বেক্সিমকোর রিসিভার রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শ্রম উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ৫৬
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ফাইল ছবি

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বেক্সিমকো লিমিটেডে নিয়োগ করা রিসিভার উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেননি, বরং উল্টো কাজ করেছেন। এজন্য বেক্সিমকোর রিসিভারকে (বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন) বরখাস্ত করা হবে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে শ্রম উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লে–অফ করা ১৩টি কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া, বেক্সিমকোর রিসিভারকে বরখাস্ত করা এবং ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর কাছে বন্ধক থাকা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার বিক্রি করে লে–অফ কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা করা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলস (বস্ত্র ও পোশাক) সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর মাধ্যমেই গ্রুপটি ঋণ নিয়েছে ২৮ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। বেক্সিমকো শিল্পপার্কের আওতাধীন যে ৩২ কোম্পানির কথা বলা হয়, এর মধ্যে ১৬টিই অস্তিত্বহীন। এসব অস্তিত্বহীন কোম্পানির বিপরীতে আছে ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণ।

বেক্সিমকোর নেওয়া ব্যাংকের ঋণগুলো খেলাপি কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ব্যাংকগুলোর কাছে জিজ্ঞাসা করব। একটা খতিয়ান তৈরি বা তদন্ত করা হবে। বিশেষ করে টাকাগুলো কীভাবে নেওয়া হয়েছে। আমরা চর্মচক্ষুতে দেখতে পেয়েছি, রিজার্ভ চুরির থেকেও বড় কেলেঙ্কারি এটা। এই টাকা আমাদের টাকা, আপনাদের টাকা। সেখান থেকে টাকা উজাড় হয়েছে।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত