জুবাইর আল হাদী
বর্তমান সময়ে চাল, ডাল, কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও অনলাইনে কেনা সম্ভব, তা এখন অনেকেই জানেন। আজকাল অধিকাংশ মানুষ অনলাইনের মাধ্যমেই কাঁচাবাজার করছেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহ করছেন। ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে শুরু করে পোশাক কিংবা ইলেকট্রনিকস—সবই মিলছে এক ক্লিকে।
এমনকি যারা দীর্ঘদিন ধরে গরুর হাটে গিয়ে শিং দেখে, দাঁত পরীক্ষা করে কিংবা গরুর গুঁতো খেয়ে কোরবানির গরু কেনার অভিজ্ঞতায় অভ্যস্ত ছিলেন, তাদেরও অনেকেই এখন খামারের গরু অনলাইনে দেখে পছন্দ করছেন ঘরে বসেই।
মানুষের এই নতুন অভ্যাস প্রতিনিয়তই অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে। একই সঙ্গে নির্ভরশীল করে তুলছে। কেনাকাটা আর লেনদেনের যে সহজতা তৈরি হয়েছে, তা আসলে ই-কমার্স বিপ্লবেরই ফল। এখনকার ব্যবসায়ী চাইলে নিজের দোকান বা শপিং মল থাকলেও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই গ্রাহকের হাতে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। এবার চলুন, যেকোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটিকে যে ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স সহজ করে দিল, তার ইতিহাস সম্পর্কে জেনে আসি।
আজকের দিনের ই-কমার্সকে আমরা সম্পূর্ণ ইন্টারনেটনির্ভর ব্যবসা হিসেবে জানলেও, এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ইন্টারনেট আসার বহু আগে। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে (১৯৬০ সালে) চালু হয় EDI বা ইলেকট্রনিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ সিস্টেম। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ব্যবসায়িক তথ্য একটি নির্দিষ্ট ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে সংরক্ষণ ও বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হয়। মূলত সেখান থেকেই ই-কমার্সের কাঠামোগত ভিত গড়ে ওঠে। সে সময় ব্যবসা পরিচালনার প্রক্রিয়ায় ফোনে অর্ডার গ্রহণ এবং ডাকযোগে পণ্য সরবরাহের প্রচলন ছিল।
পরে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডের সাসেক্সে মাইকেল অল্ডরিচ অনলাইন শপিং পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এর মাধ্যমে ক্রেতা ঘরে বসেই যেকোনো পণ্য পছন্দ ও কিনতে এবং একই সঙ্গে ঘরে বসেই ওই ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে সক্ষম হন। ফলে ক্রেতাকে শারীরিকভাবে যাতায়াতের পরিশ্রম করতে হতো না। তাছাড়া অর্থ পরিবহনে অনিরাপদ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না। তবে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালে এর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে।
বিশেষ করে ১৯৯৪ সালে amazon.com এবং ১৯৯৫ e-bay.com ই-কমার্স ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরুর মাধ্যমে ই-কমার্সের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। ২০১০ সালের পরে মোবাইলের ব্যাপক প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্সের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো (বিশেষ করে ফেসবুক) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে ২০১৩ সালে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় হয়, যার ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মোবাইলের মাধ্যমে আমেরিকার বাজারে কেনাবেচা হয়েছিল।
এছাড়া অনলাইন ট্রানজেকশন প্রসেসিং ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার চালুর ফলে অর্থ লেনদেনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ই-কমার্সের ওপর লোকজন অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ঘরে বসেই পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, নিরাপদে তার মূল্য পরিশোধ করার সুবিধা এবং পণ্য বিপণন ও ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটি সহজ হওয়ার কারণে আজকাল ঘরে বসে ই-কমার্স বা অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে কেনাকাটা অধিকতর সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে।
বর্তমান সময়ে চাল, ডাল, কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও অনলাইনে কেনা সম্ভব, তা এখন অনেকেই জানেন। আজকাল অধিকাংশ মানুষ অনলাইনের মাধ্যমেই কাঁচাবাজার করছেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহ করছেন। ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে শুরু করে পোশাক কিংবা ইলেকট্রনিকস—সবই মিলছে এক ক্লিকে।
এমনকি যারা দীর্ঘদিন ধরে গরুর হাটে গিয়ে শিং দেখে, দাঁত পরীক্ষা করে কিংবা গরুর গুঁতো খেয়ে কোরবানির গরু কেনার অভিজ্ঞতায় অভ্যস্ত ছিলেন, তাদেরও অনেকেই এখন খামারের গরু অনলাইনে দেখে পছন্দ করছেন ঘরে বসেই।
মানুষের এই নতুন অভ্যাস প্রতিনিয়তই অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে। একই সঙ্গে নির্ভরশীল করে তুলছে। কেনাকাটা আর লেনদেনের যে সহজতা তৈরি হয়েছে, তা আসলে ই-কমার্স বিপ্লবেরই ফল। এখনকার ব্যবসায়ী চাইলে নিজের দোকান বা শপিং মল থাকলেও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই গ্রাহকের হাতে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। এবার চলুন, যেকোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটিকে যে ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স সহজ করে দিল, তার ইতিহাস সম্পর্কে জেনে আসি।
আজকের দিনের ই-কমার্সকে আমরা সম্পূর্ণ ইন্টারনেটনির্ভর ব্যবসা হিসেবে জানলেও, এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ইন্টারনেট আসার বহু আগে। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে (১৯৬০ সালে) চালু হয় EDI বা ইলেকট্রনিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ সিস্টেম। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ব্যবসায়িক তথ্য একটি নির্দিষ্ট ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে সংরক্ষণ ও বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হয়। মূলত সেখান থেকেই ই-কমার্সের কাঠামোগত ভিত গড়ে ওঠে। সে সময় ব্যবসা পরিচালনার প্রক্রিয়ায় ফোনে অর্ডার গ্রহণ এবং ডাকযোগে পণ্য সরবরাহের প্রচলন ছিল।
পরে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডের সাসেক্সে মাইকেল অল্ডরিচ অনলাইন শপিং পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এর মাধ্যমে ক্রেতা ঘরে বসেই যেকোনো পণ্য পছন্দ ও কিনতে এবং একই সঙ্গে ঘরে বসেই ওই ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে সক্ষম হন। ফলে ক্রেতাকে শারীরিকভাবে যাতায়াতের পরিশ্রম করতে হতো না। তাছাড়া অর্থ পরিবহনে অনিরাপদ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না। তবে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালে এর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে।
বিশেষ করে ১৯৯৪ সালে amazon.com এবং ১৯৯৫ e-bay.com ই-কমার্স ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরুর মাধ্যমে ই-কমার্সের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। ২০১০ সালের পরে মোবাইলের ব্যাপক প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্সের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো (বিশেষ করে ফেসবুক) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে ২০১৩ সালে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় হয়, যার ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মোবাইলের মাধ্যমে আমেরিকার বাজারে কেনাবেচা হয়েছিল।
এছাড়া অনলাইন ট্রানজেকশন প্রসেসিং ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার চালুর ফলে অর্থ লেনদেনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ই-কমার্সের ওপর লোকজন অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ঘরে বসেই পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, নিরাপদে তার মূল্য পরিশোধ করার সুবিধা এবং পণ্য বিপণন ও ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটি সহজ হওয়ার কারণে আজকাল ঘরে বসে ই-কমার্স বা অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে কেনাকাটা অধিকতর সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে