৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এবার তিন হাজার ৪৮৭ জন ক্যাডার ও ২০১ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে। যারা এবার প্রথমবারের মতো অংশ নেবেন, তাদের বিসিএসের সার্বিক ধারণা নেওয়াটা জরুরি।
ফিচার ডেস্ক
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এবার তিন হাজার ৪৮৭ জন ক্যাডার ও ২০১ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে। যারা এবার প্রথমবারের মতো অংশ নেবেন, তাদের বিসিএসের সার্বিক ধারণা নেওয়াটা জরুরি। বিসিএসের আদ্যোপান্ত নিয়ে লিখেছেন ৩৫তম বিসিএসের কর্মকর্তা রবিউল আলম লুইপা
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিসিএসের ধাপগুলো হলো—নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদনপ্রক্রিয়া, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা, চূড়ান্ত ফলাফল (সুপারিশ), স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুলিশ ভেরিফিকেশন, নিয়োগ প্রজ্ঞাপন ও যোগদান। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পিএসসি ২৬ ধরনের ক্যাডার ও অন্যান্য নন-ক্যাডার প্রার্থী বাছাই করে। সেক্টর অনুযায়ী দক্ষ কর্মকর্তাদের ‘ক্যাডার’ বলা হয়।
বিসিএসের ২৬ ক্যাডার
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৬টি ক্যাডার সার্ভিসকে সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত এই দুই ক্যাডারে ভাগ করা হয়েছে। সাধারণ (জেনারেল) ক্যাডারগুলো হলো—(১) বিসিএস (পররাষ্ট্র), (২) বিসিএস (প্রশাসন), (৩) বিসিএস (পুলিশ), (৪) বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব), (৫) বিসিএস (কর), (৬) বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি), (৭) বিসিএস (বাণিজ্য), (৮) বিসিএস (আনসার), (৯) বিসিএস (খাদ্য), (১০) বিসিএস (তথ্য), (১১) বিসিএস (সমবায়), (১২) বিসিএস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক), (১৩) বিসিএস (ডাক), (১৪) বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) এবং কারিগরি ও পেশাগত (টেকনিক্যাল ও প্রফেশনাল) ক্যাডারগুলো হলো—(১) বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা), (২) বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা), (৩) বিসিএস (স্বাস্থ্য), (৪) বিসিএস (গণপূর্ত), (৫) বিসিএস (সড়ক ও জনপথ), (৬) বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল), (৭) বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল), (৮) বিসিএস (কৃষি), (৯) বিসিএস (মৎস্য), (১০) বিসিএস (পশুসম্পদ), (১১) বিসিএস (বন) এবং (১২) বিসিএস (পরিসংখ্যান)। প্রথম ১৪টি ক্যাডারে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকসম্পন্ন প্রার্থীরা এবং পরের ১২টি ক্যাডারের শুধু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকসম্পন্ন প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। খাদ্য, তথ্য, সমবায় ও পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে জেনারেল ও প্রফেশনাল—উভয় পদ রয়েছে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সাধারণত প্রতিবছরের শেষ দিকে (নভেম্বর/ ডিসেম্বর) পিএসসি মন্ত্রণালয়ের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের শূন্যপদ উল্লেখ করে দরকারি নির্দেশনাসহ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময়সীমা ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ থাকে।
আবেদন
প্রার্থীরা ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতার (স্নাতক) তথ্য, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পছন্দক্রম নির্ধারণ, ছবি ও স্বাক্ষর এবং নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে বিসিএসে আবেদন করেন। উল্লেখ্য, ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপ্রক্রিয়া চলবে ১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার তিন-চার মাসের মধ্যে প্রথম ধাপের ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় সাধারণত মোট পরীক্ষার্থীর ৪-৫% প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে থাকে।
প্রিলিমিনারির বিষয় ও নম্বর বণ্টন হলো—
১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য—৩৫ নম্বর, ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য—৩৫, ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি—৩০, ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি—২০, ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা—১০, ৬. সাধারণ বিজ্ঞান—১৫, ৭. কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি—১৫, ৮. গাণিতিক যুক্তি—১৫, ৯. মানসিক দক্ষতা—১৫ ও ১০. নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন—১০। মোট নম্বর ২০০।
লিখিত পরীক্ষা
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
যারা দুই ধরনের ক্যাডারেই আবেদন করেন, তাদের অতিরিক্ত ২০০ নম্বরসহ মোট ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। মোট নম্বরের ৫০% অর্থাৎ ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৪৫০ নম্বর পেলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে ধরে নেওয়া হয়। ‘সাধারণ ক্যাডার’ ও ‘কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার’-এর লিখিত পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা আছে।
ক. সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন :
১. বাংলা—২০০, ২. ইংরেজি—২০০, ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি—২০০, ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি—১০০, ৫. গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা—১০০, ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি—১০০। মোট নম্বর ৯০০।
খ. কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষার নম্বর বণ্টন :
১. বাংলা—১০০, ২. ইংরেজি—২০০, ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি—২০০, ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি—১০০, ৫. গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা—১০০, ৬. পদসংশ্লিষ্ট বিষয়—২০০। মোট ৯০০ নম্বর।
পিএসসির ওয়েবসাইটে (bpsc.gov.bd) প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস পাওয়া যাবে।
মৌখিক পরীক্ষা
বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত। পিএসসির মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে যারা থাকেন—
ক. কমিশনের চেয়ারম্যান/সদস্য (বোর্ড চেয়ারম্যান)।
খ. সরকার কর্তৃক মনোনীত যুগ্ম সচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা (বোর্ড সদস্য)।
গ. কমিশন কর্তৃক মনোনীত বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ (বোর্ড সদস্য)।
চূড়ান্ত ফলাফল ও সুপারিশ
বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলকে সুপারিশ বলা হয়। বিসিএস পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে মেধাতালিকাসহ প্রার্থীর সুপারিশ করে থাকে, পরবর্তী সময়ে প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করে থাকে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভেরিফিকেশন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সুপারিশপ্রাপ্ত সব ক্যাডারের প্রার্থীদের গ্রুপ করে নির্ধারিত তারিখে কয়েকটি হাসপাতালে অনুষ্ঠেয় মেডিক্যাল বোর্ডে উপস্থিত থাকতে হয়। মেডিক্যাল বোর্ডে উপস্থিতির আগে বুকের এক্স-রে ও চোখ পরীক্ষার প্রতিবেদন সংগ্রহ করে রাখতে হয়। অনেক সময় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ডোপ টেস্টও করতে হয়। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রদত্ত প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমের তথ্য অনুযায়ী সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর যাবতীয় তথ্য, ঠিকানা ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করা হয়। সরকার নির্ধারিত সংস্থা বা দপ্তরের (যেমন—পুলিশ, এনএসআই, ডিসি অফিস) মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
নিয়োগ প্রজ্ঞাপন
রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত বা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে স্বাক্ষরিত সরকারি ঘোষণাসংবলিত (যেমন—চাকরির নিয়োগ/পদোন্নতি/বদলি, নতুন জেলা/বিভাগ সৃষ্টি, কোনো দিনকে সরকারি ছুটি ঘোষণা ইত্যাদি) নথি বা বিজ্ঞপ্তিকে গেজেট বলা হয়। সরকারি প্রজ্ঞাপনগুলো বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে পাঠানো হলে সেগুলো বাংলাদেশ গভার্নমেন্ট প্রেস (বিজি প্রেস) গেজেট আকারে ছাপানোর ব্যবস্থা করে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপর মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর নিয়ে সেগুলো গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এই গেজেটে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্যাডার কর্মকর্তাদের যোগদানের তারিখ, নির্দেশনা (যোগদানের সময় কী কী নথি প্রয়োজন হবে) ও বেতন-ভাতার তথ্য উল্লেখ থাকে। গেজেট প্রকাশ ও যোগদানের মাঝামাঝি সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পোস্টিং অর্ডার ইস্যু করে।
চাকরিতে যোগদান
গেজেটে উল্লিখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দেশিত/পদায়িত কার্যালয়ে নির্বাচিত ক্যাডারদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যোগ দিতে হয়। যেমন—পররাষ্ট্র ক্যাডাররা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, পুলিশ ও আনসার ক্যাডাররা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, স্বাস্থ্য ক্যাডার ও শিক্ষা ক্যাডাররা অধিদপ্তর বা নির্দেশিত কর্মস্থলে যোগদান করেন। কোনো কর্মকর্তা নির্ধারিত তারিখে যোগ না দিলে তিনি ‘যোগদান করতে সম্মত নন’ বলে ধরে নিয়ে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়।
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এবার তিন হাজার ৪৮৭ জন ক্যাডার ও ২০১ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে। যারা এবার প্রথমবারের মতো অংশ নেবেন, তাদের বিসিএসের সার্বিক ধারণা নেওয়াটা জরুরি। বিসিএসের আদ্যোপান্ত নিয়ে লিখেছেন ৩৫তম বিসিএসের কর্মকর্তা রবিউল আলম লুইপা
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিসিএসের ধাপগুলো হলো—নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদনপ্রক্রিয়া, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা, চূড়ান্ত ফলাফল (সুপারিশ), স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুলিশ ভেরিফিকেশন, নিয়োগ প্রজ্ঞাপন ও যোগদান। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পিএসসি ২৬ ধরনের ক্যাডার ও অন্যান্য নন-ক্যাডার প্রার্থী বাছাই করে। সেক্টর অনুযায়ী দক্ষ কর্মকর্তাদের ‘ক্যাডার’ বলা হয়।
বিসিএসের ২৬ ক্যাডার
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৬টি ক্যাডার সার্ভিসকে সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত এই দুই ক্যাডারে ভাগ করা হয়েছে। সাধারণ (জেনারেল) ক্যাডারগুলো হলো—(১) বিসিএস (পররাষ্ট্র), (২) বিসিএস (প্রশাসন), (৩) বিসিএস (পুলিশ), (৪) বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব), (৫) বিসিএস (কর), (৬) বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি), (৭) বিসিএস (বাণিজ্য), (৮) বিসিএস (আনসার), (৯) বিসিএস (খাদ্য), (১০) বিসিএস (তথ্য), (১১) বিসিএস (সমবায়), (১২) বিসিএস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক), (১৩) বিসিএস (ডাক), (১৪) বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) এবং কারিগরি ও পেশাগত (টেকনিক্যাল ও প্রফেশনাল) ক্যাডারগুলো হলো—(১) বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা), (২) বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা), (৩) বিসিএস (স্বাস্থ্য), (৪) বিসিএস (গণপূর্ত), (৫) বিসিএস (সড়ক ও জনপথ), (৬) বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল), (৭) বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল), (৮) বিসিএস (কৃষি), (৯) বিসিএস (মৎস্য), (১০) বিসিএস (পশুসম্পদ), (১১) বিসিএস (বন) এবং (১২) বিসিএস (পরিসংখ্যান)। প্রথম ১৪টি ক্যাডারে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকসম্পন্ন প্রার্থীরা এবং পরের ১২টি ক্যাডারের শুধু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকসম্পন্ন প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। খাদ্য, তথ্য, সমবায় ও পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে জেনারেল ও প্রফেশনাল—উভয় পদ রয়েছে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সাধারণত প্রতিবছরের শেষ দিকে (নভেম্বর/ ডিসেম্বর) পিএসসি মন্ত্রণালয়ের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের শূন্যপদ উল্লেখ করে দরকারি নির্দেশনাসহ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময়সীমা ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ থাকে।
আবেদন
প্রার্থীরা ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতার (স্নাতক) তথ্য, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পছন্দক্রম নির্ধারণ, ছবি ও স্বাক্ষর এবং নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে বিসিএসে আবেদন করেন। উল্লেখ্য, ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপ্রক্রিয়া চলবে ১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার তিন-চার মাসের মধ্যে প্রথম ধাপের ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় সাধারণত মোট পরীক্ষার্থীর ৪-৫% প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে থাকে।
প্রিলিমিনারির বিষয় ও নম্বর বণ্টন হলো—
১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য—৩৫ নম্বর, ২. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য—৩৫, ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি—৩০, ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি—২০, ৫. ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা—১০, ৬. সাধারণ বিজ্ঞান—১৫, ৭. কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি—১৫, ৮. গাণিতিক যুক্তি—১৫, ৯. মানসিক দক্ষতা—১৫ ও ১০. নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন—১০। মোট নম্বর ২০০।
লিখিত পরীক্ষা
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
যারা দুই ধরনের ক্যাডারেই আবেদন করেন, তাদের অতিরিক্ত ২০০ নম্বরসহ মোট ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। মোট নম্বরের ৫০% অর্থাৎ ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৪৫০ নম্বর পেলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে ধরে নেওয়া হয়। ‘সাধারণ ক্যাডার’ ও ‘কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার’-এর লিখিত পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা আছে।
ক. সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন :
১. বাংলা—২০০, ২. ইংরেজি—২০০, ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি—২০০, ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি—১০০, ৫. গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা—১০০, ৬. সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি—১০০। মোট নম্বর ৯০০।
খ. কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষার নম্বর বণ্টন :
১. বাংলা—১০০, ২. ইংরেজি—২০০, ৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি—২০০, ৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি—১০০, ৫. গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা—১০০, ৬. পদসংশ্লিষ্ট বিষয়—২০০। মোট ৯০০ নম্বর।
পিএসসির ওয়েবসাইটে (bpsc.gov.bd) প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস পাওয়া যাবে।
মৌখিক পরীক্ষা
বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত। পিএসসির মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে যারা থাকেন—
ক. কমিশনের চেয়ারম্যান/সদস্য (বোর্ড চেয়ারম্যান)।
খ. সরকার কর্তৃক মনোনীত যুগ্ম সচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা (বোর্ড সদস্য)।
গ. কমিশন কর্তৃক মনোনীত বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ (বোর্ড সদস্য)।
চূড়ান্ত ফলাফল ও সুপারিশ
বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলকে সুপারিশ বলা হয়। বিসিএস পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে মেধাতালিকাসহ প্রার্থীর সুপারিশ করে থাকে, পরবর্তী সময়ে প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করে থাকে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভেরিফিকেশন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সুপারিশপ্রাপ্ত সব ক্যাডারের প্রার্থীদের গ্রুপ করে নির্ধারিত তারিখে কয়েকটি হাসপাতালে অনুষ্ঠেয় মেডিক্যাল বোর্ডে উপস্থিত থাকতে হয়। মেডিক্যাল বোর্ডে উপস্থিতির আগে বুকের এক্স-রে ও চোখ পরীক্ষার প্রতিবেদন সংগ্রহ করে রাখতে হয়। অনেক সময় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ডোপ টেস্টও করতে হয়। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রদত্ত প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমের তথ্য অনুযায়ী সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর যাবতীয় তথ্য, ঠিকানা ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করা হয়। সরকার নির্ধারিত সংস্থা বা দপ্তরের (যেমন—পুলিশ, এনএসআই, ডিসি অফিস) মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
নিয়োগ প্রজ্ঞাপন
রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত বা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে স্বাক্ষরিত সরকারি ঘোষণাসংবলিত (যেমন—চাকরির নিয়োগ/পদোন্নতি/বদলি, নতুন জেলা/বিভাগ সৃষ্টি, কোনো দিনকে সরকারি ছুটি ঘোষণা ইত্যাদি) নথি বা বিজ্ঞপ্তিকে গেজেট বলা হয়। সরকারি প্রজ্ঞাপনগুলো বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে পাঠানো হলে সেগুলো বাংলাদেশ গভার্নমেন্ট প্রেস (বিজি প্রেস) গেজেট আকারে ছাপানোর ব্যবস্থা করে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপর মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর নিয়ে সেগুলো গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এই গেজেটে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্যাডার কর্মকর্তাদের যোগদানের তারিখ, নির্দেশনা (যোগদানের সময় কী কী নথি প্রয়োজন হবে) ও বেতন-ভাতার তথ্য উল্লেখ থাকে। গেজেট প্রকাশ ও যোগদানের মাঝামাঝি সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পোস্টিং অর্ডার ইস্যু করে।
চাকরিতে যোগদান
গেজেটে উল্লিখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দেশিত/পদায়িত কার্যালয়ে নির্বাচিত ক্যাডারদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যোগ দিতে হয়। যেমন—পররাষ্ট্র ক্যাডাররা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, পুলিশ ও আনসার ক্যাডাররা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, স্বাস্থ্য ক্যাডার ও শিক্ষা ক্যাডাররা অধিদপ্তর বা নির্দেশিত কর্মস্থলে যোগদান করেন। কোনো কর্মকর্তা নির্ধারিত তারিখে যোগ না দিলে তিনি ‘যোগদান করতে সম্মত নন’ বলে ধরে নিয়ে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১২২টি পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আগ্রহী আবেদনকারী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। রোববার পিএসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সোমবার আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল।
১ দিন আগেআন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন সিনিয়র পাইথন ডেভেলপার পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গতকাল ২০ অক্টোবর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগেপুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। প্রতিষ্ঠানটিতে হস্তান্তরিত সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং এর অধীনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানে চারটি পদে ১২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
১ দিন আগেসরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামোর খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন। প্রস্তাবে গত ১০ বছরের ব্যবধানে বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ। সোমবার কমিশনের বৈঠকে এ খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। প্রস্তাবে গ্রেড-১-এর কর্মকর্তাদের মূল বেতন এক লাখ ৫০ হাজার ৫৯৪ টাকা করার সুপার
১ দিন আগে