কামরুল হাসান, হবিগঞ্জ
হাওর টিলা পাহাড় বন, এই মিলে হবিগঞ্জ। এই জেলায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমাকালেঙ্গা অভয়ারণ্য, পরীর বিল, শাপলা বিল, দমদমিয়া লেক, গ্রিনল্যান্ড পার্ক, তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ, সাগরদীঘি, বিথঙ্গল আখড়া এবং ২৪টি চা বাগানে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে চুনারুঘাট উপজেলার ‘সীতার হাওর লেক’। দিনদিন এখানে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
সীতার হাওর লেকটি রানীগাঁও ইউনিয়নের নাসিমাবাদ চা বাগানের অংশ। সম্প্রতি রানীগাঁও ইউনিয়নের শিক্ষার্থী হারুনুর রশীদ লেকের একটি ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন সেখানে যাচ্ছেন হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু মানুষ। বিশেষ করে শুক্র-শনিবারসহ ছুটির দিন হাজারো মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে লেকটি।
সরেজমিন দেখা যায়, এক পাশে পাহাড় আর অন্য পাশে চা বাগান এবং মাঝেমধ্যে উঁচুনিচু টিলা ঘিরে রেখেছে লেকটিকে। প্রকৃতি যেন সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে সেখানে। লেকের পাড়ে বসে গলা ছেড়ে গান গাইছেন ছেলেমেয়েরা আবার কেউ কেউ মোবাইল ফোনে সুন্দর দৃশ্য ধারণ করছেন।
লেকের চারদিক ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট বসতে শুরু করেছে। ফলে ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। যে যেভাবে পারছেন কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়ার পর ময়লা-আবর্জনা লেকের পাড়ে ও টিলায় ফেলে আসছেন। তবে স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবক এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারও করছেন। দোকানিরা যাতে নিজেদের ময়লা-আবর্জনা নিজেরাই পরিষ্কার করেন, সে ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন কেউ কেউ।
ভ্রমণপিপাসু সাব্বির আহমেদ জানান, লেকটি অনেক সুন্দর। চা বাগানের ভেতরে এত সুন্দর জায়গা দেখতে পেরে তিনি খুশি।
রাশেদ আহমেদ নামে এক পর্যটক বলেন, তিনি মৌলভীবাজারের রাজনগর থেকে মোটরসাইকেলে সীতার হাওর লেকে এসেছেন। লেকটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। আগামীতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ঘুরতে আসবেন।
চা বাগানের অভ্যন্তরে পরীর বিল, শাপল বিল, দমদমিয়া লেক, রামগঙ্গা পর্যটন কেন্দ্রের পরেই এখন মানুষের আগ্রহ সীতার হাওর লেকে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হারুনুর রশীদ জানান, বাড়ির কাছে এত সুন্দর জায়গা আছে, তা আগে জানা ছিল না। সীতার হাওরের পাশেই এই লেকের অবস্থান। এজন্য একে সীতার হাওর লেক নামে অভিহিত করা হয়। তিনি সেদিন নিজের ক্যামেরায় লেকের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করতেই তা ভাইরাল হয়। শুরু হয় লেকে মানুষের আগমন। এরই মধ্যে জেলা ও জেলার বাইরের ইউটিউবার ও টিকটকাররা এসে এটিকে ভাইরাল করেন।
এদিকে হাজার হাজার মানুষের আগমনে বাগান কর্তৃপক্ষ পড়েছে বিপাকে। তারা বাগানের অভ্যন্তরে এমন পর্যটন চালুর বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করছেন। এতে চা বাগানের ক্ষতির আশঙ্কার কথাও বলছেন তারা। তারা লেকে যেতে নিষেধও করছেন।
কীভাবে যাবেন সীতার হাওর লেকে
চুনারুঘাট উপজেলা সদর থেকে রানীগাঁও বাজারের ওপর দিয়ে পারকুল চা বাগান হয়ে যাওয়া যায় এই লেকে। এছাড়া সদর থেকে মিরাশী নতুন বাজার হয়ে আতিকপুর হয়েও যাওয়া যায়। এরপর মোটরসাইকেল হলেই লেক পর্যন্ত সহজে পৌঁছানো যায়। অটোরিকশা অথবা ইজিবাইকেও যাওয়া যায়।
