মৌমিতা আহমেদ
ব্লক প্রিন্ট সব সময়ই ফ্যাশন সচেতন মানুষের প্রিয়। ব্লক প্রিন্টের নকশা নতুন না হলেও সবসময়ই চাহিদা রয়েছে। ফ্যাশন সচেতন মানুষকে ব্লক প্রিন্টের নকশা আকৃষ্ট করে। কাঠের ওপর করা নকশা নানা রঙে ডুবিয়ে কাপড়ের ওপর একের পর এক ছাপ দিয়ে নানা রঙের নকশা রাঙিয়ে তোলা হয়, ফুটে ওঠে মনের রঙিন বায়নাগুলো।
পোশাক, বিছানার চাদর, কুশনের কাভার কিংবা জানালার পর্দায় যখন ব্লকের মাধ্যমে নিজের পছন্দমতো নকশা ফুটিয়ে তোলা যায়, তখন অন্য রকম এক আনন্দ পাওয়া যায়। অনেকে এটা-ওটায় ব্লক করে পছন্দের মানুষকে উপহারও দিয়ে থাকেন। নিজেই করা যায়, চাইলে ফরমায়েশ দিয়ে করিয়েও নিতে পারেন। তবে ব্লকের কাপড়ের নিতে হয় আলাদা যত্ন, ব্লক করার সময় রাখতে হয় বিশেষ সতর্কতা। এসব বিষয়ে জানান বিশেষজ্ঞ ডিজাইনাররা।
ব্লকের ধরন
সাধারণত দুই ধরনের ব্লক হয় বলে জানান মনিরা মোরশেদ। একটা রাসায়নিক ডাই, আরেকটা ভেজিটেবল ডাইয়ের জন্য। ভেজিটেবল ডাইয়ের ব্লকে ঝামেলা বেশি। অল্প সময়ের মধ্যে ও সহজ উপায়ে কাজ করতে চাইলে রাসায়নিক রঙ ভালো বলে মনে করেন তিনি। বিশেষ করে যারা শখের বশে ঘরে বসে ব্লক করেন তাদের জন্য। ভেজিটেবল ডাই সময়সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে নিজেকে রঙ বানিয়ে নিতে হবে।
প্রয়োজনীয় সামগ্রী
কাপড়ে ব্লক প্রিন্ট করার জন্য বাজারে আলাদা রঙ কিনতে পাওয়া যায়। দাম নির্ভর করবে মানের ওপর। রাসায়নিক উপাদানের ওপরই নির্ভর করবে রঙ কতটা টেকসই হবে, বলেন লিপি খন্দকার। তাই তার পরামর্শ, সবচেয়ে ভালো রাসায়নিক উপাদান কেনা উচিত। রাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে রঙ গুলিয়ে নিতে হয়। রঙের দোকানে গিয়ে বললেই ব্লকের জন্য আপনাকে পুরো সেট ধরিয়ে দেবে দোকানি। সেখানে থাকবে এনকে, নিউট্রেক, এপিটন, বাইন্ডার, গ্লিসারিন ইত্যাদি। এর বাইরে কাঠের নকশার ব্লক ও রঙ তো লাগবেই। প্রয়োজন রঙ গোলানোর ট্রে, কাপড় বিছিয়ে ব্লক করার জন্য টেবিল, আর ব্লক করার আগে মূল কাপড়ের নিচে দেওয়ার জন্য ফোম অথবা মোটা কাপড়। সবার মনে রাখতে হবে, হুট করে যেন কেউ ব্লক না করেন, বলেন ডিজাইনার লিপি খন্দকার। আগে শিখে নিয়ে করা উচিত। কেননা একেক ধরনের কাপড়ে ব্লক করার জন্য আলাদা পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করতে হয় রঙের সঙ্গে। সেটা না জেনে করলে পণ্ডশ্রম ছাড়া কিছুই হবে না।
কোন কাপড়ে ব্লক করা যায়
ডিজাইনাদের মতে, যেকোনো কাপড়েই ব্লক প্রিন্ট করা যায়। তবে সুতি, এন্ডি সিল্ক বা এ ধরনের কাপড়ে ব্লকের রঙ বেশি দিন টেকে, ব্লক প্রিন্ট বসেও খুব ভালোভাবে।
ব্লকের কাপড়ের যত্ন
আমাদের দেশে যেহেতু হাতে ব্লকের ছাপ দেওয়া হয়, তাই যত্ন নেওয়াটা জরুরি। মনিরা মোরশেদ বলেন, ‘ব্লক প্রিন্টের কাপড় অন্য কাপড় থেকে আলাদা করে গোসলের সাবান অথবা শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে হয়। ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে না। কড়া রোদে শুকিয়ে উল্টো পাশে ইস্ত্রি করতে হয়।’ ব্লক প্রিন্টের রঙ একটা সময় পর ধীরে ধীরে মলিন হয়ে যেতে থাকে। যত্ন নিলে বেশি সময় টিকে যাবে। সোনালি বা রুপালি রঙ ব্যবহার করলে তা খুব দ্রুত মলিন হয়ে যায়। এই দুটো রঙ মলিন হতে হতে একটা সময় উধাও হয়ে যায়। খুব শখ হলে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্লকের কাপড় ভাঁজ করে তুলে রাখলে সমস্যা নেই। আলমারিতে ঝুলিয়ে রাখতে পারলে বেশি ভালো। কাপড়ে যেন পোকা না ধরে এবং সুগন্ধি থাকে, সেজন্য দারুচিনি ও এলাচি টুকরো বেঁধে কাপড়ের ভাঁজে রাখতে পারেন। তা না হলে ন্যাপথলিন তো আছেই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ‘অনেক দিন যদি ব্লকের কাপড় ব্যবহার না করেন, তাহলে মাঝে মাঝে রোদে দিন।’
চাইলে ফরমায়েশ দিয়েও কাপড়ের ওপর ব্লক করিয়ে নিতে পারেন। নিউমার্কেটের তিনতলার ব্লক মার্কেটে যেন পসরা বসে নানা নকশার। সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, তারা কাপড়ে ব্লক করে দেওয়ার ফরমায়েশ যেমন নিয়ে থাকেন, তেমনি কাঠের ব্লক তৈরি করে দেন। এছাড়া এখানে ব্লকের সুতি থ্রিপিসের বেশ সমাহার। তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ে তারা নিজেদের হাতে করা থ্রিপিস বিক্রিও করেন। রাজধানীর গাউছিয়া ও নিউমার্কেটে ব্লক প্রিন্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া খুব সহজ। এখানে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে ব্লক করার জন্য রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া যায়।
এছাড়া কাঠের ব্লক কিনতে বা পছন্দসই নকশা দেখিয়ে বানিয়ে নিতে পারবেন। কাঠের ব্লকের দাম নকশা অনুযায়ী হেরফের হবে। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকার ওপরেও ব্লকের দাম হাঁকেন বিক্রেতারা।
ব্লক প্রিন্ট সব সময়ই ফ্যাশন সচেতন মানুষের প্রিয়। ব্লক প্রিন্টের নকশা নতুন না হলেও সবসময়ই চাহিদা রয়েছে। ফ্যাশন সচেতন মানুষকে ব্লক প্রিন্টের নকশা আকৃষ্ট করে। কাঠের ওপর করা নকশা নানা রঙে ডুবিয়ে কাপড়ের ওপর একের পর এক ছাপ দিয়ে নানা রঙের নকশা রাঙিয়ে তোলা হয়, ফুটে ওঠে মনের রঙিন বায়নাগুলো।
পোশাক, বিছানার চাদর, কুশনের কাভার কিংবা জানালার পর্দায় যখন ব্লকের মাধ্যমে নিজের পছন্দমতো নকশা ফুটিয়ে তোলা যায়, তখন অন্য রকম এক আনন্দ পাওয়া যায়। অনেকে এটা-ওটায় ব্লক করে পছন্দের মানুষকে উপহারও দিয়ে থাকেন। নিজেই করা যায়, চাইলে ফরমায়েশ দিয়ে করিয়েও নিতে পারেন। তবে ব্লকের কাপড়ের নিতে হয় আলাদা যত্ন, ব্লক করার সময় রাখতে হয় বিশেষ সতর্কতা। এসব বিষয়ে জানান বিশেষজ্ঞ ডিজাইনাররা।
ব্লকের ধরন
সাধারণত দুই ধরনের ব্লক হয় বলে জানান মনিরা মোরশেদ। একটা রাসায়নিক ডাই, আরেকটা ভেজিটেবল ডাইয়ের জন্য। ভেজিটেবল ডাইয়ের ব্লকে ঝামেলা বেশি। অল্প সময়ের মধ্যে ও সহজ উপায়ে কাজ করতে চাইলে রাসায়নিক রঙ ভালো বলে মনে করেন তিনি। বিশেষ করে যারা শখের বশে ঘরে বসে ব্লক করেন তাদের জন্য। ভেজিটেবল ডাই সময়সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে নিজেকে রঙ বানিয়ে নিতে হবে।
প্রয়োজনীয় সামগ্রী
কাপড়ে ব্লক প্রিন্ট করার জন্য বাজারে আলাদা রঙ কিনতে পাওয়া যায়। দাম নির্ভর করবে মানের ওপর। রাসায়নিক উপাদানের ওপরই নির্ভর করবে রঙ কতটা টেকসই হবে, বলেন লিপি খন্দকার। তাই তার পরামর্শ, সবচেয়ে ভালো রাসায়নিক উপাদান কেনা উচিত। রাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে রঙ গুলিয়ে নিতে হয়। রঙের দোকানে গিয়ে বললেই ব্লকের জন্য আপনাকে পুরো সেট ধরিয়ে দেবে দোকানি। সেখানে থাকবে এনকে, নিউট্রেক, এপিটন, বাইন্ডার, গ্লিসারিন ইত্যাদি। এর বাইরে কাঠের নকশার ব্লক ও রঙ তো লাগবেই। প্রয়োজন রঙ গোলানোর ট্রে, কাপড় বিছিয়ে ব্লক করার জন্য টেবিল, আর ব্লক করার আগে মূল কাপড়ের নিচে দেওয়ার জন্য ফোম অথবা মোটা কাপড়। সবার মনে রাখতে হবে, হুট করে যেন কেউ ব্লক না করেন, বলেন ডিজাইনার লিপি খন্দকার। আগে শিখে নিয়ে করা উচিত। কেননা একেক ধরনের কাপড়ে ব্লক করার জন্য আলাদা পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করতে হয় রঙের সঙ্গে। সেটা না জেনে করলে পণ্ডশ্রম ছাড়া কিছুই হবে না।
কোন কাপড়ে ব্লক করা যায়
ডিজাইনাদের মতে, যেকোনো কাপড়েই ব্লক প্রিন্ট করা যায়। তবে সুতি, এন্ডি সিল্ক বা এ ধরনের কাপড়ে ব্লকের রঙ বেশি দিন টেকে, ব্লক প্রিন্ট বসেও খুব ভালোভাবে।
ব্লকের কাপড়ের যত্ন
আমাদের দেশে যেহেতু হাতে ব্লকের ছাপ দেওয়া হয়, তাই যত্ন নেওয়াটা জরুরি। মনিরা মোরশেদ বলেন, ‘ব্লক প্রিন্টের কাপড় অন্য কাপড় থেকে আলাদা করে গোসলের সাবান অথবা শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে হয়। ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে না। কড়া রোদে শুকিয়ে উল্টো পাশে ইস্ত্রি করতে হয়।’ ব্লক প্রিন্টের রঙ একটা সময় পর ধীরে ধীরে মলিন হয়ে যেতে থাকে। যত্ন নিলে বেশি সময় টিকে যাবে। সোনালি বা রুপালি রঙ ব্যবহার করলে তা খুব দ্রুত মলিন হয়ে যায়। এই দুটো রঙ মলিন হতে হতে একটা সময় উধাও হয়ে যায়। খুব শখ হলে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্লকের কাপড় ভাঁজ করে তুলে রাখলে সমস্যা নেই। আলমারিতে ঝুলিয়ে রাখতে পারলে বেশি ভালো। কাপড়ে যেন পোকা না ধরে এবং সুগন্ধি থাকে, সেজন্য দারুচিনি ও এলাচি টুকরো বেঁধে কাপড়ের ভাঁজে রাখতে পারেন। তা না হলে ন্যাপথলিন তো আছেই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ‘অনেক দিন যদি ব্লকের কাপড় ব্যবহার না করেন, তাহলে মাঝে মাঝে রোদে দিন।’
চাইলে ফরমায়েশ দিয়েও কাপড়ের ওপর ব্লক করিয়ে নিতে পারেন। নিউমার্কেটের তিনতলার ব্লক মার্কেটে যেন পসরা বসে নানা নকশার। সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, তারা কাপড়ে ব্লক করে দেওয়ার ফরমায়েশ যেমন নিয়ে থাকেন, তেমনি কাঠের ব্লক তৈরি করে দেন। এছাড়া এখানে ব্লকের সুতি থ্রিপিসের বেশ সমাহার। তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ে তারা নিজেদের হাতে করা থ্রিপিস বিক্রিও করেন। রাজধানীর গাউছিয়া ও নিউমার্কেটে ব্লক প্রিন্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া খুব সহজ। এখানে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে ব্লক করার জন্য রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া যায়।
এছাড়া কাঠের ব্লক কিনতে বা পছন্দসই নকশা দেখিয়ে বানিয়ে নিতে পারবেন। কাঠের ব্লকের দাম নকশা অনুযায়ী হেরফের হবে। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকার ওপরেও ব্লকের দাম হাঁকেন বিক্রেতারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
১ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
২ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
২ ঘণ্টা আগে