প্রত্যয়: সাফল্যের গল্প

জামাল উদ্দিন জামাল
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৫, ১৫: ৩৫

বুরো বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠা, এগিয়ে যাওয়ার গল্প ও শ্রমজীবী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির ভূমিকা নিয়ে বিশেষ সংখ্যা “প্রত্যয়”। বুরো বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন তরুণ বয়সেই শ্রেণী-বৈষম্যহীন সমাজ ও মেহনতী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বিপ্লবী রাজনীতিতে জড়িতে ছিলেন। সে সময় বাম রাজনীতির ধারা ছিল তুঙ্গে।

সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে কারো বা কোন দলের পক্ষেই সেই স্বপ্ন দেখা বিপ্লব আর সামাজ পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। জাকির হোসেন থেমে থাকেননি। তিনি প্রথমে বুরো টাঙ্গাইল পরে এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের কারনে নামকরন হয় বুরো বাংলাদেশ। ব্যাপক প্রসার ও বিস্তৃতি ঘটে। সাফল্যের শীর্ষে চলে যায়।

বিজ্ঞাপন

দেশব্যাপী বুরো বাংলাদেশের শাখা এখন ১৫০০ শত। বুরো বাংলাদেশের ৩৪ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী নিয়ে প্রত্যেয়ের বিশেষ আয়োজন। বুরো বাংলাদেশ এর এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে জাকির হোসেরের দৃঢ়তা, সততা, জবাবদিহীতা, স্বচ্ছতা, সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী ও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে। সে কথাই তুলে ধরা হয়েছে প্রত্যয়ের বিশেষ সংখ্যায়। প্রত্যয়ে বিশেষ সংখ্যায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠতাদের সাক্ষাৎকার, লেখা, ইতিহাস পুরানো ও নতুন ছবি প্রত্যয় অধিকতর সমৃদ্ধ হয়েছে। প্রত্যয় এর উপদেষ্টা সম্পদক জাকির হোসেন।

প্রত্যয়ের এই সংখ্যা পাঠ করলে বিশেষ করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উদ্যেগক্তা হতে আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং তারা সফল হবে। বুরো বাংলাদেশ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠতা ও বুরো ক্রাফটের চেয়ার পারর্সোন ও বুলো হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশনের অবতৈনিক পরিচালক ও জাকির হোসেনের সহধর্মীনি রাহেলা জাকিরের এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে উজ্জল ভূমিকা যে কথাও প্রত্যয়ে তুলে ধরেছে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে বলেছেন এভাবে, “শুধু আর্থীকভাবে স্বাবলম্বী করলেই যে নাররি ক্ষমতায়ন হয় এটি আমি বিশ্বাস করি না।

দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করতো একজন নারী। বুরো বাংলাদেশ এর ঋণ সহযোগীতায় তার বদলে যায় জীবনের গল্প। নিজের মুখে সেই দরিদ্র নারী জ্যোৎস্না রানী ঘোষ বলেছেন বুরো বাংলাদেশ আমাদের পথ দেখিয়েছে বলেই দরিদ্র থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। অনেক সাফল্য। কোনটা থেকে কোনটা বলি। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি। তারা বেশ সুখেই আছে। ছেলে চট্্রগ্রামে কাপড়ের ব্যবসা করে দিয়েছে বনফুল মিষ্টির দোকানও।

নিজ খরচে ইন্ডিয়া ৮টি প্রদেশ ভ্রমণ করেছি। এটা কি কম কথা। আপন জনের মতো হয়ে বুরো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক দু’হাত প্রসারিত করেছিলেন। তার সহযোগীতায় এখন বাঁশের বেড়ার ঘরে থাকতে হয় না। তার ঘরে এখন টিভি ফ্রিজ সবই আছে। জোৎস্না রাণী ঘোষও এখন হতদরিদ্রদের জন্য কাজ করার আশা রাখেন। এভাবেই জাকির হোসেনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বুরো বাংলাদেশের মাধ্যমে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পাশা-পাশি শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সভ্যতা বদলে দিয়েছে। ভাবতেই অবাক লাগে বুরো বাংলাদেশ কতো দ্রুত গতিতে পাল্টে দিলো মানুষের জীবনের মান। জাকির হোসেনর সততা ও জবাদিহীতাই ছিলো

এই প্রতিষ্ঠানের মূল শক্তি। তিনি একজন টাঙ্গাইল শহরের সম্ভ্রান্ত মুসলীম ও ধনী পরিবারের সন্তান। আর্থীকভাবে তার পিছু টান ছিলো না, আর এ কারনেই অসৎ হওয়ারও সুযোগ ছিলো না। তার জীবনের স্বপ্ন ছিলো দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিকক মুক্তি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারনে বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করে বেছে নিয়েছিলেন বুরো বাংলাদেশ। তার এই সাফল্য বুরো বাংলাদেশের কর্মকান্ড বিস্তৃতভাবে স্থান পেয়েছে এই প্রত্যয়ে।

সম্পাদনা করেছেন ফেরদৌস সালাম ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ফারমিনা হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক বিদ্যুত খোশনবীশ। প্রচ্ছদ ও অলংকরন করেছেন আল মামুন খোকন। প্রত্যয়ের মূল্য ৩০০ টাকা।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত