শামসুল হক, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
মেয়েকে খুঁজতে গত বছরের ৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ঘর থেকে বের হন গৃহবধূ আঞ্জু আক্তার। মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার পর বাসায় ফেরার পথে একটি সিএনজি পাম্পের সামনে এলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসার পরও তার মাথায় এখনো ব্যথা রয়ে গেছে। তিনি এখন দুই চোখে কম দেখেন, কানেও কম শোনেন। কোনো কাজ করতে পারছেন না। ফলে তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে পরিবার।
জানা গেছে, আঞ্জু আক্তার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের সবুজ হাওলাদারের স্ত্রী। ১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রিয়া মনি ও মরিয়ম আক্তার নামে দুটি মেয়ে রয়েছে। স্বামী-সন্তান নিয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় থাকেন। ৫ আগস্ট রাতে ছোট মেয়ে মরিয়ম আক্তার বাসার কাউকে না বলে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিল দেখতে যায়। তাকে খুঁজে বের করে বাসায় আসার সময় সিএনজি পাম্পের সামনে গুলিবিদ্ধ হন আঞ্জু। তবে কোন দিক থেকে কারা গুলি চালায়, কিছুই জানেন না তিনি। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে স্থানীয় আল হেলাল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরদিন তাকে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি অসুস্থ।
আঞ্জু আক্তার আমার দেশকে বলেন, স্বামী সবুজ হাওলাদার জন্মগতভাবে দুই চোখে কম দেখেন। তিনি একটি ভ্যানে করে গলিতে গলিতে বিছানার চাদর বিক্রি করেন। আমি বাসায় সেলাই মেশিন দিয়ে জামাকাপড় বানাতাম। দুজনের আয় দিয়ে ভালোই চলছিল। ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই আমি অসুস্থ। এখনো কোনো কাজকর্ম করতে পারছি না। আমি সঠিক চিকিৎসা পাইনি। সব সময় মাথাব্যথা করে। দুই চোখে কম দেখি, কানেও কম শুনি। একজনের আয় দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। গুলির ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।
আঞ্জুর স্বামী সবুজ হাওলাদার আমার দেশকে বলেন, বউয়ের চিকিৎসায় অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। ভ্যানে চাদর বিক্রি করে যে আয় হয়, তাতে সংসার চলে না।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, আঞ্জু আক্তারসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, ভাতা দেওয়ার জন্য তাদের নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকেও প্রত্যেকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
মেয়েকে খুঁজতে গত বছরের ৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ঘর থেকে বের হন গৃহবধূ আঞ্জু আক্তার। মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার পর বাসায় ফেরার পথে একটি সিএনজি পাম্পের সামনে এলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসার পরও তার মাথায় এখনো ব্যথা রয়ে গেছে। তিনি এখন দুই চোখে কম দেখেন, কানেও কম শোনেন। কোনো কাজ করতে পারছেন না। ফলে তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে পরিবার।
জানা গেছে, আঞ্জু আক্তার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের সবুজ হাওলাদারের স্ত্রী। ১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রিয়া মনি ও মরিয়ম আক্তার নামে দুটি মেয়ে রয়েছে। স্বামী-সন্তান নিয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় থাকেন। ৫ আগস্ট রাতে ছোট মেয়ে মরিয়ম আক্তার বাসার কাউকে না বলে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিল দেখতে যায়। তাকে খুঁজে বের করে বাসায় আসার সময় সিএনজি পাম্পের সামনে গুলিবিদ্ধ হন আঞ্জু। তবে কোন দিক থেকে কারা গুলি চালায়, কিছুই জানেন না তিনি। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে স্থানীয় আল হেলাল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরদিন তাকে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি অসুস্থ।
আঞ্জু আক্তার আমার দেশকে বলেন, স্বামী সবুজ হাওলাদার জন্মগতভাবে দুই চোখে কম দেখেন। তিনি একটি ভ্যানে করে গলিতে গলিতে বিছানার চাদর বিক্রি করেন। আমি বাসায় সেলাই মেশিন দিয়ে জামাকাপড় বানাতাম। দুজনের আয় দিয়ে ভালোই চলছিল। ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই আমি অসুস্থ। এখনো কোনো কাজকর্ম করতে পারছি না। আমি সঠিক চিকিৎসা পাইনি। সব সময় মাথাব্যথা করে। দুই চোখে কম দেখি, কানেও কম শুনি। একজনের আয় দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। গুলির ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।
আঞ্জুর স্বামী সবুজ হাওলাদার আমার দেশকে বলেন, বউয়ের চিকিৎসায় অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। ভ্যানে চাদর বিক্রি করে যে আয় হয়, তাতে সংসার চলে না।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, আঞ্জু আক্তারসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, ভাতা দেওয়ার জন্য তাদের নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকেও প্রত্যেকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