস্বরের সুরক্ষায় আরও ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং থেরাপি সেবাকে সর্বসাধারণের জন্য সহজলভ্য করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা সকলকে কণ্ঠস্বরের যত্নে মনোযোগী হতে এবং এ বিষয়ে অন্যদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএইচপিআই’র ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক মো. ওবায়দুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও এমসিপিএইচএস’র সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) রোকসানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

