
আযাদ আলাউদ্দীন

মতিউর রহমান মল্লিক স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরে প্রায় চার দশক বিচরণ করেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি-সম্পাদক, সংগীতজ্ঞ, সংগঠক ও সংস্কৃতির নিবিড় পৃষ্ঠপোষক। বহু বিশেষণ তার সঙ্গে যুক্ত করা যায় এবং প্রতিটি বিশেষণই তার ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত ও স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। ব্যক্তিজীবনও ছিল বর্ণাঢ্য আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। মূলত তিনি বাঙালি মুসলমান সমাজের ভয়াবহ দুর্যোগকালের কান্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
এক বিশেষ বৈরী পরিবেশে কবি মল্লিকের আবির্ভাব ও বেড়ে ওঠা। এই প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলায় তিনি একটি সুন্দর সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন তার আন্তরিকতা ও নিপুণ কর্মদক্ষতায়। বহুমুখী সৃজনশীল কর্মের পাশাপাশি তার এই বিশ্বাসের বিভূতিময় সাংস্কৃতিক আন্দোলন বাঙালি মুসলমানের ইতিহাসে তাকে স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত অসাধারণ কর্মবীর হিসেবে অনন্য মর্যাদা দান করেছে। তার এ আন্দোলন পূর্বসূরি জীবিত কবি-সাহিত্যিক- শিল্পী-সংস্কৃতিসেবীদের যেমন প্রভাবিত করেছে, তেমনি করেছে পরবর্তী প্রজন্মকেও।
মতিউর রহমান মল্লিকের রচনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশের এক বিরাট দায়িত্ব এখন চিন্তাশীল নতুন প্রজন্মের কাঁধে। মল্লিকের সঙ্গে দীর্ঘ ঘনিষ্ঠতার ফলে তার কবিতা, প্রবন্ধ, গান ও সাক্ষাৎকারগুলোর গুরুত্ব ও তাৎপর্য উত্তর প্রজন্মের কাছে অপরিসীম। সাক্ষাৎকারে এমন বিষয় উঠে আসে, যা অন্যভাবে জানা সম্ভব নয় বলেই সাক্ষাৎকার নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। এসব জরুরি বিষয় বিবেচনা করেই সম্পাদক আহমদ বাসির ‘মতিউর রহমান মল্লিকের সাক্ষাৎকার’ শীর্ষক গ্রন্থটি সম্পাদনা করে পাঠক সমাজের হাতে তুলে দিয়েছেন।
সম্পাদিত এ গ্রন্থে প্রথমেই সংযোজন করা হয়েছে ‘আগামী শতকের গান হবে নেতৃত্বদানকারী ইসলামি গান’ শিরোনামের একটি সাক্ষাৎকার। এ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে নতুন শতকে আমাদের শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার কথা। মতিউর রহমান মল্লিক এখানে খোলাখুলিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ইসলামি সংগীতের প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার কথা। গুরুত্বপূর্ণ এ সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন তরুণ কবি মৃধা আলাউদ্দিন। এটি ছাপা হয়েছে মোহাম্মদ শরিফ হোসেন সম্পাদিত ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক দারুসসালাম পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যায় জানুয়ারি ২০০০-এ।
‘মতিউর রহমান মল্লিকের সঙ্গে কিছুক্ষণ’ এই শিরোনামে যে সাক্ষাৎকারটি এ গ্রন্থে যুক্ত হয়েছে, তা গ্রহণ করেছেন সাংবাদিক এফএম মোহাম্মদ নূরুল হক। সাক্ষাৎকারটি ছাপা হয়েছে নোয়াখালী থেকে প্রকাশিত সৃজনশীল সাহিত্য সাময়িকী ‘মেঠোপথ’ ডিসেম্বর ২০০০-এ। এ সাক্ষাৎকারে কবি শামসুর রাহমান ও কবি আল মাহমুদ প্রসঙ্গে নানামুখী বর্ণনা পাওয়া যাবে আর পাওয়া যাবে লিটল ম্যাগাজিন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান।
‘ছড়া ও কবিতার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য করি না’—মতিউর রহমান মল্লিক এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন ছড়া পত্রিকা ‘নিব’-এর সম্পাদক আফসার নিজামের মুখোমুখি হয়ে এক সাক্ষাৎকারে। গুরুত্বপূর্ণ এই সাক্ষাৎকারটি ফেব্রুয়ারি ২০০১-এ ছড়ার কাগজ ‘নিব’-এ প্রকাশিত হয়।
ওমর বিশ্বাস সম্পাদিত সাহিত্যবিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘চাঁড়ুলিয়া’ এপ্রিল-জুন ২০০১-এর ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যায় ‘প্রকৃত সাহিত্যই ইসলামি সাহিত্য’ শীর্ষক এ সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করে সাংবাদিক সরদার ফরিদ আহমদ, কথাশিল্পী রফিক মুহাম্মদ ও কবি ওমর বিশ্বাস।
ত্রিশের আধুনিকতার পথ ধরে বাংলা কবিতায় প্রবল হয় সংশয় ও নাস্তিকতা। সমাজতন্ত্রের উত্থানের যুগে মানুষের মৌলিক ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করার প্রবণতা লক্ষণীয়। বিংশ শতকের শেষ দিকে সংশয় ও নাস্তিকতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সংগ্রামমুখরতা ক্রমেই একটা প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার পাশাপাশি বাংলা কবিতায়ও এই সংগ্রামমুখরতা দানা বেঁধে উঠছে। এ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে কবি মল্লিক বলেন, ‘স্বাধীনতার জন্য বিশ্বময় এখন লড়াই করে ফিরছে বিশ্বাসীরা। সুতরাং এই হাতিয়ারে সবচেয়ে বেশি সুসজ্জিত হবে বাংলা ভাষাভাষী লড়াকু কবিরা।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা শুধু বাংলা কবিতার নেতৃত্বের রাজধানীই হবে না, বরং সে হবে বিশ্বকবিতার এক অপরিহার্য বিচরণ ক্ষেত্র।’ নাঈম মাহমুদ সম্পাদিত ‘দ্রষ্টা’ ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০০২-এ ছাপা হওয়া এ সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন কবি আহমদ বাসির।
এক কর্মব্যস্ত পড়ন্ত বিকালে কবির মুখোমুখি হন শিল্পী আমিরুল মোমেনীন মানিক। তাদের আলাপনের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে ইসলামি সংগীতের নানা দিক, অভিজ্ঞতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুনদের চলার পথের দিকনির্দেশনা। এটি প্রকাশিত হয় ডিসেম্বর ২০০২-এ। ওমর বিশ্বাস কর্তৃক সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘নাবিক’ মতিউর রহমান মল্লিক সংখ্যায় ‘মতিউর রহমান মল্লিকের প্রিয় বিষয়াবলি’ নিয়ে একটি নাতিদীর্ঘ সাক্ষাৎকার সংকলিত হয়।
এর পর সংকলিত হয় দুটি অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারের বিষয় সংগীত ও সুর সাধনা। ২০০৭ সালে নেওয়া দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারের বিষয় কবিতা। বিশেষ করে কবি মল্লিকের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘চিত্রল প্রজাপতি’। প্রথম সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন কবি আহমদ বাসির এবং দ্বিতীয়টি গ্রহণ করেন যথাক্রমে কবি আফসার নিজাম, আহমদ বাসির, শাহাদৎ তৈয়ব ও তাজ ইসলাম। ‘উৎসঙ্গ সৃজন চিন্তন’ থেকে তাজ ইসলাম সম্পাদিত ‘স্বরশব্দ’ নামের একটি লিটল ম্যাগাজিনে এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা প্রকাশিত হয়নি। কবি তাজ ইসলামের কাছে সংরক্ষিত ২০০৭ সালে নেওয়া সাক্ষাৎকারটি এ গ্রন্থে সংযোজন করার জন্য সম্পাদককে ধন্যবাদ।
আহমদ বাসির সম্পাদিত ‘মতিউর রহমান মল্লিকের সাক্ষাৎকার’ গ্রন্থটি পাঠক ও গবেষকদের কাজে লাগবে বলে আমরা মনে করি। আজ কবি মতিউর রহমান মল্লিক আমাদের মাঝে নেই। তরুণ গবেষক, প্রাবন্ধিক, কথাশিল্পী, সাংবাদিক ও কবি আহমদ বাসিরও চলে গেছে না ফেরার দেশে। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। গুরুত্বপূর্ণ এ গ্রন্থটি প্রকাশনার ক্ষেত্রে যারা জড়িত তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রত্যাশা, গ্রন্থটি বহুলভাবে প্রচারিত হয়ে সমাদৃত হবে পাঠক সমাজের কাছে।

মতিউর রহমান মল্লিক স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরে প্রায় চার দশক বিচরণ করেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি-সম্পাদক, সংগীতজ্ঞ, সংগঠক ও সংস্কৃতির নিবিড় পৃষ্ঠপোষক। বহু বিশেষণ তার সঙ্গে যুক্ত করা যায় এবং প্রতিটি বিশেষণই তার ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত ও স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। ব্যক্তিজীবনও ছিল বর্ণাঢ্য আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। মূলত তিনি বাঙালি মুসলমান সমাজের ভয়াবহ দুর্যোগকালের কান্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
এক বিশেষ বৈরী পরিবেশে কবি মল্লিকের আবির্ভাব ও বেড়ে ওঠা। এই প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলায় তিনি একটি সুন্দর সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন তার আন্তরিকতা ও নিপুণ কর্মদক্ষতায়। বহুমুখী সৃজনশীল কর্মের পাশাপাশি তার এই বিশ্বাসের বিভূতিময় সাংস্কৃতিক আন্দোলন বাঙালি মুসলমানের ইতিহাসে তাকে স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত অসাধারণ কর্মবীর হিসেবে অনন্য মর্যাদা দান করেছে। তার এ আন্দোলন পূর্বসূরি জীবিত কবি-সাহিত্যিক- শিল্পী-সংস্কৃতিসেবীদের যেমন প্রভাবিত করেছে, তেমনি করেছে পরবর্তী প্রজন্মকেও।
মতিউর রহমান মল্লিকের রচনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশের এক বিরাট দায়িত্ব এখন চিন্তাশীল নতুন প্রজন্মের কাঁধে। মল্লিকের সঙ্গে দীর্ঘ ঘনিষ্ঠতার ফলে তার কবিতা, প্রবন্ধ, গান ও সাক্ষাৎকারগুলোর গুরুত্ব ও তাৎপর্য উত্তর প্রজন্মের কাছে অপরিসীম। সাক্ষাৎকারে এমন বিষয় উঠে আসে, যা অন্যভাবে জানা সম্ভব নয় বলেই সাক্ষাৎকার নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। এসব জরুরি বিষয় বিবেচনা করেই সম্পাদক আহমদ বাসির ‘মতিউর রহমান মল্লিকের সাক্ষাৎকার’ শীর্ষক গ্রন্থটি সম্পাদনা করে পাঠক সমাজের হাতে তুলে দিয়েছেন।
সম্পাদিত এ গ্রন্থে প্রথমেই সংযোজন করা হয়েছে ‘আগামী শতকের গান হবে নেতৃত্বদানকারী ইসলামি গান’ শিরোনামের একটি সাক্ষাৎকার। এ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে নতুন শতকে আমাদের শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার কথা। মতিউর রহমান মল্লিক এখানে খোলাখুলিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ইসলামি সংগীতের প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার কথা। গুরুত্বপূর্ণ এ সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন তরুণ কবি মৃধা আলাউদ্দিন। এটি ছাপা হয়েছে মোহাম্মদ শরিফ হোসেন সম্পাদিত ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক দারুসসালাম পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যায় জানুয়ারি ২০০০-এ।
‘মতিউর রহমান মল্লিকের সঙ্গে কিছুক্ষণ’ এই শিরোনামে যে সাক্ষাৎকারটি এ গ্রন্থে যুক্ত হয়েছে, তা গ্রহণ করেছেন সাংবাদিক এফএম মোহাম্মদ নূরুল হক। সাক্ষাৎকারটি ছাপা হয়েছে নোয়াখালী থেকে প্রকাশিত সৃজনশীল সাহিত্য সাময়িকী ‘মেঠোপথ’ ডিসেম্বর ২০০০-এ। এ সাক্ষাৎকারে কবি শামসুর রাহমান ও কবি আল মাহমুদ প্রসঙ্গে নানামুখী বর্ণনা পাওয়া যাবে আর পাওয়া যাবে লিটল ম্যাগাজিন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান।
‘ছড়া ও কবিতার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য করি না’—মতিউর রহমান মল্লিক এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন ছড়া পত্রিকা ‘নিব’-এর সম্পাদক আফসার নিজামের মুখোমুখি হয়ে এক সাক্ষাৎকারে। গুরুত্বপূর্ণ এই সাক্ষাৎকারটি ফেব্রুয়ারি ২০০১-এ ছড়ার কাগজ ‘নিব’-এ প্রকাশিত হয়।
ওমর বিশ্বাস সম্পাদিত সাহিত্যবিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘চাঁড়ুলিয়া’ এপ্রিল-জুন ২০০১-এর ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যায় ‘প্রকৃত সাহিত্যই ইসলামি সাহিত্য’ শীর্ষক এ সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করে সাংবাদিক সরদার ফরিদ আহমদ, কথাশিল্পী রফিক মুহাম্মদ ও কবি ওমর বিশ্বাস।
ত্রিশের আধুনিকতার পথ ধরে বাংলা কবিতায় প্রবল হয় সংশয় ও নাস্তিকতা। সমাজতন্ত্রের উত্থানের যুগে মানুষের মৌলিক ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করার প্রবণতা লক্ষণীয়। বিংশ শতকের শেষ দিকে সংশয় ও নাস্তিকতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সংগ্রামমুখরতা ক্রমেই একটা প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার পাশাপাশি বাংলা কবিতায়ও এই সংগ্রামমুখরতা দানা বেঁধে উঠছে। এ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে কবি মল্লিক বলেন, ‘স্বাধীনতার জন্য বিশ্বময় এখন লড়াই করে ফিরছে বিশ্বাসীরা। সুতরাং এই হাতিয়ারে সবচেয়ে বেশি সুসজ্জিত হবে বাংলা ভাষাভাষী লড়াকু কবিরা।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা শুধু বাংলা কবিতার নেতৃত্বের রাজধানীই হবে না, বরং সে হবে বিশ্বকবিতার এক অপরিহার্য বিচরণ ক্ষেত্র।’ নাঈম মাহমুদ সম্পাদিত ‘দ্রষ্টা’ ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০০২-এ ছাপা হওয়া এ সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন কবি আহমদ বাসির।
এক কর্মব্যস্ত পড়ন্ত বিকালে কবির মুখোমুখি হন শিল্পী আমিরুল মোমেনীন মানিক। তাদের আলাপনের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে ইসলামি সংগীতের নানা দিক, অভিজ্ঞতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুনদের চলার পথের দিকনির্দেশনা। এটি প্রকাশিত হয় ডিসেম্বর ২০০২-এ। ওমর বিশ্বাস কর্তৃক সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘নাবিক’ মতিউর রহমান মল্লিক সংখ্যায় ‘মতিউর রহমান মল্লিকের প্রিয় বিষয়াবলি’ নিয়ে একটি নাতিদীর্ঘ সাক্ষাৎকার সংকলিত হয়।
এর পর সংকলিত হয় দুটি অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারের বিষয় সংগীত ও সুর সাধনা। ২০০৭ সালে নেওয়া দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারের বিষয় কবিতা। বিশেষ করে কবি মল্লিকের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘চিত্রল প্রজাপতি’। প্রথম সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন কবি আহমদ বাসির এবং দ্বিতীয়টি গ্রহণ করেন যথাক্রমে কবি আফসার নিজাম, আহমদ বাসির, শাহাদৎ তৈয়ব ও তাজ ইসলাম। ‘উৎসঙ্গ সৃজন চিন্তন’ থেকে তাজ ইসলাম সম্পাদিত ‘স্বরশব্দ’ নামের একটি লিটল ম্যাগাজিনে এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা প্রকাশিত হয়নি। কবি তাজ ইসলামের কাছে সংরক্ষিত ২০০৭ সালে নেওয়া সাক্ষাৎকারটি এ গ্রন্থে সংযোজন করার জন্য সম্পাদককে ধন্যবাদ।
আহমদ বাসির সম্পাদিত ‘মতিউর রহমান মল্লিকের সাক্ষাৎকার’ গ্রন্থটি পাঠক ও গবেষকদের কাজে লাগবে বলে আমরা মনে করি। আজ কবি মতিউর রহমান মল্লিক আমাদের মাঝে নেই। তরুণ গবেষক, প্রাবন্ধিক, কথাশিল্পী, সাংবাদিক ও কবি আহমদ বাসিরও চলে গেছে না ফেরার দেশে। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। গুরুত্বপূর্ণ এ গ্রন্থটি প্রকাশনার ক্ষেত্রে যারা জড়িত তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রত্যাশা, গ্রন্থটি বহুলভাবে প্রচারিত হয়ে সমাদৃত হবে পাঠক সমাজের কাছে।

গাজা পুনরুদ্ধারের এই সময়ে ‘ফিলিস্তিন সাংস্কৃতিক পুরস্কার’ ঘোষণা করেছে ‘ফিলিস্তিন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট’। ১৩তম আসরের মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে—‘জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, গোটা ফিলিস্তিন ও জায়নবাদের বিরোধিতা’।
৫ দিন আগে
একশ বছর আগের কথা। ১৮৮৯ সাল। তুরিনে আজকের মতোই এক দিনে ফ্রিডরিখ নিৎশে কার্লো আলবার্তো পথের ৬ নম্বর বাড়ির ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন। কখনো হাঁটতে বের হতেন, আবার কখনো পোস্ট অফিসে চিঠিপত্র তুলতে যেতেন।
৬ দিন আগে
বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী আয়োজিত ইসলামি বইমেলায় প্রতিদিনই জড়ো হন হাজারো মানুষ। বিশেষত সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে বইপ্রেমীদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। আর এই জনস্রোতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একদল স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে গড়া ‘লিটলম্যাগ কর্নার’।
৬ দিন আগে
ইসলাম-পূর্ব সময়ে এক ভয়ংকর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল যেন আরবরা। সমগ্র আরবে চলছিল ভয়াবহ অরাজকতা। গোত্রে গোত্রে শত্রুতা। সারাক্ষণ একে অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টায় রত। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মারামারি থেকে শুরু করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া; বছরের পর বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলা।
৬ দিন আগে