দেশে দুদিনে চার দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আগের দিনের শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির রেশ না কাটতেই আজ শনিবার সকালে এবং সন্ধ্যায় পুনরায় দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে শনিবার ভূমিকম্পের ঘটনায় কোনো হতাহতের কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ৩১ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর চারবার ভূমিকম্প হওয়ায় দেশজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র জানায়, প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। আর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানীর বাড্ডা। পরে এক সেকেন্ডের ব্যবধানে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে পুনরায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৪.৩ মাত্রার। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদী ।
সকালের ভূমিকম্পটির উৎস সংস্থাটি প্রথমে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা জানানোর পর বিকালের দিকে জানায়, ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশ উপজেলা। আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন আহমেদ দুপুরে ভূমিকম্পটির উৎসস্থল হিসেবে বাইপাইলের কথা বলেছিলেন। পরে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে তার নামেই ভূমিকম্প সংঘটন বার্তাটি আপলোড করা হয়, যেখানে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল পলাশ উল্লেখ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, প্রাথমিকভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারা একটা তথ্য পায়; পরে তা বিশ্লেষণ করে থাকে। শনিবারের সকালের ভূমিকম্পটির ক্ষেত্রেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে তারা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার কথা জানালেও পরে তথ্য বিশ্লেষণ করে তা পরিবর্তন করেন। পরে সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে জানায় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ রুবাইয়াত কবির আমার দেশকে বলেন, সাধারণত ভূমিকম্পের পর একই এলাকা বা আশপাশে অনুভূত অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভূকম্পন হয়ে থাকে। এটাকে আফটার শক বা পরাঘাত বলা হয়ে থাকে। ভূ-ত্বকের চ্যুতি রেখায় মূল কম্পনের ফলে জমে ওঠা চাপ ধাপে ধাপে মুক্ত হতে থাকে, আর এই ছোট ছোট কম্পনগুলোর মাধ্যমে অঞ্চলটি আবার স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে। যদিও এগুলোর মাত্রা কম, তবুও ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও দুর্বল স্থাপনার জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তিনি বলেন, পরাঘাতের সংখ্যা কিংবা সময়সীমা উল্লেখ করা যায় না। এ সাধারণ ভূমিকম্প হওয়ার খুব নিকটবর্তী সময়ে হয়ে থাকে; তবে সেটা একটু দেরিতেও হতে পারে। ফলে ভূমিকম্পের পরেও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র জানায়, শনিবার প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। আর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানীর বাড্ডা। পরে এক সেকেন্ডের ব্যবধানে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে পুনরায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদী।
সকালের ভূমিকম্পটির উৎস সংস্থাটি প্রথমে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা জানানোর পর বিকালের দিকে জানায়, ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশ উপজেলা। আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন আহমেদ দুপুরে ভূমিকম্পটির উৎসস্থল হিসেবে বাইপাইলের কথা বলেছিলেন। পরে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে তার নামেই ভূমিকম্প সংঘটন বার্তাটি আপলোড করা হয়, যেখানে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল পলাশ উল্লেখ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, প্রাথমিকভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারা একটা তথ্য পায়; পরে তা বিশ্লেষণ করে থাকে। শনিবারের সকালের ভূমিকম্পটির ক্ষেত্রেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে তারা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার কথা জানালেও পরে তথ্য বিশ্লেষণ করে তা পরিবর্তন করেন। পরে সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে জানায় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ রুবাইয়াত কবির আমার দেশকে বলেন, সাধারণত ভূমিকম্পের পর একই এলাকা বা আশপাশে অনুভূত অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভূকম্পন হয়ে থাকে। এটাকে আফটার শক বা পরাঘাত বলা হয়ে থাকে। ভূ-ত্বকের চ্যুতি রেখায় মূল কম্পনের ফলে জমে ওঠা চাপ ধাপে ধাপে মুক্ত হতে থাকে, আর এই ছোট ছোট কম্পনগুলোর মাধ্যমে অঞ্চলটি আবার স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে। যদিও এগুলোর মাত্রা কম, তবুও ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও দুর্বল স্থাপনার জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তিনি বলেন, পরাঘাতের সংখ্যা কিংবা সময়সীমা উল্লেখ করা যায় না। এ সাধারণ ভূমিকম্প হওয়ার খুব নিকটবর্তী সময়ে হয়ে থাকে; তবে সেটা একটু দেরিতেও হতে পারে। ফলে ভূমিকম্পের পরেও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।


পলাশ নয়, সর্বশেষ ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকার বাড্ডায়