সুমাইয়া ইয়াসমিন সুম্মু
আপনার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি, কাজের ডকুমেন্ট, অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা প্রিয় সিনেমার সংগ্রহ—সবই হয়তো সযত্নে রাখা আছে কম্পিউটারের ভেতরে ছোট্ট এক যন্ত্রে অর্থাৎ হার্ডডিস্কে। দেখতে সাধারণ হলেও এটি যেন ডেটার বিশাল ভান্ডার। কিন্তু যদি একদিন হঠাৎ করেই হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে যায়? তখন বোঝা যায় কতটা বড় ক্ষতি হতে পারে। তাই এর যত্ন নেওয়া শুধু প্রযুক্তির প্রতি সচেতনতা নয়। বরং নিজের ডেটা সুরক্ষার বুদ্ধিমত্তারও অংশ।
হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অযত্নে ব্যবহার। বিশেষ করে ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের জন্য ঝাঁকুনিই যেন মৃত্যুঘণ্টা। HDD বা মেকানিক্যাল হার্ডডিস্কের ভেতরে প্ল্যাটার ঘোরে এবং সূক্ষ্ম হেড ডেটা পড়ে। কাজ করার সময় হঠাৎ ঝাঁকুনি লাগলে হেড ও প্ল্যাটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ স্থানান্তরের সময় অবশ্যই বন্ধ করে নেওয়া জরুরি
এছাড়া বিদ্যুতের ওঠানামা হার্ডডিস্কের জন্য বিপদ বাড়ে। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়া কিংবা ভোল্টেজ কমবেশি হলে ডেটা হারিয়ে যেতে পারে। এমনকি পুরো ডিস্কই নষ্ট হতে পারে। এ জন্য UPS বা স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন। অনেকেই এসবকে বাড়তি খরচ মনে করেন। কিন্তু একবার হার্ডডিস্ক নষ্ট হলে তার আর্থিক ক্ষতির তুলনায় UPS কেনা অনেক সাশ্রয়ী। শুধু বাইরের ঝুঁকি নয়, ভেতরের সমস্যাও বড় ক্ষতির কারণ। HDD-তে অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমে গেলে ডিস্ক ফ্র্যাগমেন্টেশন হয়। ফলে ডেটা পড়া ও লেখার গতি কমে যায়। তাই নিয়মিত Disk Cleanup আর Defragment করা উচিত। তবে SSD-এর ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম। এতে Defragment করা উচিত নয়। বরং TRIM Command চালু রাখতে হয়, যা ড্রাইভকে সচল ও দ্রুত রাখে।
হার্ডডিস্কের আরেক বড় শত্রু হলো তাপমাত্রা। দীর্ঘসময় গরমে চললে এর মেকানিক্যাল অংশ দ্রুত ক্ষয়ে যায়। তাই ডেস্কটপে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন ও ফ্যান থাকা দরকার। ল্যাপটপে কাজ করলে কুলিং প্যাড ব্যবহার করা ভালো। অনেকেই বিছানায় বসে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। এতে বাতাস চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে গরম হয়, যা হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার হার্ডডিস্কে সংরক্ষিত ডেটার জন্য অদৃশ্য হুমকি। র্যানসমওয়্যারের মতো ম্যালওয়্যার ডেটা এনক্রিপ্ট করে অচল করে দিতে পারে। তাই সবসময় আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা এবং অজানা সফটওয়্যার ইনস্টল না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। স্টোরেজও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। অনেকেই হার্ডডিস্ক পূর্ণ করে ফেলেন। বিশেষত সিনেমা বা গেম ডাউনলোড করে রাখতে রাখতে জায়গা ভরে যায়। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ডডিস্কের সর্বোচ্চ ক্ষমতার ৮০-৮৫ শতাংশ ব্যবহার করাই নিরাপদ। পুরোপুরি ভর্তি হলে ড্রাইভের কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ে।
সবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যাকআপ। যত যত্নই নিন, প্রযুক্তির যন্ত্র হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দিতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যাকআপ রাখুন। এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কে, SSD-তে বা ক্লাউডে। এতে হঠাৎ হার্ডডিস্ক নষ্ট হলেও আপনার মূল্যবান স্মৃতি আর তথ্য নিরাপদ থাকবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, হার্ডডিস্ক টিকিয়ে রাখার মূলমন্ত্র হলো—সতর্ক ব্যবহার, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্ভরযোগ্য ব্যাকআপ। মনে রাখবেন, হার্ডডিস্ক শুধু একটি যন্ত্র নয়। বরং আপনার জীবনের অমূল্য তথ্যভান্ডারের রক্ষক। এর যত্ন নেওয়া মানে ভবিষ্যতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
আপনার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি, কাজের ডকুমেন্ট, অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা প্রিয় সিনেমার সংগ্রহ—সবই হয়তো সযত্নে রাখা আছে কম্পিউটারের ভেতরে ছোট্ট এক যন্ত্রে অর্থাৎ হার্ডডিস্কে। দেখতে সাধারণ হলেও এটি যেন ডেটার বিশাল ভান্ডার। কিন্তু যদি একদিন হঠাৎ করেই হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে যায়? তখন বোঝা যায় কতটা বড় ক্ষতি হতে পারে। তাই এর যত্ন নেওয়া শুধু প্রযুক্তির প্রতি সচেতনতা নয়। বরং নিজের ডেটা সুরক্ষার বুদ্ধিমত্তারও অংশ।
হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অযত্নে ব্যবহার। বিশেষ করে ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের জন্য ঝাঁকুনিই যেন মৃত্যুঘণ্টা। HDD বা মেকানিক্যাল হার্ডডিস্কের ভেতরে প্ল্যাটার ঘোরে এবং সূক্ষ্ম হেড ডেটা পড়ে। কাজ করার সময় হঠাৎ ঝাঁকুনি লাগলে হেড ও প্ল্যাটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ স্থানান্তরের সময় অবশ্যই বন্ধ করে নেওয়া জরুরি
এছাড়া বিদ্যুতের ওঠানামা হার্ডডিস্কের জন্য বিপদ বাড়ে। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়া কিংবা ভোল্টেজ কমবেশি হলে ডেটা হারিয়ে যেতে পারে। এমনকি পুরো ডিস্কই নষ্ট হতে পারে। এ জন্য UPS বা স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন। অনেকেই এসবকে বাড়তি খরচ মনে করেন। কিন্তু একবার হার্ডডিস্ক নষ্ট হলে তার আর্থিক ক্ষতির তুলনায় UPS কেনা অনেক সাশ্রয়ী। শুধু বাইরের ঝুঁকি নয়, ভেতরের সমস্যাও বড় ক্ষতির কারণ। HDD-তে অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমে গেলে ডিস্ক ফ্র্যাগমেন্টেশন হয়। ফলে ডেটা পড়া ও লেখার গতি কমে যায়। তাই নিয়মিত Disk Cleanup আর Defragment করা উচিত। তবে SSD-এর ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম। এতে Defragment করা উচিত নয়। বরং TRIM Command চালু রাখতে হয়, যা ড্রাইভকে সচল ও দ্রুত রাখে।
হার্ডডিস্কের আরেক বড় শত্রু হলো তাপমাত্রা। দীর্ঘসময় গরমে চললে এর মেকানিক্যাল অংশ দ্রুত ক্ষয়ে যায়। তাই ডেস্কটপে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন ও ফ্যান থাকা দরকার। ল্যাপটপে কাজ করলে কুলিং প্যাড ব্যবহার করা ভালো। অনেকেই বিছানায় বসে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। এতে বাতাস চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে গরম হয়, যা হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার হার্ডডিস্কে সংরক্ষিত ডেটার জন্য অদৃশ্য হুমকি। র্যানসমওয়্যারের মতো ম্যালওয়্যার ডেটা এনক্রিপ্ট করে অচল করে দিতে পারে। তাই সবসময় আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা এবং অজানা সফটওয়্যার ইনস্টল না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। স্টোরেজও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। অনেকেই হার্ডডিস্ক পূর্ণ করে ফেলেন। বিশেষত সিনেমা বা গেম ডাউনলোড করে রাখতে রাখতে জায়গা ভরে যায়। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ডডিস্কের সর্বোচ্চ ক্ষমতার ৮০-৮৫ শতাংশ ব্যবহার করাই নিরাপদ। পুরোপুরি ভর্তি হলে ড্রাইভের কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ে।
সবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যাকআপ। যত যত্নই নিন, প্রযুক্তির যন্ত্র হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দিতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যাকআপ রাখুন। এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কে, SSD-তে বা ক্লাউডে। এতে হঠাৎ হার্ডডিস্ক নষ্ট হলেও আপনার মূল্যবান স্মৃতি আর তথ্য নিরাপদ থাকবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, হার্ডডিস্ক টিকিয়ে রাখার মূলমন্ত্র হলো—সতর্ক ব্যবহার, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্ভরযোগ্য ব্যাকআপ। মনে রাখবেন, হার্ডডিস্ক শুধু একটি যন্ত্র নয়। বরং আপনার জীবনের অমূল্য তথ্যভান্ডারের রক্ষক। এর যত্ন নেওয়া মানে ভবিষ্যতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪২ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
১ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচার
২ ঘণ্টা আগে