আহমেদ আরিফ
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ওয়েবসাইটে দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ কোটির বেশি। একজন গ্রাহকের একাধিক সিম থাকায় ইউনিক গ্রাহক সংখ্যা নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। একজন গ্রাহক যদি গড়ে দুটি করে সিম কার্ড ব্যবহার করেন, তাহলে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর ইউনিক গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৯ কোটির বেশি। চারটি মোবাইল অপারেটরের কোটি কোটি মোবাইল ব্যবহারকারীর সমস্যা দেখার দায়িত্বে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে কিংবা মোবাইল অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করে বিটিআরসি থেকে সমাধান পেয়েছেন—এমন ভাগ্যবান মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা হাতে গোনা।
প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে যেখানে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করাটা বিটিআরসির অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত, সেখানে অনলাইনে গ্রাহকদের ন্যূনতম সেবাটুকুও নিশ্চিত করতে পারছে না সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। বিটিআরসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মেন্যু থেকে অভিযোগ অপশনে ক্লিক করলে আলাদা উইন্ডোতে ওপেন হয় https://crm.btrc.gov.bd/ লিংকটি। কিন্তু লিংকটি বিগত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে অকার্যকর। লিংকটি ওপেন হওয়ার পর স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘Testing 123’। ছয় মাস ধরে বারবার চেষ্টা করেও অভিযোগ অপশনটি গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত পাওয়া যায়নি।
গ্রাহকসেবা কর্নারের ‘কল সেন্টার (১০০)’ অপশনে ক্লিক করলে সেবা গ্রহণ পদ্ধতি পর্যায়ে লেখা আছে—‘গ্রাহক টেলিযোগাযোগ সেবা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানার জন্য বা অভিযোগ দেওয়ার জন্য যেকোনো বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর থেকে ১০০ ডায়াল করে সেবাটি গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া BTRC-এর Website-এ Web Complain Box-এ লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে পারবে।’
কিন্তু ব্রাউজারের Find দিয়ে বিটিআরসি হোম পেজে ‘Web Complain Box’ লিখে সার্চ দিয়ে কোনো অপশনই পাওয়া যায়নি। শেষে গুগল সার্চে ‘BTRC Web Complain Box’ লিখে সার্চ দেওয়ার পর ঘুরেফিরে সেই একই অকার্যকর লিংকটি https://crm.btrc.gov.bd/ পাওয়া যায়।
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা অপশনের বিবরণে লেখা আছে—‘গ্রাহকদের সুবিধার্থে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর একটি প্রক্রিয়া হলো Grievance Redress System (GRS)। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা নির্ধারিত ফর্মে অনলাইনে তাদের অভিযোগ দাখিল করতে পারে। গ্রাহকের দাখিল করা অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য নিযুক্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অভিযোগটি কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগে কিংবা অপারেটরদের পাঠানো হয়।’
অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, Grievance Redress System (GRS)-এ অভিযোগ করলে অভিযোগটি যাবে উপসচিব পর্যায়ে।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ভোগান্তি কমাতে অনলাইননির্ভর গ্রাহকসেবাকে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সেবার মান বাড়াচ্ছে। এতে যেমন মোবাইল ব্যবহারকারীরা উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি দায়বদ্ধতাও বাড়ছে মোবাইল অপারেটরগুলোর। তাই কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না, শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফার পরও বিটিআরসি তাদের কোটি কোটি গ্রাহকের জন্য নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে অভিযোগ করার অপশনই রাখেনি।
তাই বিটিআরসির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর অনলাইনে অভিযোগ জানানোর আরেকটি লিংক https://btrc.gov.bd/complainbox পাওয়া যায়। কিন্তু লিংকটি ওপেন করতেই চোখের সামনে ভেসে উঠল—
৪০৪ Oops! Page not found. The page you are looking for doesn’t exist or has been moved.
অভিযোগের একমাত্র পথ হচ্ছে বিটিআরসির ১০০ নম্বরে কল করা। প্রশ্ন হচ্ছে, যেসব মোবাইল গ্রাহক সিম রোমিং করে অন্য দেশে যান তারা কীভাবে অভিযোগ জানাবেন? প্লেন ভাড়া দিয়ে দেশে গিয়ে?
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ওয়েবসাইটে দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ কোটির বেশি। একজন গ্রাহকের একাধিক সিম থাকায় ইউনিক গ্রাহক সংখ্যা নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। একজন গ্রাহক যদি গড়ে দুটি করে সিম কার্ড ব্যবহার করেন, তাহলে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর ইউনিক গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৯ কোটির বেশি। চারটি মোবাইল অপারেটরের কোটি কোটি মোবাইল ব্যবহারকারীর সমস্যা দেখার দায়িত্বে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে কিংবা মোবাইল অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করে বিটিআরসি থেকে সমাধান পেয়েছেন—এমন ভাগ্যবান মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা হাতে গোনা।
প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে যেখানে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করাটা বিটিআরসির অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত, সেখানে অনলাইনে গ্রাহকদের ন্যূনতম সেবাটুকুও নিশ্চিত করতে পারছে না সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। বিটিআরসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মেন্যু থেকে অভিযোগ অপশনে ক্লিক করলে আলাদা উইন্ডোতে ওপেন হয় https://crm.btrc.gov.bd/ লিংকটি। কিন্তু লিংকটি বিগত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে অকার্যকর। লিংকটি ওপেন হওয়ার পর স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘Testing 123’। ছয় মাস ধরে বারবার চেষ্টা করেও অভিযোগ অপশনটি গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত পাওয়া যায়নি।
গ্রাহকসেবা কর্নারের ‘কল সেন্টার (১০০)’ অপশনে ক্লিক করলে সেবা গ্রহণ পদ্ধতি পর্যায়ে লেখা আছে—‘গ্রাহক টেলিযোগাযোগ সেবা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানার জন্য বা অভিযোগ দেওয়ার জন্য যেকোনো বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর থেকে ১০০ ডায়াল করে সেবাটি গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া BTRC-এর Website-এ Web Complain Box-এ লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে পারবে।’
কিন্তু ব্রাউজারের Find দিয়ে বিটিআরসি হোম পেজে ‘Web Complain Box’ লিখে সার্চ দিয়ে কোনো অপশনই পাওয়া যায়নি। শেষে গুগল সার্চে ‘BTRC Web Complain Box’ লিখে সার্চ দেওয়ার পর ঘুরেফিরে সেই একই অকার্যকর লিংকটি https://crm.btrc.gov.bd/ পাওয়া যায়।
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা অপশনের বিবরণে লেখা আছে—‘গ্রাহকদের সুবিধার্থে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর একটি প্রক্রিয়া হলো Grievance Redress System (GRS)। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা নির্ধারিত ফর্মে অনলাইনে তাদের অভিযোগ দাখিল করতে পারে। গ্রাহকের দাখিল করা অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য নিযুক্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অভিযোগটি কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগে কিংবা অপারেটরদের পাঠানো হয়।’
অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, Grievance Redress System (GRS)-এ অভিযোগ করলে অভিযোগটি যাবে উপসচিব পর্যায়ে।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ভোগান্তি কমাতে অনলাইননির্ভর গ্রাহকসেবাকে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সেবার মান বাড়াচ্ছে। এতে যেমন মোবাইল ব্যবহারকারীরা উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি দায়বদ্ধতাও বাড়ছে মোবাইল অপারেটরগুলোর। তাই কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না, শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফার পরও বিটিআরসি তাদের কোটি কোটি গ্রাহকের জন্য নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে অভিযোগ করার অপশনই রাখেনি।
তাই বিটিআরসির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর অনলাইনে অভিযোগ জানানোর আরেকটি লিংক https://btrc.gov.bd/complainbox পাওয়া যায়। কিন্তু লিংকটি ওপেন করতেই চোখের সামনে ভেসে উঠল—
৪০৪ Oops! Page not found. The page you are looking for doesn’t exist or has been moved.
অভিযোগের একমাত্র পথ হচ্ছে বিটিআরসির ১০০ নম্বরে কল করা। প্রশ্ন হচ্ছে, যেসব মোবাইল গ্রাহক সিম রোমিং করে অন্য দেশে যান তারা কীভাবে অভিযোগ জানাবেন? প্লেন ভাড়া দিয়ে দেশে গিয়ে?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে