বাংলা একাডেমিতে নিয়োগ দুর্নীতি, প্রমাণ মিলেছে দুদকের অভিযানে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৪২

বাংলা একাডেমিতে ১৭৫ জন নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রমাণ মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর অভিযানে। সোমবার বাংলা একাডেমিতে নিয়োগ জালিয়াতির খোঁজে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

২০২২ সালে তৎকালীন মহাপরিচালক নুরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টরা চাকরির আবেদন ফরম থেকে শুরু করে পদে পদে দুর্নীতি করেছেন। এমন কি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে ১০ লাখ টাকা করে ঘুষ নেন তারা বলে জানায় দুদক।

দুদক আরও জানিয়েছে, ২০২২ সালে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৮০ জনের বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলা একাডেমি। ৫০ হাজার নিয়োগ প্রার্থীর কাছ থেকে অন্তত ২ কোটি টাকা জমা হয়। এর মধ্যে অর্ধকোটি টাকা ‘লুটপাট’ করে তখনকার মহাপরিচালক নুরুল হুদাসহ অন্যরা।

একইভাবে ৪ হাজার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখানো হলেও মৌখিক পরীক্ষার ডাকা হয় মাত্র ৫০০ জনকে। তবে ফল প্রকাশ না করেই ১৭৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

যেখানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকে স্থায়ীকরণ, আত্মীয়-স্বজন ও কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়মের লঙ্ঘন করে চাকরি দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এমনকি কর্মচারী নিয়োগে ১০ লাখ টাকা করে ঘুষ নেন বাংলা একাডেমি সংশ্লিষ্টরা।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম জানান, অতীতে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগের বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। অপরাধের প্রমাণ মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান তার।

দুদক বলছে, রাজনৈতিক প্রভাব, কর্মকর্তাদের খেয়ালখুশি মতো নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে যারা জড়িত, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত