দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাজ হওয়া উচিত জনকল্যাণ: ভূমি উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ০৩

ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ভূমি প্রশাসন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি ভূমি রাষ্ট্রীয় সম্পদ, আর সেই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ডগণ। বর্তমান সময়ে এসি ল্যান্ডরা শুধু ভূমি প্রশাসনের কাজেই নয়, বরং প্রশাসনের নানাবিধ দায়িত্বেও যুক্ত। ফলে তাদের ওপর দায়িত্বের চাপ অনেক। কিন্তু দায়িত্ব যতই বহুমাত্রিক হোক না কেন, ভূমিসেবায় কোনো প্রকার গাফেলতি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ভূমি জনগণের জীবনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সমস্যায় সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয়, আর এই হয়রানি দূরীকরণই সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাজ বহুমাত্রিক হলেও তার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনকল্যাণ। ভূমিসেবা সেই জনকল্যাণেরই কেন্দ্রবিন্দু। তাই অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ভূমিসেবার কাজকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব নয়, এটি নৈতিক কর্তব্যও। ভূমিসেবার মান যত উন্নত হবে, ততই সরকারের সাফল্য দৃশ্যমান হবে এবং জনগণের আস্থা আরো মজবুত হবে।

রোববার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অক্টোবর ২০২৫ এর কমিশনার সমন্বয় সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।

সারা দেশে একযোগে অক্টোবরের ৩০ তারিখ নামজারির ভার্সন ২.১ সফটওযার চালু করা হবে। ভূমি উন্নয়ন করের একটি অ্যাপসও চালু করা হবে। সঠিকভাবে অনলাইনে ভূমিসেবা কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, আরো প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে অনলাইনে ভূমিসেবা প্রদানে সফলতার জন্য ৮ জনকে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সম্মানান প্রদান করবে, বলেন ভূমি উপদেষ্টা।

উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ সময় বিভাগীয় কমিশনারগণ বলেন, কোনো জেলা পরিদর্শনে গেলে পথিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনারগণ (ভূমি) শুভেচ্ছা জানানো জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, এ প্রথা গ্রহণযোগ্য না। এতে রাষ্ট্রের কাজের ক্ষতি হয়। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, এসব প্রথা অবশ্যই রোধ করতে হবে এবং এর জন্য বিভাগীয় কমিশনারগণ কঠোর ভূমিকা রাখবেন।

তিনি আরো বলেন, ভূমি অফিসগুলো আমরা কেমন দেখতে চাই এবং জনগণ কেমন দেখতে চায় সেরকম ভূমি অফিস হতে হবে। ভূমিসেবাকে আধুনিক ও সহজ করতে সরকার ইতোমধ্যে একাধিক উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মূল চালিকা শক্তি এসি ল্যান্ডগণ এবং তাদের পদপ্রদর্শক কমিশনারগণ। তাই তাদের দায়িত্ব শুধু প্রশাসনিক নয়, এটি এক ধরনের জনসেবামূলক অঙ্গীকার।

সমন্বয় সভায় বিভাগীয় কমিশনারগণসহ আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান(সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত