এনসিপিকে জুলাই সনদ স্বাক্ষরে রাখার চেষ্টা

মাহফুজ সাদি
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫: ০৯

বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘জাতীয় জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর হচ্ছে আজ শুক্রবার। ঐতিহাসিক এ আয়োজন জাঁকজমকভাবে করতে সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ বিকাল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আরো থাকবেন জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সমাজের বিশিষ্টজন ও কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অধিকাংশ দল ইতোমধ্যে নিশ্চয়তা দিয়েছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দলের অংশগ্রহণ নিয়ে শেষ মুহূর্তে সংশয় তৈরি হয়েছে। আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশীদার হবে না বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানায় এনসিপি।

বিজ্ঞাপন

অবশ্য সরকার যে কোনোভাবেই হোক, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের দলটির অংশগ্রহণ চাচ্ছে। এনসিপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকার এবং ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ- এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে দূতিয়ালিও করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। দলটির নেতাদের সঙ্গে সরকারের একাধিক উপদেষ্টার পাশাপাশি ড. ইউনূসও কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আমরা অপেক্ষায় আছি, শুক্রবার সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সবাই উপস্থিত থেকে সই করে গত এক বছরের দীর্ঘ চেষ্টার একটা পর্যায়ে উপনীত হতে পারব। তবে এ সনদ কেবল এক বছরের প্রচেষ্টার ফসল নয়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা, যা বারবার হোঁচট খেয়েছে। তারপরও সবার চেষ্টা আংশিকভাবে হলেও ধারণ করার প্রয়াস চালিয়েছিল এ সনদে।

নোট অব ডিসেন্টসহ ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য হওয়া এবং তার ভিত্তিতে সনদ প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, সে সনদই স্বাক্ষর হবে। এরপর তা বাস্তবায়নের প্রস্তাব সরকারকে দেওয়া হবে। আমরা আশা করি, এনসিপি এতে অংশ নেবে। শুক্রবারের পরও জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সুযোগ থাকবে।

সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান উৎসবমুখর হওয়ার আশাবাদ জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, দলগুলোর পক্ষ থেকে সনদের অঙ্গীকারনামা অংশটুকুতে স্বাক্ষর দেওয়া হবে। পাশাপাশি কমিশনের যারা সদস্য, তারা স্বাক্ষর করবেন। সবশেষে কমিশনের প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষর করবেন। উপস্থিত সবার মধ্যে সনদের কপি বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।

এর আগে বুধবার প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বিএনপি জানায়, তাদের নোট অব ডিসেন্টে (ভিন্নমত) থাকলেও সনদে সই করবে। জামায়াত পিআর ও গণভোটের সময় নিয়ে ফয়সালা চেয়েছে। এনসিপি বলেছে, বাস্তবায়ন পদ্ধতি ছাড়া অগ্রসর হওয়া যাবে না। তবে কয়েকটি বাম দল ছাড়া কেউই বলেনি সনদে সই করবে না।

চূড়ান্ত সনদে বেশ কয়েকটি বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ ৮৪ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাত দফা অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে। গণভোটের মাধ্যমে এ সনদ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে গণভোট কখন হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভেদ আছে। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো চায় আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি দলের দাবি, সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। তারা সনদের আইনি ভিত্তিও চেয়েছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সুযোগ পরেও থাকবে

অনুষ্ঠানে কেউ স্বাক্ষর করতে না পারলে কী হবে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, শুক্রবার সব দলের স্বাক্ষর নিতে পারলে ভালো। তবে যদি কোনো দল পরে স্বাক্ষরের কথা বলে, তারা তো সনদ প্রক্রিয়ার অংশীদার। শরিক হিসেবে তারা সেটা করতে পারবে। তবে কমিশন আশা করে, সবাই একসঙ্গে বসে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাক্ষর করবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর জুলাই সনদের যে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, শুক্রবারের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর সেটির আর সংশোধনের সুযোগ থাকবে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আলী রীয়াজ।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।

যেভাবে সাজানো হয়েছে আজকের অনুষ্ঠান

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে ব্রিফিং করেন ড. আলী রীয়াজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দুই পর্বে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরুর পর সাড়ে ৪টার দিকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর দ্বিতীয় পর্বে প্রজেকশন ম্যাপিংয়ে সনদ তৈরির পটভূমি ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত) তারেক রহমান, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ও এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বিশেষ ধরনের আমন্ত্রণপত্র

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা নিজেই আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন। বাংলার ঐতিহ্য ধারণকারী ব্যতিক্রমী ধরনের একটি কার্ড পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কার্ডের কভার পেজের ওপরের অংশ বাংলার একসময়কার প্রধান অর্থকরী ফসল পাটের কাপড় এবং নিচের অংশ ঐতিহ্যবাহী জামদানি (লাল রঙের) কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

