জুলাই বিপ্লবী শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছেছে। তার লাশ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৮৫ ফ্লাইটটি শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এরপর বিমানবন্দরে শহীদ হাদির লাশ গ্রহণ করেন- সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী, বশির আহমেদ ও ডা. সায়েদুর রহমান। এছাড়া ছিলেন- আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের, মো. বোরহান উদ্দিন। একই সঙ্গে বোন-জামাই আমিরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, হাদির লাশের সঙ্গে সিঙ্গাপুর থেকে আসেন তার বড় ভাই আবু বকর।
আগামীকাল শনিবার বেলা আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জুলাইযোদ্ধা শহীদ হাদি।
শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চ স্ট্যাটাসে জানায়, শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে হিমাগারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে শহীদ ওসমান হাদিকে রেখে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে এসে অবস্থান নেবে।
পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহীদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আজকের পরিবর্তে আগামীকাল মিছিলসহ সেন্ট্রাল মসজিদে আনা হবে বলে জানানো হয়।
ছাত্রজনতা আজ ও আগামীকাল শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলন জারি রাখার আহ্বান জানায় ইনকিলাব মঞ্চ। স্ট্যাটাসে বলা হয়, যেন কোনো গোষ্ঠী অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আন্দোলন স্তিমিত করতে না পারে। একইসঙ্গে সহিংসতার সুযোগ ও না পায়। লাশ দেখার কোনো সুযোগ থাকবে না।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

