নারীর অবদান দৃশ্যমান হতে হবে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৮
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ১০

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, নারীর অদৃশ্য অবদান সমূহ দৃশ্যমানে আনতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং ইউএন উইমেন বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এ গবেষণায় নারীর অবৈতনিক কাজ দেশের অর্থনীতির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন এই কাজে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরী তা প্রতিফলিত হয়েছে।

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, মানবসভ্যতার উৎকর্ষ আর অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কি ঘরে, কি বাইরে প্রতিটি মানুষের অবদান রয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে নারীরা সাম্যের জন্য কাঙ্গাল।

বিজ্ঞাপন

বিবিএস এর ২০২১ সালের জরিপ অনুযায়ী নারীরা গড়ে পুরুষের তুলনায় ৭.৩ গুণ বেশি সময় অবৈতনিক কাজে (গৃহস্থলী ও যত্নমূলক কাজ) ব্যয় করেন। কিন্তু আমাদের ভাইয়েরা বুঝতে চায় না যে, নারীরা যে পরিমাণ কাজ করে তার মূল্যায়ন এবং স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।

তিনি মঙ্গলবার আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক প্রণীত 'Unpaid Household Production Satellite Account of Bangladesh ' বিষয়ক প্রতিবেদন এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য জাতীয় সমন্বয় স্থাপন করার লক্ষ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় কাঠামো গড়ে তোলা দরকার, যা আইনসমূহকে সমন্বিত করে এবং অধিকারভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈতনিক যত্ন ও গৃহস্থালি কাজ হ্রাস ও পুনর্বন্টনে পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতিতে যত্নমূলক কাজ বা কেয়ারকে সংযুক্ত করার জন্য রাজস্ব, শ্রম এবং সামাজিক সুরক্ষা নীতিতে জেন্ডারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও বাজেট প্রণয়ন করা উচিৎ ।

নারীদের অধিকার দিয়ে পরবর্তী জাতীয় উন্নয়ন কৌশল প্রণয়ন করা প্রয়োজন। বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাপূর্ণ কেয়ার গিভিং চাকরি, জেন্ডার সমতাভিত্তিক কর্মক্ষেত্র নীতি এবং কেয়ার অবকাঠামোয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা উচিৎ । শ্রম অধিকার ও কেয়ার সম্পর্কিত বিধি-বিধান বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সঙ্গে বেসরকারি খাতের কার্যক্রম সম্মানিত করা দরকার।

তিনি বলেন, সমাজ পাল্টাচ্ছে। সমাজের বিবর্তনে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গবেষণালব্ধ কাজ করতে পারি তাহলে এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার, ইউ এন উইমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি গীতাঞ্জলী সিং, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক মো. ইমদাদুল হক, উপপরিচালক আসমা আক্তার এবং ইউএন উইমেন এর প্রোগ্রামার নুবায়রা জাহিন এ বিষয়ের উপর বক্তৃতা করেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত