দ্রুত প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে: প্রেস সচিব
বিশেষ প্রতিনিধি
স্বচ্ছতা ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গণমাধ্যমের হালচাল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, স্বচ্ছতা ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। আগের মতো সংসদ সদস্য, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন নেতাদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়ে তদবির করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ১৬৭ জনের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিল। আমরা বলেছি এটা একটা মিসটেক। সে অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত অ্যাক্রিডিটেশনের জন্য নতুন কমিটি করেছি, নতুন নীতিমালা হয়েছে। আমরা খুব দ্রুত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেব এবং নীতিমালাটা খুব সহজ করা হয়েছে। জার্নালিস্ট ফ্রেন্ডলি করা হয়েছে। আগে যেটা ছিল, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিলে বিদেশে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হতো। সরকারের প্রশংসা করতে হবে, সরকারের বন্দনা করতে হবে। এখন এগুলো আমরা কিছু রাখিনি।
শফিকুল আলম বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর যে ২৬৬টি হত্যা মামলা হয়েছে, কারা কেন এসব মামলা করেছেন তা সরকারের জানা নেই। এসবের কারণে কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বরং তারা নিয়মিত অফিস করছেন। গণমাধ্যমগুলোকে বিগত সময় করা ভুলগুলো সাহসের সঙ্গে স্বীকার করে জনগণের কাতারে এসে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে হবে। নিরাপদভাবে সাংবাদিকতার নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে নতুন সোশ্যাল কন্টাক্ট ও অর্থনৈতিক মডেল দরকার, যার মাধ্যমে সাংবাদিকদের কপিরাইট, বেতন প্রটেক্ট (সুরক্ষিত) হবে।
তিনি বলেন, গত ৯ মাসে গণমাধ্যম অবারিত স্বাধীনতা ভোগ করছে। মিডিয়ার বড় একটি অংশ শেখ হাসিনাকে বৈধতা দিয়ে গণঅভ্যুত্থানকারীদের সন্ত্রাসী বা জঙ্গি বলার চেষ্টা করেছে। কিছু কিছু সাংবাদিক মালিকের ব্যবসার কারণে চাকরি হারিয়েছেন। এতে সরকার দায়ী নয়, বরং সরকার চায় সবাই সত্য বলবে। মিডিয়া স্বাধীন ও প্রাতিষ্ঠানিক হবে। সরকার কোনো নিউজ আউটলেট বন্ধ না করে নেত্র নিউজের মতো অনলাইন ব্লক করা সাইটগুলো খুলে দিয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, অনেক সাংবাদিক ফেসবুকে মিথ্যা লিখলেও আদর্শিক (ইডিওলজি) কারণে কারো কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। তবে অন্যান্য দেশের মতো প্রতিটি পত্রিকায় সাংবাদিকদের নিজ নিজ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে গাইডলাইন থাকা উচিত।
সেমিনারে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও আমার দেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, গত ১৭ বছর আর এখনকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অতিসহজে বোঝা যায়। আগে সরকারের সমালোচনা করাই যেত না। মামলা, হামলা এবং হয়রানির শিকার হতেন সাংবাদিকরা। কিন্তু এখন নির্দ্বিধায় সমালোচনা করতে পারছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, অতীতে গণমাধ্যমের অবস্থা দেখেছি, তারা তেলবাজিতে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু এখন স্বাধীনভাবে মতামত লিখেত পারছে। এটাই তো স্বাধীনতা।
পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, গণমাধ্যম সহায়তা না করলে ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই কায়েম সম্ভব ছিল না। অবশ্যই গণমাধ্যম সংস্কার করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই-এর আহবায়ক জয়নাল আবেদিন শিশিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুখপাত্র প্লাবন তারিক। আরো বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক একরামুল হক সায়েম প্রমুখ।
স্বচ্ছতা ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গণমাধ্যমের হালচাল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, স্বচ্ছতা ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। আগের মতো সংসদ সদস্য, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন নেতাদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়ে তদবির করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ১৬৭ জনের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিল। আমরা বলেছি এটা একটা মিসটেক। সে অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত অ্যাক্রিডিটেশনের জন্য নতুন কমিটি করেছি, নতুন নীতিমালা হয়েছে। আমরা খুব দ্রুত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেব এবং নীতিমালাটা খুব সহজ করা হয়েছে। জার্নালিস্ট ফ্রেন্ডলি করা হয়েছে। আগে যেটা ছিল, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিলে বিদেশে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হতো। সরকারের প্রশংসা করতে হবে, সরকারের বন্দনা করতে হবে। এখন এগুলো আমরা কিছু রাখিনি।
শফিকুল আলম বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর যে ২৬৬টি হত্যা মামলা হয়েছে, কারা কেন এসব মামলা করেছেন তা সরকারের জানা নেই। এসবের কারণে কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বরং তারা নিয়মিত অফিস করছেন। গণমাধ্যমগুলোকে বিগত সময় করা ভুলগুলো সাহসের সঙ্গে স্বীকার করে জনগণের কাতারে এসে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে হবে। নিরাপদভাবে সাংবাদিকতার নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে নতুন সোশ্যাল কন্টাক্ট ও অর্থনৈতিক মডেল দরকার, যার মাধ্যমে সাংবাদিকদের কপিরাইট, বেতন প্রটেক্ট (সুরক্ষিত) হবে।
তিনি বলেন, গত ৯ মাসে গণমাধ্যম অবারিত স্বাধীনতা ভোগ করছে। মিডিয়ার বড় একটি অংশ শেখ হাসিনাকে বৈধতা দিয়ে গণঅভ্যুত্থানকারীদের সন্ত্রাসী বা জঙ্গি বলার চেষ্টা করেছে। কিছু কিছু সাংবাদিক মালিকের ব্যবসার কারণে চাকরি হারিয়েছেন। এতে সরকার দায়ী নয়, বরং সরকার চায় সবাই সত্য বলবে। মিডিয়া স্বাধীন ও প্রাতিষ্ঠানিক হবে। সরকার কোনো নিউজ আউটলেট বন্ধ না করে নেত্র নিউজের মতো অনলাইন ব্লক করা সাইটগুলো খুলে দিয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, অনেক সাংবাদিক ফেসবুকে মিথ্যা লিখলেও আদর্শিক (ইডিওলজি) কারণে কারো কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। তবে অন্যান্য দেশের মতো প্রতিটি পত্রিকায় সাংবাদিকদের নিজ নিজ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে গাইডলাইন থাকা উচিত।
সেমিনারে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও আমার দেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, গত ১৭ বছর আর এখনকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অতিসহজে বোঝা যায়। আগে সরকারের সমালোচনা করাই যেত না। মামলা, হামলা এবং হয়রানির শিকার হতেন সাংবাদিকরা। কিন্তু এখন নির্দ্বিধায় সমালোচনা করতে পারছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, অতীতে গণমাধ্যমের অবস্থা দেখেছি, তারা তেলবাজিতে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু এখন স্বাধীনভাবে মতামত লিখেত পারছে। এটাই তো স্বাধীনতা।
পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, গণমাধ্যম সহায়তা না করলে ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই কায়েম সম্ভব ছিল না। অবশ্যই গণমাধ্যম সংস্কার করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই-এর আহবায়ক জয়নাল আবেদিন শিশিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুখপাত্র প্লাবন তারিক। আরো বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক একরামুল হক সায়েম প্রমুখ।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধিত বিধির গেজেট প্রকাশ করে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাসহ ২ দফা দাবিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ৪৩তম বিসিএস নন–ক্যাডার প্রত্যাশী আবেদনকারী প্রার্থীরা।
১৩ মিনিট আগেসরকারী কর্মকমিশনের (পিএসসি) নবনিয়োগপ্রাপ্ত সদস্য একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক শপথ গ্রহণ করেছেন।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডি ও বনানীতে পৃথক ঘটনায় দুই অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
১ ঘণ্টা আগেনতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা। এ ঘটনায় নতুন কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে