আরিফ বিন নজরুল
ডিজিটাল যুগে পড়াশোনার ধরন বদলে গেছে। আগে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই, নোট ও রেফারেন্স বই ঘেঁটে তথ্য বের করতে হতো। এখন সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি কয়েক সেকেন্ডেই সেই কাজ সেরে দিচ্ছে। এআই শুধু তথ্য খুঁজে দেয় না। বরং নোট তৈরি, সারাংশ লেখা, অনুবাদ, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, এমনকি পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও সহায়তা করছে।
সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এই প্রযুক্তি শিক্ষার্থীর সময় ও পরিশ্রম দুটোই বাঁচায়। শেখাকে করে আরো আকর্ষণীয়। পড়াশোনার সময় নোট নেওয়া একটি অপরিহার্য কাজ। তবে ক্লাসে লেকচার শোনার পাশাপাশি হাতে লিখে বা টাইপ করে নোট নেওয়া অনেক সময় কষ্টকর হয়।
এখানে Notion AI, Evernote, OneNote বা Obsidian-এর মতো এআই-সমর্থিত নোট অ্যাপগুলো সাহায্যে আসে। আপনি শুধু লেকচারের অডিও রেকর্ড বা পাঠ্যবইয়ের কনটেন্ট অ্যাপে দিয়ে দিলে এআই মূল পয়েন্টগুলো সাজিয়ে সুন্দরভাবে নোট তৈরি করে দেয়। কিছু অ্যাপ যেমন : Otter.ai বা Sonix সরাসরি অডিওকে টেক্সটে রূপান্তর করে দেয়। ফলে শিক্ষক যা বলছেন, তার পুরো নোট আপনি সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যান।
একটি গবেষণাপত্র, প্রবন্ধ বা দীর্ঘ অধ্যায় পড়তে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ChatGPT, Quillbot, SMMRY কিংবা Scholarcy-এর মতো এআই টুল কয়েক সেকেন্ডেই মূল বিষয়গুলো তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত সারাংশ তৈরি করতে পারে। যেমন : আপনি যদি ৩০ পৃষ্ঠার একটি প্রবন্ধ পড়তে না পারেন। তাহলে Scholarcy সেই প্রবন্ধকে ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ভেঙে দেবে। এমনকি গ্রাফ বা চার্ট আকারেও উপস্থাপন করবে। ফলে পরীক্ষার আগে দ্রুত রিভিশন নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
বিদেশি রিসোর্স বা আর্টিকেল বুঝতে না পারা পড়াশোনার বড় বাধা হতে পারে। Google Translate, DeepL, Microsoft Translator কিংবা এআই-চালিত Reverso এ সমস্যার সমাধান করে। শুধু টেক্সট, ওয়েবসাইটের লিংক বা পিডিএফ আপলোড করলেই কয়েক সেকেন্ডে আপনার পছন্দের ভাষায় অনুবাদ পেয়ে যাবেন। উদাহরণস্বরূপ, কোনো জাপানি গবেষণা প্রবন্ধ বাংলায় অনুবাদ করে সহজেই পড়া সম্ভব, যা আগে বিশেষজ্ঞ ছাড়া প্রায় অসম্ভব ছিল।
এআই শুধু নোট বা অনুবাদে নয়। বরং পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও সাহায্য করে। যেমন : Quizlet বা Brainscape আপনার দেওয়া পাঠ্যবস্তু থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রশ্ন তৈরি করে দিতে পারে। ChatGPT-কে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর প্রশ্ন তৈরি করতে বললে সে MCQ, True/False কিংবা শর্ট কোয়েশ্চন তৈরি করে দেবে, যা প্র্যাকটিসের জন্য দারুণ কাজে লাগে।
যদিও এআই পড়াশোনায় অসাধারণ সুবিধা দেয়। তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক সময় এআই ভুল বা পুরোনো তথ্য দিতে পারে। বিশেষ করে একাডেমিক বা বৈজ্ঞানিক তথ্যের ক্ষেত্রে। তাই কোনো অ্যাসাইনমেন্ট বা গবেষণায় ব্যবহার করার আগে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে যাচাই করা জরুরি। এ ছাড়া, অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা এড়িয়ে নিজের চিন্তাশক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা এখন আর শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এআই হয়ে উঠতে পারে এক অদৃশ্য ব্যক্তিগত শিক্ষক। যে সারাদিন আপনার সঙ্গে থেকে নোট তৈরি করবে, পাঠের সারমর্ম শোনাবে। ভাষার বাধা ভাঙবে এবং আপনাকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করবে। তা আবার খুব কম সময়ে ও সহজ উপায়ে।