কার্ডে আমন্ত্রিত অতিথিকে ‘সম্মানিত নাগরিক’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সম্মানিত নাগরিক, আগামী শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আমরা ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনায় উপস্থিত থাকব, যেখানে স্বাক্ষর হবে জুলাই জাতীয় সনদ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রণীত এই সনদ জাতি হিসেবে আমাদের পুনর্জাগরণের অঙ্গীকার এবং ভবিষ্যৎ নির্মাণের এক অনন্য দলিল। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার জন্য আপনি সাদরে আমন্ত্রিত’।

প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, আমরা সব টিভি এবং অনলাইন মিডিয়াকে শুক্রবার বিকাল ৪টায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

সব বাংলাদেশিÑআপনারা যেখানে যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন, বাড়িতে কিংবা ভ্রমণে, দোকান কিংবা কারখানায়, কর্মস্থল, ফসলের ক্ষেত কিংবা খেলার মাঠে, অবশ্যই এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হোন!

আমরা দেখাতে চাই, আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা জাতিগত পার্থক্য সত্ত্বেও আমরা এক ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি। এখন সময় আমাদের একসঙ্গে উদযাপন করার, ঐক্যের শক্তি অনুভব করার এবং গর্ব ও আশার এই ঐতিহাসিক দিন থেকে শক্তি অর্জন করার!

সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ ওই এলাকায় কোনো ধরনের ড্রোন ওড়ানো যাবে না বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়।

সই না করার ঘোষণা বামপন্থি চার দলের

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বামপন্থি চারটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে। দলগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই সনদে সংবিধানের চার মূলনীতি উল্লেখ করা হয়নি এবং আরো কয়েকটি কারণে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য দলগুলো হলো বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ জাসদ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।

এদিকে গণফোরাম জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা-সংক্রান্ত টেলিগ্রাম এবং ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা না হলে তারা স্বাক্ষর করবে না।

আইনি ভিত্তি ছাড়া স্বাক্ষর শুধু আনুষ্ঠানিকতা : এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি শুধু আনুষ্ঠানিকতা দাবি করে গতকাল জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া এবং আদেশের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলে সেটা মূল্যহীন হবে। এ কারণে তারা জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশীদার হবে না।

তিনটি বিষয় পরিষ্কার হওয়ার পর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হতে পারে মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদের বৈধতার উৎস হতে হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান। জুলাই সনদের ৮৪টি বিষয় একত্রে গণভোটে যাবে। পরে সংসদ সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করবে।

অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে না এনসিপি

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াজোঁ প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন, এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আইনি ভিত্তি অর্জন হবে না। এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা। আমরা বহুবার আইনি ভিত্তির কথা বলেছি। তাই আইনি ভিত্তির আগে এ ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো আরেকটি এক পাক্ষিক দলিলে রূপান্তর হবে।

তবে ঐকমত্য কমিশন যেহেতু সময় বাড়িয়েছে। আমরা ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরব। দাবি পূরণ হলে পরে স্বাক্ষর করবে এনসিপি।

কোন দলের কার স্বাক্ষর করার কথা

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের জন্য ঐকমত্য কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী দলগুলো আগেই দুজন করে প্রতিনিধির নাম পাঠিয়েছে। এনসিপিসহ যেসব দল স্বাক্ষর করবে না বলে নতুন করে ঘোষণা দিয়েছে, তারাও আগে প্রতিনিধির নাম পাঠিয়েছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, স্বাক্ষরের জন্য বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামুল বশীর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মুশতাক হোসেন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও মহাসচিব মোমিনুল আমিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও ড. আহমদ আবদুল কাদের।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, জাকের পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল ইমলাম ভূঁইয়া, মহাসচিব শামীম হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কাদের ও মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফী রতন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান রশীদ ফিরোজ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম টিপু বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লিটু বিশ্বাস, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্য, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম।

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও মহাসচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ সেলিম, আমজনতার দলের সভাপতি কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান, গণফোরামের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, ১২ দলীয় জোটের পক্ষে জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমের নাম পাঠানো হয়েছে।

ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবারও বাড়ল

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ তৃতীয় দফায় বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে কমিশনের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করা কমিশনের মেয়াদ প্রথমে ছয় মাস নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে এক মাস করে দুই দফায় দুই মাস বাড়িয়ে এর মেয়াদ ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছিল। নতুন করে এবার কমিশনের মেয়াদ ১৬ দিন বাড়ানো হলো।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত