দিল্লি সফর করা সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কূটনৈতিক রিপোর্টার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি দিল্লি সফর করে আসা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বিগত তিন নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিকে আপনারা কোন প্রশ্ন করেননি। এটা আমাকে অবাক করেছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত কেন কোনো প্রশ্ন তোলেনি, এ প্রশ্নটি সাংবাদিকদের করা উচিত ছিল।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের ভারত সংক্রান্ত এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে সম্প্রতি দিল্লিতে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে আইনি দিক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। আপনাদের কিছু জানিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা আইনি দিক পালন করেই শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছি। তারা কোনো জবাব দেয়নি। তারা তাদের দিক থেকে দেখতে থাকুক।
তিনি বলেন, তবে আপনারা যারা দিল্লি গিয়েছিলেন, তাদের বিষয়ে আমার একটা পর্যবেক্ষণ আছে। যেহেতু আপনি প্রশ্নটি তুললেন, তাই বলছি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আপনাদের মুখে একটি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশে আগামীতে একটি স্বচ্ছ- নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। তবে আপনাদের বলা উচিত ছিল গত ১৫ বছরে আপনারা (ভারত) এ প্রশ্ন তোলেননি কেন? আগের নির্বাচনগুলো কি সঠিক ছিল? ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নিজে থেকেই এ সুযোগটি দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনারা প্রশ্নটি করেননি। এটা আমাকে অবাক করেছে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ আমরা একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছি।
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পারস্পরিক সম্মান ও গঠনমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সরকার কোনো নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এড়িয়ে চলার প্রয়োজন মনে করে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের সরকারও এই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার আকার ও শক্তির তুলনায় আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে। যারা আমাদের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী, তারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি দৃশ্যমান। তবে আমাদের অবস্থান বিবেচনায় আমাদের উপস্থিতি ছোট নয়- আমরা সর্বত্র দৃশ্যমানতা বজায় রাখছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি বাস্তবসম্মত, অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলে তিনি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং এই অঞ্চলে চীনের কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইসের পরিবর্তে নতুন যিনি বাংলাদেশের জন্য মনোনীত হয়েছেন, তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটুকু আপনাদের বলতে পারি, বাংলাদেশে সমস্যা সৃষ্টি হয়, এমন কেউ এখানে আসবে না। এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে চাই না।
জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন। অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে পারে এমন কাউকে আনতে চায় না সরকার। নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দাতা দেশসহ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সংশয় নেই।
ইসলামী বক্তা জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাকির নায়েককে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে কি না, সেটা আমি শুনিনি। আমার জানা নেই।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর বৈঠক
পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেছেন।
বৈঠককালে উপদেষ্টা সফররত পাকিস্তানি মন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং জেইসির নবম বৈঠকের সফল সমাপ্তির জন্য তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি উল্লেখ করেন, জেইসি অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে নতুন করে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সফররত পাকিস্তানি মন্ত্রী ২০২৫ সালের আগস্টে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরসহ দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক ইতিবাচক উন্নয়ন এবং সম্পৃক্ততার প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বের ওপর জোর দেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য তারা দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ব্যবসা-বাণিজ্য যোগাযোগ প্রচারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তারা। উভয় পক্ষ দুই দেশের জনগণের উপকারে আসবে এমন অংশীদারিত্ব এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি দিল্লি সফর করে আসা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বিগত তিন নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিকে আপনারা কোন প্রশ্ন করেননি। এটা আমাকে অবাক করেছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত কেন কোনো প্রশ্ন তোলেনি, এ প্রশ্নটি সাংবাদিকদের করা উচিত ছিল।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের ভারত সংক্রান্ত এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে সম্প্রতি দিল্লিতে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে আইনি দিক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। আপনাদের কিছু জানিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা আইনি দিক পালন করেই শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছি। তারা কোনো জবাব দেয়নি। তারা তাদের দিক থেকে দেখতে থাকুক।
তিনি বলেন, তবে আপনারা যারা দিল্লি গিয়েছিলেন, তাদের বিষয়ে আমার একটা পর্যবেক্ষণ আছে। যেহেতু আপনি প্রশ্নটি তুললেন, তাই বলছি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আপনাদের মুখে একটি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশে আগামীতে একটি স্বচ্ছ- নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। তবে আপনাদের বলা উচিত ছিল গত ১৫ বছরে আপনারা (ভারত) এ প্রশ্ন তোলেননি কেন? আগের নির্বাচনগুলো কি সঠিক ছিল? ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নিজে থেকেই এ সুযোগটি দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনারা প্রশ্নটি করেননি। এটা আমাকে অবাক করেছে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ আমরা একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছি।
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পারস্পরিক সম্মান ও গঠনমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সরকার কোনো নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এড়িয়ে চলার প্রয়োজন মনে করে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের সরকারও এই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার আকার ও শক্তির তুলনায় আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে। যারা আমাদের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী, তারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি দৃশ্যমান। তবে আমাদের অবস্থান বিবেচনায় আমাদের উপস্থিতি ছোট নয়- আমরা সর্বত্র দৃশ্যমানতা বজায় রাখছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি বাস্তবসম্মত, অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলে তিনি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং এই অঞ্চলে চীনের কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইসের পরিবর্তে নতুন যিনি বাংলাদেশের জন্য মনোনীত হয়েছেন, তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটুকু আপনাদের বলতে পারি, বাংলাদেশে সমস্যা সৃষ্টি হয়, এমন কেউ এখানে আসবে না। এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে চাই না।
জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন। অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে পারে এমন কাউকে আনতে চায় না সরকার। নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দাতা দেশসহ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সংশয় নেই।
ইসলামী বক্তা জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাকির নায়েককে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে কি না, সেটা আমি শুনিনি। আমার জানা নেই।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর বৈঠক
পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেছেন।
বৈঠককালে উপদেষ্টা সফররত পাকিস্তানি মন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং জেইসির নবম বৈঠকের সফল সমাপ্তির জন্য তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি উল্লেখ করেন, জেইসি অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে নতুন করে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সফররত পাকিস্তানি মন্ত্রী ২০২৫ সালের আগস্টে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরসহ দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক ইতিবাচক উন্নয়ন এবং সম্পৃক্ততার প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বের ওপর জোর দেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য তারা দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ব্যবসা-বাণিজ্য যোগাযোগ প্রচারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তারা। উভয় পক্ষ দুই দেশের জনগণের উপকারে আসবে এমন অংশীদারিত্ব এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে, তবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে পর্যবেক্ষণ মিশনের অপব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকবে বলেছেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
৭ ঘণ্টা আগে
লিবিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় লিবিয়া থেকে আরও ১৭৪ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রদূত মিলার জুলাই জাতীয় সনদকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ করতে সহায়ক হবে। তিনি সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন সংস্কার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদারের পদক্ষেপগুলোকেও ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদের থাকা ৮৪টি সংস্কার প্রস্তারের মধ্যে সংবিধান সম্পর্কিত ৪৮টি বিষয় গণভোটে দেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বাকি বিষয়গুলো সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে