জাকির হোসেন, টঙ্গী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে চাকরি হারালাম। ডান চোখ গেল। চোখের চিকিৎসায় হলাম সর্বস্বান্ত। এখন বাম চোখও হারাতে বসেছি। আমি নিঃস্ব, বঞ্চিত ও নিপীড়িত। কেউ কোনো সহায়তা করা তো দূরের কথা, এসে একটু খোঁজও নেয়নি। যদি বাম চোখও নষ্ট হয়ে যায় তবে দুনিয়ার আলো আর দেখা হবে না। আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের টিয়ার শেলে এক চোখ হারানো টঙ্গীর বিধবা পোশাকশ্রমিক রাজমনি আক্তার।
রাজমনি শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার ফিরোজপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে। তিনি টেকবান লিমিটেড পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। কিন্তু চোখ হারানোর পর এখন তার ঠিকানা হয়েছে বোনের ভাড়া বাসায়।
রাজমনি জানান, গত ২০ জুলাই রাজপথে ছাত্র-জনতার স্লোগানে কারখানায় স্থির থাকতে পারছিলেন না তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলনে যোগ দিয়ে, ‘এক দফ এক দাবি, খুনি হাসিনা তুই কবে যাবি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর আচমকা শুরু হয় আক্রমণ, মুহুর্মুহু গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ। মুহূর্তের মধ্যেই মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অনেকে গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন। কেউ কেউ ছুটছিলেন দিগ্বিদিক।
রাজমনি আরো জানান, হঠাৎ টিয়ার শেলের একটি কণা এসে বিঁধে তার ডান চোখে। তিনি লুটিয়ে পড়েন মহাসড়কে। এ সময় সহযোদ্ধারা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় নিকটস্থ একটি ফার্মেসিতে। ফার্মেসির পল্লী চিকিৎসক তাকে দ্রুত পাঠিয়ে দেন তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি। পরে বাসায় ফিরে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন।
পরের অভিজ্ঞতাগুলো রাজমনির জন্য ছিল অসহনীয়। তিনি জানান, ২১ জুলাই চিকিৎসার জন্য যান টঙ্গীর গুটিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও তাকে যথোপযুক্ত চিকিৎসা না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি যান তার কর্মস্থল গাজীপুরার টেকবান লিমিটেডের কর্তৃপক্ষের কাছে। ঘটনা শুনে কারখানা কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে তার আইডি কার্ড রেখে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত তাকে আর কারখানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
রাজমনি জানান, ২২ জুলাই তার ছোট ভাই স্বপন সরকারসহ স্বজনরা তাকে উত্তরা মক্কা চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে স্থানান্তর করেন। সেখানকার চিকিৎসক তার ডান চোখে দুবার অপারেশন করেন। কিন্তু তার চোখের আলো ফিরে আসেনি। উল্টো অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় তার বাম চোখের আলোও নিভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এ পোশাকশ্রমিক জানান, চোখের চিকিৎসায় তিনি তার সহায়-সম্বল যা ছিল সবকিছু শেষ করেছেন। এরই মধ্যে লক্ষাধিক টাকা ঋণ করে চিকিৎসা ব্যয় বহন করেছেন। বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি। চোখ হারানোর বেদনা এবং একমাত্র এতিম মেয়ে উর্মির ভবিষ্যৎ চিন্তায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। সবকিছু হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বোনের ভাড়া বাসায়। বিষয়টি গাজীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল্লাহ মহিতকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আহত রাজমনির জন্য যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে চাকরি হারালাম। ডান চোখ গেল। চোখের চিকিৎসায় হলাম সর্বস্বান্ত। এখন বাম চোখও হারাতে বসেছি। আমি নিঃস্ব, বঞ্চিত ও নিপীড়িত। কেউ কোনো সহায়তা করা তো দূরের কথা, এসে একটু খোঁজও নেয়নি। যদি বাম চোখও নষ্ট হয়ে যায় তবে দুনিয়ার আলো আর দেখা হবে না। আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের টিয়ার শেলে এক চোখ হারানো টঙ্গীর বিধবা পোশাকশ্রমিক রাজমনি আক্তার।
রাজমনি শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার ফিরোজপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে। তিনি টেকবান লিমিটেড পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। কিন্তু চোখ হারানোর পর এখন তার ঠিকানা হয়েছে বোনের ভাড়া বাসায়।
রাজমনি জানান, গত ২০ জুলাই রাজপথে ছাত্র-জনতার স্লোগানে কারখানায় স্থির থাকতে পারছিলেন না তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলনে যোগ দিয়ে, ‘এক দফ এক দাবি, খুনি হাসিনা তুই কবে যাবি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর আচমকা শুরু হয় আক্রমণ, মুহুর্মুহু গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ। মুহূর্তের মধ্যেই মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অনেকে গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন। কেউ কেউ ছুটছিলেন দিগ্বিদিক।
রাজমনি আরো জানান, হঠাৎ টিয়ার শেলের একটি কণা এসে বিঁধে তার ডান চোখে। তিনি লুটিয়ে পড়েন মহাসড়কে। এ সময় সহযোদ্ধারা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় নিকটস্থ একটি ফার্মেসিতে। ফার্মেসির পল্লী চিকিৎসক তাকে দ্রুত পাঠিয়ে দেন তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি। পরে বাসায় ফিরে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন।
পরের অভিজ্ঞতাগুলো রাজমনির জন্য ছিল অসহনীয়। তিনি জানান, ২১ জুলাই চিকিৎসার জন্য যান টঙ্গীর গুটিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও তাকে যথোপযুক্ত চিকিৎসা না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি যান তার কর্মস্থল গাজীপুরার টেকবান লিমিটেডের কর্তৃপক্ষের কাছে। ঘটনা শুনে কারখানা কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে তার আইডি কার্ড রেখে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত তাকে আর কারখানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
রাজমনি জানান, ২২ জুলাই তার ছোট ভাই স্বপন সরকারসহ স্বজনরা তাকে উত্তরা মক্কা চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে স্থানান্তর করেন। সেখানকার চিকিৎসক তার ডান চোখে দুবার অপারেশন করেন। কিন্তু তার চোখের আলো ফিরে আসেনি। উল্টো অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় তার বাম চোখের আলোও নিভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এ পোশাকশ্রমিক জানান, চোখের চিকিৎসায় তিনি তার সহায়-সম্বল যা ছিল সবকিছু শেষ করেছেন। এরই মধ্যে লক্ষাধিক টাকা ঋণ করে চিকিৎসা ব্যয় বহন করেছেন। বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি। চোখ হারানোর বেদনা এবং একমাত্র এতিম মেয়ে উর্মির ভবিষ্যৎ চিন্তায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। সবকিছু হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বোনের ভাড়া বাসায়। বিষয়টি গাজীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল্লাহ মহিতকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আহত রাজমনির জন্য যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