হাওর টিলা পাহাড় বন, এই মিলে হবিগঞ্জ। এই জেলায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমাকালেঙ্গা অভয়ারণ্য, পরীর বিল, শাপলা বিল, দমদমিয়া লেক, গ্রিনল্যান্ড পার্ক, তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ, সাগরদীঘি, বিথঙ্গল আখড়া এবং ২৪টি চা বাগানে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে চুনারুঘাট উপজেলার ‘সীতার হাওর লেক’। দিনদিন এখানে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
সীতার হাওর লেকটি রানীগাঁও ইউনিয়নের নাসিমাবাদ চা বাগানের অংশ। সম্প্রতি রানীগাঁও ইউনিয়নের শিক্ষার্থী হারুনুর রশীদ লেকের একটি ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন সেখানে যাচ্ছেন হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু মানুষ। বিশেষ করে শুক্র-শনিবারসহ ছুটির দিন হাজারো মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে লেকটি।
সরেজমিন দেখা যায়, এক পাশে পাহাড় আর অন্য পাশে চা বাগান এবং মাঝেমধ্যে উঁচুনিচু টিলা ঘিরে রেখেছে লেকটিকে। প্রকৃতি যেন সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে সেখানে। লেকের পাড়ে বসে গলা ছেড়ে গান গাইছেন ছেলেমেয়েরা আবার কেউ কেউ মোবাইল ফোনে সুন্দর দৃশ্য ধারণ করছেন।
লেকের চারদিক ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট বসতে শুরু করেছে। ফলে ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। যে যেভাবে পারছেন কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়ার পর ময়লা-আবর্জনা লেকের পাড়ে ও টিলায় ফেলে আসছেন। তবে স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবক এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারও করছেন। দোকানিরা যাতে নিজেদের ময়লা-আবর্জনা নিজেরাই পরিষ্কার করেন, সে ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন কেউ কেউ।
ভ্রমণপিপাসু সাব্বির আহমেদ জানান, লেকটি অনেক সুন্দর। চা বাগানের ভেতরে এত সুন্দর জায়গা দেখতে পেরে তিনি খুশি।
রাশেদ আহমেদ নামে এক পর্যটক বলেন, তিনি মৌলভীবাজারের রাজনগর থেকে মোটরসাইকেলে সীতার হাওর লেকে এসেছেন। লেকটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। আগামীতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ঘুরতে আসবেন।
চা বাগানের অভ্যন্তরে পরীর বিল, শাপল বিল, দমদমিয়া লেক, রামগঙ্গা পর্যটন কেন্দ্রের পরেই এখন মানুষের আগ্রহ সীতার হাওর লেকে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হারুনুর রশীদ জানান, বাড়ির কাছে এত সুন্দর জায়গা আছে, তা আগে জানা ছিল না। সীতার হাওরের পাশেই এই লেকের অবস্থান। এজন্য একে সীতার হাওর লেক নামে অভিহিত করা হয়। তিনি সেদিন নিজের ক্যামেরায় লেকের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করতেই তা ভাইরাল হয়। শুরু হয় লেকে মানুষের আগমন। এরই মধ্যে জেলা ও জেলার বাইরের ইউটিউবার ও টিকটকাররা এসে এটিকে ভাইরাল করেন।
এদিকে হাজার হাজার মানুষের আগমনে বাগান কর্তৃপক্ষ পড়েছে বিপাকে। তারা বাগানের অভ্যন্তরে এমন পর্যটন চালুর বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করছেন। এতে চা বাগানের ক্ষতির আশঙ্কার কথাও বলছেন তারা। তারা লেকে যেতে নিষেধও করছেন।
কীভাবে যাবেন সীতার হাওর লেকে
চুনারুঘাট উপজেলা সদর থেকে রানীগাঁও বাজারের ওপর দিয়ে পারকুল চা বাগান হয়ে যাওয়া যায় এই লেকে। এছাড়া সদর থেকে মিরাশী নতুন বাজার হয়ে আতিকপুর হয়েও যাওয়া যায়। এরপর মোটরসাইকেল হলেই লেক পর্যন্ত সহজে পৌঁছানো যায়। অটোরিকশা অথবা ইজিবাইকেও যাওয়া যায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে