বিউটি হাসু
সাগরের বুকে অস্তমিত সূর্যের ম্রিয়মাণ আলোর রূপ দেখতে, বিশুদ্ধ বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে কার না ভালো লাগে! সাগরের উত্তাল হাওয়া সাময়িকভাবে হলেও বুকের ভেতর জমে থাকা দীর্ঘশ্বাসের কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। সমুদ্রের শুভ্র সফেন প্রমোদহাস্য রূপ মনকে করে প্রসন্ন। উত্তাল ঢেউয়ের শীতল স্পর্শ তপ্ত মন ভিজিয়ে দেয়। দিনশেষে বিকেলের অস্তমিত সূর্যের রক্তিম আভা মনকে করে বিমোহিত। সবুজ কার্পেটে মোড়ানো পাহাড়ের শান্ত রূপ মনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। এ সুযোগটি শুধু মেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে।
প্রকৃতির নৈসর্গিক হাতছানির সঙ্গে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের উন্মাদনা, বন্দরের কর্মব্যস্ততা, সেইসঙ্গে সবুজে ছাওয়া পাহাড়ের মৌনতা সৈকতটিকে ভিন্ন রূপ দিয়েছে। এখানে সমুদ্রের সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর ঘটেছে মিলনমেলা।
ব্যস্ততম শহর ঢাকার যানজট ও কোলাহলময় কর্মব্যস্ততা ছেড়ে পাড়ি জমাই প্রকৃতির নিখুঁত রূপের হাতছানিপূর্ণ শুভ্র সাগর আর সবুজ পাহাড়ঘেরা চট্টগ্রামে খালার বাসায়। যান্ত্রিকতা ছেড়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সরস রূপে নিমগ্ন হয়ে মুক্তির স্বাদ আস্বাদনে বেরিয়ে পড়ি ঈদের দিনটিতেই। দুপুর থেকে বিকেল, বিকেল থেকে সন্ধ্যা কেটেছে রাস্তায় সবুজের শান্ত-শ্যামল রূপ দেখে পথ চলতে চলতে। প্রকৃতির অপরূপ সাগরে হারিয়ে বারবার খুঁজে ফিরেছি থৈ। আর আনমনে বারবার গেয়েছি—
‘যারে জীবন দিলা জীবন গড়িতে
তারে বৈরাগী মন কেন দিলারে?’
সবুজে ঘেরা মৌন পাহাড়রাজি, প্রাণোচ্ছল সাগরের কল্লোলধ্বনি, কর্ণফুলীর কলতান, হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিপুল বৈভবে ঐশ্বর্যশালী চট্টগ্রাম। এ নগরে বন্দরের প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের আকর্ষণে ছুটে এসেছে এশিয়া-ইউরোপ-আফ্রিকার ভিনদেশি নাবিকরা, এসেছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক। কেউ কেউ আবার প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হয়ে বাঁধা পড়েছে এখনকার জীবন ও জীবিকার সঙ্গে, ঘর বেঁধেছে- হয়েছে সংসারী। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষের ভাষা, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও চালচলন এ নগর এবং নগরবাসীকে করেছে ঐশ্বর্যশালী। বিচিত্র সংস্কৃতির জীবনগাথা চট্টগ্রামের পরিচিতিকে এক ব্যতিক্রমী মর্যাদা দিয়েছে। এছাড়া পর্যটননগরী হিসেবে চট্টগ্রামের রয়েছে আলাদা ঐতিহ্য।
ভ্রমণপিপাসুদের কাছে চট্টগ্রাম নগরীর প্রিয় স্থান হচ্ছে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই সমুদ্রসৈকত। শাহ আমানত বিমানবন্দরের কাছেই এ দৃষ্টিনন্দন সৈকতটির অবস্থান। শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। নান্দনিক প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। সম্পদে ঐশ্বর্যশালী বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর থাকে এ সৈকতটি। এখানে দাঁড়িয়ে বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজগুলো দেখা যায়। সন্ধ্যা নামলে সেগুলোকে সমুদ্রের বুকে একটি আলো ঝলমলে শহরের মতো মনে হয়। পতেঙ্গা সৈকতে সূর্যাস্তের দৃশ্যও অবর্ণনীয় সুন্দর।
দুপাশে পাহাড়, একপাশে নদী, অন্যপাশে সাগরের গভীর জলরাশি। কর্ণফুলীর মোহনা, পৃথিবীর সুন্দরতম এক নদীর মোহনা। এপারে বিমানবন্দর আর নেভাল। বর্তমানে নেভাল ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়া হয়েছে। আর ওপারে দেয়াং পাহাড়, মরিয়ম আশ্রম আর মেরিন একাডেমি। ভ্রমণপিপাসুরা পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে শুধু অপরূপ সাগর সঙ্গম দেখে মুগ্ধ হন না; আরও শুনতে পান প্রাণোচ্ছল সাগরের কল্লোলধ্বনি, নীল জলরাশির উত্তাল ঢেউ। বিশ্বের নানা দেশের পতাকাবাহী নোঙর করা জাহাজের সারি নয়নাভিরাম দৃশ্যের সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে এরকম সৌন্দর্যে ভরপুর দ্বিতীয় কোনো নদীর মোহনা খুঁজে পাওয়া বিরল।
কর্ণফুলী নদীর নামকরণের ইতিহাস লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে।
সংক্ষেপে এ নদীর নামকরণ: আদিবাসী এক রাজপুত্রের প্রেমে পড়েন আরাকানের রাজকন্যা। এক জোছনা আলোয় ঝলমলে রাত। আলোকিত রাতে তারা নৌভ্রমণে বের হন। নদীর স্বচ্ছ পানিতে চাঁদের প্রতিফলন দেখার সময় রাজকন্যার কানের ফুল পানিতে পড়ে যায়। ফুলটি হারিয়ে উতলা রাজকন্যা তা উদ্ধারের জন্য পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রবল স্রোতের টানে রাজকন্যা ভেসে যান। তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাজপুত্র তখন রাজকন্যাকে বাঁচাতে পানিতে লাফ দেন, কিন্তু তাকে বাঁচাতে ব্যর্থ হন। রাজকন্যার শোকে কাতর রাজপুত্র পানিতে ডুবে আত্মাহুতি দেন। এ করুণ কাহিনি থেকে নদীটির নামকরণ ‘কর্ণফুলী’ হয়।
কর্ণফুলীর এ বিরল মোহনার অদূরে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। দিগন্ত-প্রসারিত সমুদ্রের সফেদ জলরাশি আর সাগরতীরে আছড়ে পড়া উন্মাদ ঢেউয়ের মাতম এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের হৃদয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে, করে আনমনা। আবার কাউকে ভাবুক করে তোলে। উদাসী আনমনে তাই তো কলম নিয়ে বসি সমুদ্রের সৌন্দর্য বন্দনায়—
‘সাদা ফেনিল হাস্যে উন্মাদ সুদীর্ঘ সৈকতে
দোলায়িত তরঙ্গরাশিকে ঠেলে দুহাতে
কী এক আশ্চর্য আবহে মগ্ন ছিল আমার মন,
অচেনা কোন এক সৃষ্টির বিস্ময়ে ভেবেছি বেশ অনেকক্ষণ!
আমার ডায়েরির পাতায় জমা হতে থাকে অজস্র বর্ণমালা।
তবুও আমি বোঝাতে ব্যর্থ হই আমার স্বপ্নকে।
আবিষ্কার করতেও ব্যর্থ হই সেই সুন্দর দুর্বোধ্যকে।’
সাগর সঙ্গম ও মিলনমোহনা দেখতে হলে চলে যান পতেঙ্গা। কর্ণফুলী নদী আর বঙ্গোপসাগর যেখানে মিশেছে, সেখানে তাকালেই বোঝা যায় পানির পার্থক্য। সাগর সঙ্গমের অনিবর্চনীয় রূপ নিজের চোখে না দেখলে বলে বোঝানো যাবে না। রাতের বেলা নেভাল একাডেমি-সংলগ্ন কর্ণফুলী পাড়ের নেভাল সৈকত থেকে কর্ণফুলী ও বঙ্গোপসাগরের মিলন কেন্দ্র মোহনার সৌন্দর্য উপভোগের মজাই আলাদা।
সমুদ্রের কূলঘেঁষে বালুকাবেলায় ডেকোরেশনের চেয়ার-টেবিল পেতে খাবার হোটেল, শামুক-ঝিনুকের তৈরি শৌখিন জিনিসপত্র ও গহনার পসরা সাজিয়ে বসে আছে শত শত দোকান। ছুটির দিনগুলোয় প্রচণ্ড ভিড় থাকে। আর ঈদ মৌসুম হলে তো কথাই নেই। পর্যটকরা ঘুরে বেরিয়ে ও কেনাকাটা করে সময় কাটায়।
বিকেলে সমুদ্রের বুকে সুর্যাস্ত যাওয়ার মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য সব বয়সের মানুষ ভিড় জমায়। আস্তে আস্তে সোনালি সূর্য সমুদ্রের বুকে বিলীন হয়ে যায় চারদিকে রক্তিম আভা ছড়িয়ে দিয়ে। ক্রমে চারদিকে আধার ঘনীভূত হতে থাকে। দর্শনার্থীরা তৃপ্তি আর প্রাপ্তির সুখে উল্লসিত হয়ে ঘরে ফেরে। রাতের চোখে ঘুম নেমে আসে। আবার রাতের কোলে আসমানে চাঁদ ঘুমায়। আর তাই দেখে আকাশে হেলান দিয়ে হাজারো জমানো কথা বুকে নিয়ে মৌন হয়ে পাহাড় ঘুমায়। অনিন্দ্য সুন্দর রাতের এ নীরব মাধুর্য দেখে সৌন্দর্যপিপাসুদের চোখেও একসময় ঘুম নেমে আসে। আবার রাতের প্রকৃতির এ নীরব সৌন্দর্য কারও চোখের ঘুম কেড়ে নেয়। তাই তো কেউ আবার আকুল মন নিয়ে ব্যাকুল হয়ে গেয়ে ওঠেন—
‘রাতের কোলে মাথা রাইখা
আসমানে চাঁদ ঘুমাইল রে
আমার চোখে ঘুম তো আইল না রে...।’
সাগরের বুকে অস্তমিত সূর্যের ম্রিয়মাণ আলোর রূপ দেখতে, বিশুদ্ধ বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে কার না ভালো লাগে! সাগরের উত্তাল হাওয়া সাময়িকভাবে হলেও বুকের ভেতর জমে থাকা দীর্ঘশ্বাসের কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। সমুদ্রের শুভ্র সফেন প্রমোদহাস্য রূপ মনকে করে প্রসন্ন। উত্তাল ঢেউয়ের শীতল স্পর্শ তপ্ত মন ভিজিয়ে দেয়। দিনশেষে বিকেলের অস্তমিত সূর্যের রক্তিম আভা মনকে করে বিমোহিত। সবুজ কার্পেটে মোড়ানো পাহাড়ের শান্ত রূপ মনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। এ সুযোগটি শুধু মেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে।
প্রকৃতির নৈসর্গিক হাতছানির সঙ্গে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের উন্মাদনা, বন্দরের কর্মব্যস্ততা, সেইসঙ্গে সবুজে ছাওয়া পাহাড়ের মৌনতা সৈকতটিকে ভিন্ন রূপ দিয়েছে। এখানে সমুদ্রের সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর ঘটেছে মিলনমেলা।
ব্যস্ততম শহর ঢাকার যানজট ও কোলাহলময় কর্মব্যস্ততা ছেড়ে পাড়ি জমাই প্রকৃতির নিখুঁত রূপের হাতছানিপূর্ণ শুভ্র সাগর আর সবুজ পাহাড়ঘেরা চট্টগ্রামে খালার বাসায়। যান্ত্রিকতা ছেড়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সরস রূপে নিমগ্ন হয়ে মুক্তির স্বাদ আস্বাদনে বেরিয়ে পড়ি ঈদের দিনটিতেই। দুপুর থেকে বিকেল, বিকেল থেকে সন্ধ্যা কেটেছে রাস্তায় সবুজের শান্ত-শ্যামল রূপ দেখে পথ চলতে চলতে। প্রকৃতির অপরূপ সাগরে হারিয়ে বারবার খুঁজে ফিরেছি থৈ। আর আনমনে বারবার গেয়েছি—
‘যারে জীবন দিলা জীবন গড়িতে
তারে বৈরাগী মন কেন দিলারে?’
সবুজে ঘেরা মৌন পাহাড়রাজি, প্রাণোচ্ছল সাগরের কল্লোলধ্বনি, কর্ণফুলীর কলতান, হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিপুল বৈভবে ঐশ্বর্যশালী চট্টগ্রাম। এ নগরে বন্দরের প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের আকর্ষণে ছুটে এসেছে এশিয়া-ইউরোপ-আফ্রিকার ভিনদেশি নাবিকরা, এসেছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক। কেউ কেউ আবার প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হয়ে বাঁধা পড়েছে এখনকার জীবন ও জীবিকার সঙ্গে, ঘর বেঁধেছে- হয়েছে সংসারী। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষের ভাষা, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও চালচলন এ নগর এবং নগরবাসীকে করেছে ঐশ্বর্যশালী। বিচিত্র সংস্কৃতির জীবনগাথা চট্টগ্রামের পরিচিতিকে এক ব্যতিক্রমী মর্যাদা দিয়েছে। এছাড়া পর্যটননগরী হিসেবে চট্টগ্রামের রয়েছে আলাদা ঐতিহ্য।
ভ্রমণপিপাসুদের কাছে চট্টগ্রাম নগরীর প্রিয় স্থান হচ্ছে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই সমুদ্রসৈকত। শাহ আমানত বিমানবন্দরের কাছেই এ দৃষ্টিনন্দন সৈকতটির অবস্থান। শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। নান্দনিক প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। সম্পদে ঐশ্বর্যশালী বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর থাকে এ সৈকতটি। এখানে দাঁড়িয়ে বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজগুলো দেখা যায়। সন্ধ্যা নামলে সেগুলোকে সমুদ্রের বুকে একটি আলো ঝলমলে শহরের মতো মনে হয়। পতেঙ্গা সৈকতে সূর্যাস্তের দৃশ্যও অবর্ণনীয় সুন্দর।
দুপাশে পাহাড়, একপাশে নদী, অন্যপাশে সাগরের গভীর জলরাশি। কর্ণফুলীর মোহনা, পৃথিবীর সুন্দরতম এক নদীর মোহনা। এপারে বিমানবন্দর আর নেভাল। বর্তমানে নেভাল ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়া হয়েছে। আর ওপারে দেয়াং পাহাড়, মরিয়ম আশ্রম আর মেরিন একাডেমি। ভ্রমণপিপাসুরা পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে শুধু অপরূপ সাগর সঙ্গম দেখে মুগ্ধ হন না; আরও শুনতে পান প্রাণোচ্ছল সাগরের কল্লোলধ্বনি, নীল জলরাশির উত্তাল ঢেউ। বিশ্বের নানা দেশের পতাকাবাহী নোঙর করা জাহাজের সারি নয়নাভিরাম দৃশ্যের সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে এরকম সৌন্দর্যে ভরপুর দ্বিতীয় কোনো নদীর মোহনা খুঁজে পাওয়া বিরল।
কর্ণফুলী নদীর নামকরণের ইতিহাস লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে।
সংক্ষেপে এ নদীর নামকরণ: আদিবাসী এক রাজপুত্রের প্রেমে পড়েন আরাকানের রাজকন্যা। এক জোছনা আলোয় ঝলমলে রাত। আলোকিত রাতে তারা নৌভ্রমণে বের হন। নদীর স্বচ্ছ পানিতে চাঁদের প্রতিফলন দেখার সময় রাজকন্যার কানের ফুল পানিতে পড়ে যায়। ফুলটি হারিয়ে উতলা রাজকন্যা তা উদ্ধারের জন্য পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রবল স্রোতের টানে রাজকন্যা ভেসে যান। তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাজপুত্র তখন রাজকন্যাকে বাঁচাতে পানিতে লাফ দেন, কিন্তু তাকে বাঁচাতে ব্যর্থ হন। রাজকন্যার শোকে কাতর রাজপুত্র পানিতে ডুবে আত্মাহুতি দেন। এ করুণ কাহিনি থেকে নদীটির নামকরণ ‘কর্ণফুলী’ হয়।
কর্ণফুলীর এ বিরল মোহনার অদূরে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। দিগন্ত-প্রসারিত সমুদ্রের সফেদ জলরাশি আর সাগরতীরে আছড়ে পড়া উন্মাদ ঢেউয়ের মাতম এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের হৃদয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে, করে আনমনা। আবার কাউকে ভাবুক করে তোলে। উদাসী আনমনে তাই তো কলম নিয়ে বসি সমুদ্রের সৌন্দর্য বন্দনায়—
‘সাদা ফেনিল হাস্যে উন্মাদ সুদীর্ঘ সৈকতে
দোলায়িত তরঙ্গরাশিকে ঠেলে দুহাতে
কী এক আশ্চর্য আবহে মগ্ন ছিল আমার মন,
অচেনা কোন এক সৃষ্টির বিস্ময়ে ভেবেছি বেশ অনেকক্ষণ!
আমার ডায়েরির পাতায় জমা হতে থাকে অজস্র বর্ণমালা।
তবুও আমি বোঝাতে ব্যর্থ হই আমার স্বপ্নকে।
আবিষ্কার করতেও ব্যর্থ হই সেই সুন্দর দুর্বোধ্যকে।’
সাগর সঙ্গম ও মিলনমোহনা দেখতে হলে চলে যান পতেঙ্গা। কর্ণফুলী নদী আর বঙ্গোপসাগর যেখানে মিশেছে, সেখানে তাকালেই বোঝা যায় পানির পার্থক্য। সাগর সঙ্গমের অনিবর্চনীয় রূপ নিজের চোখে না দেখলে বলে বোঝানো যাবে না। রাতের বেলা নেভাল একাডেমি-সংলগ্ন কর্ণফুলী পাড়ের নেভাল সৈকত থেকে কর্ণফুলী ও বঙ্গোপসাগরের মিলন কেন্দ্র মোহনার সৌন্দর্য উপভোগের মজাই আলাদা।
সমুদ্রের কূলঘেঁষে বালুকাবেলায় ডেকোরেশনের চেয়ার-টেবিল পেতে খাবার হোটেল, শামুক-ঝিনুকের তৈরি শৌখিন জিনিসপত্র ও গহনার পসরা সাজিয়ে বসে আছে শত শত দোকান। ছুটির দিনগুলোয় প্রচণ্ড ভিড় থাকে। আর ঈদ মৌসুম হলে তো কথাই নেই। পর্যটকরা ঘুরে বেরিয়ে ও কেনাকাটা করে সময় কাটায়।
বিকেলে সমুদ্রের বুকে সুর্যাস্ত যাওয়ার মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য সব বয়সের মানুষ ভিড় জমায়। আস্তে আস্তে সোনালি সূর্য সমুদ্রের বুকে বিলীন হয়ে যায় চারদিকে রক্তিম আভা ছড়িয়ে দিয়ে। ক্রমে চারদিকে আধার ঘনীভূত হতে থাকে। দর্শনার্থীরা তৃপ্তি আর প্রাপ্তির সুখে উল্লসিত হয়ে ঘরে ফেরে। রাতের চোখে ঘুম নেমে আসে। আবার রাতের কোলে আসমানে চাঁদ ঘুমায়। আর তাই দেখে আকাশে হেলান দিয়ে হাজারো জমানো কথা বুকে নিয়ে মৌন হয়ে পাহাড় ঘুমায়। অনিন্দ্য সুন্দর রাতের এ নীরব মাধুর্য দেখে সৌন্দর্যপিপাসুদের চোখেও একসময় ঘুম নেমে আসে। আবার রাতের প্রকৃতির এ নীরব সৌন্দর্য কারও চোখের ঘুম কেড়ে নেয়। তাই তো কেউ আবার আকুল মন নিয়ে ব্যাকুল হয়ে গেয়ে ওঠেন—
‘রাতের কোলে মাথা রাইখা
আসমানে চাঁদ ঘুমাইল রে
আমার চোখে ঘুম তো আইল না রে...।’
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৫ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৬ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৮ ঘণ্টা আগে