ডিজিটাল যুগে পড়াশোনার ধরন বদলে গেছে। আগে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই, নোট ও রেফারেন্স বই ঘেঁটে তথ্য বের করতে হতো। এখন সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি কয়েক সেকেন্ডেই সেই কাজ সেরে দিচ্ছে। এআই শুধু তথ্য খুঁজে দেয় না। বরং নোট তৈরি, সারাংশ লেখা, অনুবাদ, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, এমনকি পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও সহায়তা করছে।
সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এই প্রযুক্তি শিক্ষার্থীর সময় ও পরিশ্রম দুটোই বাঁচায়। শেখাকে করে আরো আকর্ষণীয়। পড়াশোনার সময় নোট নেওয়া একটি অপরিহার্য কাজ। তবে ক্লাসে লেকচার শোনার পাশাপাশি হাতে লিখে বা টাইপ করে নোট নেওয়া অনেক সময় কষ্টকর হয়।
এখানে Notion AI, Evernote, OneNote বা Obsidian-এর মতো এআই-সমর্থিত নোট অ্যাপগুলো সাহায্যে আসে। আপনি শুধু লেকচারের অডিও রেকর্ড বা পাঠ্যবইয়ের কনটেন্ট অ্যাপে দিয়ে দিলে এআই মূল পয়েন্টগুলো সাজিয়ে সুন্দরভাবে নোট তৈরি করে দেয়। কিছু অ্যাপ যেমন : Otter.ai বা Sonix সরাসরি অডিওকে টেক্সটে রূপান্তর করে দেয়। ফলে শিক্ষক যা বলছেন, তার পুরো নোট আপনি সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যান।
একটি গবেষণাপত্র, প্রবন্ধ বা দীর্ঘ অধ্যায় পড়তে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ChatGPT, Quillbot, SMMRY কিংবা Scholarcy-এর মতো এআই টুল কয়েক সেকেন্ডেই মূল বিষয়গুলো তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত সারাংশ তৈরি করতে পারে। যেমন : আপনি যদি ৩০ পৃষ্ঠার একটি প্রবন্ধ পড়তে না পারেন। তাহলে Scholarcy সেই প্রবন্ধকে ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ভেঙে দেবে। এমনকি গ্রাফ বা চার্ট আকারেও উপস্থাপন করবে। ফলে পরীক্ষার আগে দ্রুত রিভিশন নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
বিদেশি রিসোর্স বা আর্টিকেল বুঝতে না পারা পড়াশোনার বড় বাধা হতে পারে। Google Translate, DeepL, Microsoft Translator কিংবা এআই-চালিত Reverso এ সমস্যার সমাধান করে। শুধু টেক্সট, ওয়েবসাইটের লিংক বা পিডিএফ আপলোড করলেই কয়েক সেকেন্ডে আপনার পছন্দের ভাষায় অনুবাদ পেয়ে যাবেন। উদাহরণস্বরূপ, কোনো জাপানি গবেষণা প্রবন্ধ বাংলায় অনুবাদ করে সহজেই পড়া সম্ভব, যা আগে বিশেষজ্ঞ ছাড়া প্রায় অসম্ভব ছিল।
এআই শুধু নোট বা অনুবাদে নয়। বরং পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও সাহায্য করে। যেমন : Quizlet বা Brainscape আপনার দেওয়া পাঠ্যবস্তু থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রশ্ন তৈরি করে দিতে পারে। ChatGPT-কে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর প্রশ্ন তৈরি করতে বললে সে MCQ, True/False কিংবা শর্ট কোয়েশ্চন তৈরি করে দেবে, যা প্র্যাকটিসের জন্য দারুণ কাজে লাগে।
যদিও এআই পড়াশোনায় অসাধারণ সুবিধা দেয়। তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক সময় এআই ভুল বা পুরোনো তথ্য দিতে পারে। বিশেষ করে একাডেমিক বা বৈজ্ঞানিক তথ্যের ক্ষেত্রে। তাই কোনো অ্যাসাইনমেন্ট বা গবেষণায় ব্যবহার করার আগে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে যাচাই করা জরুরি। এ ছাড়া, অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা এড়িয়ে নিজের চিন্তাশক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা এখন আর শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এআই হয়ে উঠতে পারে এক অদৃশ্য ব্যক্তিগত শিক্ষক। যে সারাদিন আপনার সঙ্গে থেকে নোট তৈরি করবে, পাঠের সারমর্ম শোনাবে। ভাষার বাধা ভাঙবে এবং আপনাকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করবে। তা আবার খুব কম সময়ে ও সহজ উপায়ে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৪ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৪ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৫ ঘণ্টা আগে