এসএম ইউসুফ আলী, ফেনী
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত বছরের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন সরওয়ার জাহান মাসুদ। সেখানেই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন।
তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করে ছোট ভাই মাসুম আল সামীর। কিন্তু আওয়ামী ক্যাডাররা তাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। মৃত্যুর পর লাশ রাতেই দাফন করার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সেদিন আওয়ামী ক্যাডারদের ছোড়া গুলি ফেনী কলেজের শিক্ষার্থী মাসুদের বুকে দুটি এবং একটি হাতে লাগে। গুলিবিদ্ধ এ তরুণকে পরে স্থানীয় সার্কিট হাউস সড়ক থেকে উদ্ধার করে তারই ছোট ভাই মাসুম।
মাসুম জানায়, আমার ভাই বেঁচেছিল, সময়মতো হাসপাতালে নিতে পারলে প্রাণে বেঁচে যেত। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পথে গাড়ি থামিয়ে আমাদের বাধা দিয়েছিল। ওই দলের নেতৃত্ব দেয় দাগনভূঞা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাতুভূঞা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল মামুন। ওই সন্ত্রাসী আমার ভাইকে বলেছিলÑসে তো রাজাকার, রাজাকার মরলে কিছু হয় না।
মাসুম আরো বলে, সেদিন ভাইয়া আমার আগে আন্দোলনে অংশ নিতে মহিপালে যায়। আমি পরে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করি। আমি মহিপাল ফ্লাইওভারের উপরে উঠি, ভাইয়া নিচে ছিল। একপর্যায়ে জোহরের নামাজের সময় হলে ছাত্র-জনতা মহাসড়কেই নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। এ সুযোগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত চারদিক ঘেরাও করে গুলি করতে থাকে। ভাইয়ার বুকে দুটি ও হাতে একটি গুলি লাগে। গুলির আওয়াজ শুনে আমি ভাইয়াকে ফোন দিচ্ছিলাম। কেউ ধরছিল না। পরে সেখানে থাকা এক ব্যক্তি ফোন ধরে বললেন ভাইয়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। এরপর ভাইয়াকে হাসপাতালে নিতে চাইলে মামুনের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের গাড়ি থামিয়ে দেয়। এ খবর বাড়ি জানানোর পর আত্মীয়স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও মারধর করে ওই সন্ত্রাসীরা। এরপরও তাদের হাত-পায়ে ধরে ভাইকে নিয়ে দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসাকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলার পাকিস্তান বাজার এলাকায় আমাকে আবারও মারধর করা হয়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাসুম আরো বলেন, তারপর লাশ পাঠানো হয় ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। কিন্তু সেখান থেকে লাশ দ্রুত বাড়ি নিতে চাইলেও বাধা দেওয়া হয়। পরে রাত ১টায় ভাইয়ার লাশ বুঝে পেলেও রাতের মধ্যেই তা দাফনের নির্দেশ দেয় খুনিরা।
ছেলে হারানোর বেদনা ভুলতে পারছেন না শহীদ মাসুদের মা বিবি কুলসুম। ছেলের শোকে এখনো আহাজারি করেন তিনি। তিনি বলেন, আমার ছেলে মানুষের জন্য কাজ করত। সামাজিক কাজে যুক্ত থেকে মানুষের উপকারে ব্যস্ত থাকত। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। আমার ও তার বাবার সঙ্গে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল ছেলের। কিন্তু তার আগেই তাকে দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হলো। আমার সন্তানের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত বছরের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন সরওয়ার জাহান মাসুদ। সেখানেই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন।
তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করে ছোট ভাই মাসুম আল সামীর। কিন্তু আওয়ামী ক্যাডাররা তাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। মৃত্যুর পর লাশ রাতেই দাফন করার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সেদিন আওয়ামী ক্যাডারদের ছোড়া গুলি ফেনী কলেজের শিক্ষার্থী মাসুদের বুকে দুটি এবং একটি হাতে লাগে। গুলিবিদ্ধ এ তরুণকে পরে স্থানীয় সার্কিট হাউস সড়ক থেকে উদ্ধার করে তারই ছোট ভাই মাসুম।
মাসুম জানায়, আমার ভাই বেঁচেছিল, সময়মতো হাসপাতালে নিতে পারলে প্রাণে বেঁচে যেত। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পথে গাড়ি থামিয়ে আমাদের বাধা দিয়েছিল। ওই দলের নেতৃত্ব দেয় দাগনভূঞা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাতুভূঞা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল মামুন। ওই সন্ত্রাসী আমার ভাইকে বলেছিলÑসে তো রাজাকার, রাজাকার মরলে কিছু হয় না।
মাসুম আরো বলে, সেদিন ভাইয়া আমার আগে আন্দোলনে অংশ নিতে মহিপালে যায়। আমি পরে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করি। আমি মহিপাল ফ্লাইওভারের উপরে উঠি, ভাইয়া নিচে ছিল। একপর্যায়ে জোহরের নামাজের সময় হলে ছাত্র-জনতা মহাসড়কেই নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। এ সুযোগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত চারদিক ঘেরাও করে গুলি করতে থাকে। ভাইয়ার বুকে দুটি ও হাতে একটি গুলি লাগে। গুলির আওয়াজ শুনে আমি ভাইয়াকে ফোন দিচ্ছিলাম। কেউ ধরছিল না। পরে সেখানে থাকা এক ব্যক্তি ফোন ধরে বললেন ভাইয়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। এরপর ভাইয়াকে হাসপাতালে নিতে চাইলে মামুনের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের গাড়ি থামিয়ে দেয়। এ খবর বাড়ি জানানোর পর আত্মীয়স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও মারধর করে ওই সন্ত্রাসীরা। এরপরও তাদের হাত-পায়ে ধরে ভাইকে নিয়ে দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসাকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলার পাকিস্তান বাজার এলাকায় আমাকে আবারও মারধর করা হয়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাসুম আরো বলেন, তারপর লাশ পাঠানো হয় ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। কিন্তু সেখান থেকে লাশ দ্রুত বাড়ি নিতে চাইলেও বাধা দেওয়া হয়। পরে রাত ১টায় ভাইয়ার লাশ বুঝে পেলেও রাতের মধ্যেই তা দাফনের নির্দেশ দেয় খুনিরা।
ছেলে হারানোর বেদনা ভুলতে পারছেন না শহীদ মাসুদের মা বিবি কুলসুম। ছেলের শোকে এখনো আহাজারি করেন তিনি। তিনি বলেন, আমার ছেলে মানুষের জন্য কাজ করত। সামাজিক কাজে যুক্ত থেকে মানুষের উপকারে ব্যস্ত থাকত। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। আমার ও তার বাবার সঙ্গে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল ছেলের। কিন্তু তার আগেই তাকে দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হলো। আমার সন্তানের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের ডাকা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে ২০২৪ সালের ১০ জুলাই দিনভর অচল হয়ে পড়েছিল দেশের রেলপথ, সড়ক ও মহাসড়ক। সারা দেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল । কমপক্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার
৬ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এই অবরোধ কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রধান সড়ক ও রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা
১ দিন আগে২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজ অসাধারণ ত্যাগ ও সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
২ দিন আগে৮ জুলাই তারা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে রাজধানীর ১১টি মোড় এবং এক স্থানে রেলপথ অবরোধ করেন। আগের দিন তারা সাতটি স্থানে কর্মসূচি চালিয়েছিলেন। অবরোধের কারণে রাজধানীর বড় অংশে যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল।
২ দিন আগে