রোহিঙ্গাদের সহায়তা নজিরবিহীন বরাদ্দ বাড়াল সরকার: কোস্ট ফাউন্ডেশন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৮
ছবি: আমার দেশ

বাংলাদেশে আশ্রিত ১১.৫৬ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহায়তা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়া হলেও অন্তর্বর্তী সরকার নজিরবিহীনভাবে বরাদ্দ বাড়িয়েছে ২৬৩ শতাংশ। এ তথ্য উঠে এসেছে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে। 

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘রোহিঙ্গা প্রতিক্রিয়া পুনঃস্থাপন করুন: স্বল্প খরচে ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় এনজিওগুলিকে সম্পৃক্ত করুন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য দাতাদের সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা কমিয়েছে ৭২ শতাংশ, যুক্তরাজ্য কমিয়েছে ৪৮ শতাংশ। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ দাতা হিসেবে দিয়েছে ৮৫.২৮ মিলিয়ন ডলার (২৪ শতাংশ), আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন দিয়েছে ৬৬.৬২ মিলিয়ন ডলার (১৯ শতাংশ)।

২০২৫ সালের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র ৩৮ শতাংশ পূরণ হয়েছে, যা রোহিঙ্গা সংকটের অষ্টম বছরে বড় আর্থিক চাপ তৈরি করছে। অর্থ বণ্টনেও বৈষম্য করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক এনজিও পেয়েছে ৬৩.৬ শতাংশ ফান্ড, জাতীয় এনজিও ৩৩. শতাংশ, আর স্থানীয় এনজিও পেয়েছে মাত্র ২.৫ শতাংশ। অথচ আন্তর্জাতিক সংস্থার ৭০ শতাংশ ব্যয় হয় ম্যানেজমেন্ট খাতে, যেখানে স্থানীয় এনজিওগুলো অনেক কম খরচে কাজ করতে সক্ষম।

গবেষকরা বলছেন, বর্তমান তহবিল কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার। তাদের সুপারিশ—কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ফান্ড সরাসরি স্থানীয় এনজিওর মাধ্যমে দেয়া প্রয়োজন, কক্সবাজার থেকে উইএন ও আইএনজিও অফিস সরিয়ে ম্যানেজমেন্ট খরচ কমানো এবং রোহিঙ্গাদের জীবিকা উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিৎ।

বক্তারা আরও বলেন, কক্সবাজারের লোকাল এনজিওর ফান্ডিং দিন দিন কমে গেছে। রোহিঙ্গারা শুটকি খেতে পছন্দ করে, লুঙ্গি পড়তে পছন্দ করে। আমরা যদি কক্সবাজারের স্থানীয় শুটকি, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি তাদের জন্য ব্যবহার করি, তাহলে আমরা খরচটা কমিয়ে আনতে পারব। আন্তর্জাতিক বা ব্রাকের মতো জাতীয় এনজিও বাদ দিয়ে লোকাল এনজিওর মাধ্যমে যদি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহযোগিতা করা হয় তাহলে খরচ অনেক কমে যাবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত