আইন মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন বিভাগ বা নিবন্ধন অধিদপ্তরের সব কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হতে যাচ্ছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
দীঘদিন ধরে রেজিস্ট্রেশন বিভাগকে নিজেদের অধীনে নিতে চাইছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তাদের যুক্তি, এসিল্যান্ড অফিসের সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন বিভাগ থাকলে একই জায়গা থেকে জনগণ সহজে সেবা পাবে।
অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশন বিভাগকে নিজেদের কাছেই রাখতে চাইছে আইন মন্ত্রণালয়। তাদের যুক্তি, আইনে ভূমি রেজিস্ট্রেশন জুডিশিয়াল ওয়ার্ক। তাছাড়া ভূমি সংক্রান্ত কাজ ভূমি আইন, নন এগ্রিকালচার ট্যানেন্সি অ্যাক্ট, স্টেট একুইজিশন অ্যাক্টসহ অনেকগুলো বিষয় বিভিন্ন জটিল আইনের আওতাভুক্ত। আইনের বিষয়ে পড়াশোনা না করা ব্যক্তি বিসিএস এডমিন থেকে এসিল্যান্ড হয়ে আইনকানুন কিছু না জেনেও এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করবে। ফলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়বে। তাই জমির মিউটেশন, খাজনা প্রদান তথা এসিল্যান্ড অফিস আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা উচিত।
নিবন্ধন অধিদপ্তরকে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের বিষয়ে ২০০৮ সালে অর্থ বিভাগের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশনে জনস্বার্থে রিট মামলা করা হয়। যার নম্বর ২৫১-২০০৮। এরপর ওই বছর ১৩ মার্চের শুনানি শেষে আদালত এক সংক্ষিপ্ত আদেশে বলেন, রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
উচ্চ আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিষ্পত্তি না করে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের অনেকে বলছেন, এ সংক্রান্ত রিট মামলা ২০০৮ সাল থেকে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। ফলে এ ধরনের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে নিয়ে নিবন্ধন অধিদপ্তর ভূমি মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের আইনি সুযোগ নেই। আগেও এ ধরনের উদ্যোগ সফল হয়নি।
তাদের মতে, ভূমি মন্ত্রণালয় সীমাহীন সমস্যায় জর্জরিত। ভূমি অফিসগুলো এখনো সেবাপ্রার্থীদের যথাযথ সেবা দিতে পারছে না। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন বিভাগ যুক্ত হলে ভোগান্তি আরো বাড়বে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


ভূমি বিরোধ হ্রাসে সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ তাৎপর্যপূর্ণ: ভূমি সচিব