
স্টাফ রিপোর্টার

আসন্ন আমন মৌসুমে গত বছরের চেয়ে বেশি দামে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবার সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা, আতপ চাল ৪৯ টাকা এবং ধান ৩৪ টাকা কেজি দরে কেনা হবে।
এর আগের বছর আমন মৌসুমে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৭ টাকা এবং আতপ চাল ৪৬ টাকা দরে সংগ্রহ করেছিল সরকার।
রোববার মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভাপতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আসন্ন আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ৬ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০ নভেম্বর থেকে সারা দেশে এ সংগ্রহ শুরু হয়ে চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর গত বছর ১৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ অভিযান চালিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। বাজারমূল্যের তুলনায় সরকার নির্ধারিত সংগ্রহ মূল্য কম হওয়ায় আমন মৌসুমে খাদ্য অধিদপ্তর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান ও চাল সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে অভ্যন্তরীণ ঘাটতি পূরণে সরকারকে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত আমন মৌসুমে সরকার ৫ দশমিক ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও সংগ্রহ হয় ৪ দশমিক ৩৫ লাখ টন। আতপ চাল সংগ্রহ হয় ৮৪ হাজার ৬১ টন, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ টন। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫০ লাখ টন, কিন্তু সংগ্রহ হয় মাত্র ২৬ হাজার ৭১৪ টন। এতে বিপুল পরিমাণ ঘাটতি দেখা দিলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার ৮ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।
সভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ধান বিক্রি করতে না পারলে কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়, আর চাতালের মালিকরা কম দামে ধান কিনে নেয়। এবার সরকার নির্ধারিত দামে ধান-চাল কিনবে, যাতে কৃষক ন্যায্য মূল্য পান।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। আমরা চেষ্টা করছি খাদ্যের প্যাকেজ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমন ধানের উৎপাদন খরচ বোরো মৌসুমের থেকে কম। কারণ এই সময় বৃষ্টি থাকে, ফলে সেচের খরচ কম হয়। কখনো কখনো সেচ খরচ লাগেই না। তারপরও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় এবার ধান ও চালের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের বিষয়টি বিবেচনা করে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমন মৌসুমে ধান চালের সংগ্রহ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আসন্ন আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, গত বোরো মৌসুমে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এবারও সেই সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস করি।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাজধানীর খুচরা বাজারে চায়না ইরি ও স্বর্ণা জাতের মোটা চাল প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৬০ টাকায় এবং মাঝারি মানের পাইজাম-আটাশ জাতের চাল ৫৮ থেকে ৭০ টাকায় এবং সরুজাতের মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আসন্ন আমন মৌসুমে গত বছরের চেয়ে বেশি দামে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবার সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা, আতপ চাল ৪৯ টাকা এবং ধান ৩৪ টাকা কেজি দরে কেনা হবে।
এর আগের বছর আমন মৌসুমে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৭ টাকা এবং আতপ চাল ৪৬ টাকা দরে সংগ্রহ করেছিল সরকার।
রোববার মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভাপতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আসন্ন আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ৬ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০ নভেম্বর থেকে সারা দেশে এ সংগ্রহ শুরু হয়ে চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর গত বছর ১৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ অভিযান চালিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। বাজারমূল্যের তুলনায় সরকার নির্ধারিত সংগ্রহ মূল্য কম হওয়ায় আমন মৌসুমে খাদ্য অধিদপ্তর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান ও চাল সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে অভ্যন্তরীণ ঘাটতি পূরণে সরকারকে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত আমন মৌসুমে সরকার ৫ দশমিক ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও সংগ্রহ হয় ৪ দশমিক ৩৫ লাখ টন। আতপ চাল সংগ্রহ হয় ৮৪ হাজার ৬১ টন, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ টন। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫০ লাখ টন, কিন্তু সংগ্রহ হয় মাত্র ২৬ হাজার ৭১৪ টন। এতে বিপুল পরিমাণ ঘাটতি দেখা দিলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার ৮ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।
সভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ধান বিক্রি করতে না পারলে কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়, আর চাতালের মালিকরা কম দামে ধান কিনে নেয়। এবার সরকার নির্ধারিত দামে ধান-চাল কিনবে, যাতে কৃষক ন্যায্য মূল্য পান।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। আমরা চেষ্টা করছি খাদ্যের প্যাকেজ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমন ধানের উৎপাদন খরচ বোরো মৌসুমের থেকে কম। কারণ এই সময় বৃষ্টি থাকে, ফলে সেচের খরচ কম হয়। কখনো কখনো সেচ খরচ লাগেই না। তারপরও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় এবার ধান ও চালের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের বিষয়টি বিবেচনা করে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমন মৌসুমে ধান চালের সংগ্রহ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আসন্ন আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, গত বোরো মৌসুমে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এবারও সেই সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস করি।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাজধানীর খুচরা বাজারে চায়না ইরি ও স্বর্ণা জাতের মোটা চাল প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৬০ টাকায় এবং মাঝারি মানের পাইজাম-আটাশ জাতের চাল ৫৮ থেকে ৭০ টাকায় এবং সরুজাতের মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে মাইলফলক। রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আবাসিক প্লট ও ফ্ল্যাট হস্তান্তরের ক্ষেত্রে লিজদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদন গ্রহণের দীর্ঘদিনের প্রথা বাতিল করেছে সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্লট বা ফ্ল্যাটের উত্তরাধিকার, ক্রয়-বিক্রয়, দান বা ঋণ গ্রহণের অনুমতির জন্য লিজগ্রহীতাদের আর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না।
২ ঘণ্টা আগে
অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছেন। দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষকরা এই কর্মসূচি পালন করতেছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি আগের মতোই চলবে বলে জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নতুন ডিসি পাওয়া জেলাগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝিনাইদহ, নড়াইল, জামালপুর, মেহেরপুর, কিশোরগঞ্জ, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ ও চাঁদপুর।
৩ ঘণ্টা আগে