
স্টাফ রিপোর্টার

সত্যিকার স্বাধীনতা ছাড়া পরিচালিত বিচার বিভাগ কার্যত কোনো বিচার বিভাগই নয় বলে মন্তব্য করেছেন গুম কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। শনিবার (১ নভেম্বর) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনমানুষের আস্থাই হলো বিচার বিভাগের মূল চালিকাশক্তি বা মেরুদণ্ড এবং আস্থাশীল বিচার বিভাগই হলো গণতন্ত্রের প্রাণ। বিচার বিভাগ জনমানুষের আস্থা হারালে দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়ে। বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বিচারকদের সততা, নৈতিকতা, সাহসিকতা এবং কর্মদক্ষতার মাধ্যমে আমাদের দেশের বিচার বিভাগের ওপর জনমানুষের পরিপূর্ণ আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
এ সময় জেলা বিচার বিভাগের ওপর থেকে সব ধরনের নির্বাহী হস্তক্ষেপের সুযোগ বন্ধ করে আর্থিক স্বাধীনতাসহ বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে সাবেক এই বিচারপতি বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে জেলা বিচার বিভাগে কর্মরত বিচারকদেরও মননে ও মগজে স্বাধীনতা লালন ও চর্চার আহ্বান জানান।
এ ক্ষেত্রে তিনি সংবিধানের ১১৬(ক) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিচারকার্য পরিচালনায় সবাইকে স্বাধীন থাকতে হবে এবং রাজনৈতিক বা নির্বাহী কোনো প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করা চলবে না। একই সময় বদলির ভয় উপেক্ষা করে ন্যায়বিচারকে দৃশ্যমান করার আহ্বান জানান তিনি।
পরিপূর্ণ স্বাধীনতা এবং জবাবদিহিতাকে বিচার বিভাগের দু’টি মূল পিলার হিসেবে চিত্রায়িত করে প্রশংসা কুড়ানো সাবেক এই বিচারপতি বলেন, জবাবদিহিতা ব্যতীত বিচার বিভাগের ওপর জনমানুষের আস্থা হারায় এবং স্বাধীনতা ব্যতীত বিচার বিভাগ কোনক্রমেই জনমানুষের বিচার বিভাগ হয়ে উঠতে পারে না। এছাড়াও নিজ বক্তব্যে এর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরেন তিনি।
এদিন প্রধান আলোচকের আলোচনা শেষে উন্মুক্ত অলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিচারকরা বিচার বিভাগের ওপর জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিজেদের নিরপেক্ষতা, সততা ও সাহসিকতা সমুন্নত রেখে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের ঐতিহাসিক পৃথককরণের ১৮ বছর পূর্তি স্মরণ করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতের স্বার্থে আর্থিক স্বাধীনতাসহ সম্পূর্ণ নির্বাহী হস্তক্ষেপমুক্ত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপন, বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও যথাশিগগির তা বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।
জাজেস’ লিগ্যাল ডিসকাশন গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) সাঈদ শুভ’র সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম (জেলা ও দায়রা জজ) ও মহাসচিব মো. মাযহারুল ইসলাম (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ)।
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই ওয়েবিনারের আয়োজন করে দেশের জেলা বিচার বিভাগে কর্মরত বিচারকদের নিয়ে একাডেমিক আলোচনার উদ্দেশ্য গঠিত সংগঠন জাজেস’ লিগ্যাল ডিসকাশন গ্রুপ (জেএলডিজি)।
এদিন বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে ‘ট্রাস্ট ডেফিসিট ইন বাংলাদেশ জুডিসিয়ারি: অ্যা প্যাথোলজিক্যাল ডায়াগনসিস’ শীর্ষক ওই ওয়েবিনারটি প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী চলে। যেখানে জেলা বিচার বিভাগের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রায় ২ শতাধিক বিচারক অংশ নেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ অবস্থিত পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের (স্থায়ী সালিশ আদালত) সদস্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

সত্যিকার স্বাধীনতা ছাড়া পরিচালিত বিচার বিভাগ কার্যত কোনো বিচার বিভাগই নয় বলে মন্তব্য করেছেন গুম কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। শনিবার (১ নভেম্বর) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনমানুষের আস্থাই হলো বিচার বিভাগের মূল চালিকাশক্তি বা মেরুদণ্ড এবং আস্থাশীল বিচার বিভাগই হলো গণতন্ত্রের প্রাণ। বিচার বিভাগ জনমানুষের আস্থা হারালে দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়ে। বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বিচারকদের সততা, নৈতিকতা, সাহসিকতা এবং কর্মদক্ষতার মাধ্যমে আমাদের দেশের বিচার বিভাগের ওপর জনমানুষের পরিপূর্ণ আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
এ সময় জেলা বিচার বিভাগের ওপর থেকে সব ধরনের নির্বাহী হস্তক্ষেপের সুযোগ বন্ধ করে আর্থিক স্বাধীনতাসহ বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে সাবেক এই বিচারপতি বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে জেলা বিচার বিভাগে কর্মরত বিচারকদেরও মননে ও মগজে স্বাধীনতা লালন ও চর্চার আহ্বান জানান।
এ ক্ষেত্রে তিনি সংবিধানের ১১৬(ক) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিচারকার্য পরিচালনায় সবাইকে স্বাধীন থাকতে হবে এবং রাজনৈতিক বা নির্বাহী কোনো প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করা চলবে না। একই সময় বদলির ভয় উপেক্ষা করে ন্যায়বিচারকে দৃশ্যমান করার আহ্বান জানান তিনি।
পরিপূর্ণ স্বাধীনতা এবং জবাবদিহিতাকে বিচার বিভাগের দু’টি মূল পিলার হিসেবে চিত্রায়িত করে প্রশংসা কুড়ানো সাবেক এই বিচারপতি বলেন, জবাবদিহিতা ব্যতীত বিচার বিভাগের ওপর জনমানুষের আস্থা হারায় এবং স্বাধীনতা ব্যতীত বিচার বিভাগ কোনক্রমেই জনমানুষের বিচার বিভাগ হয়ে উঠতে পারে না। এছাড়াও নিজ বক্তব্যে এর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরেন তিনি।
এদিন প্রধান আলোচকের আলোচনা শেষে উন্মুক্ত অলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিচারকরা বিচার বিভাগের ওপর জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিজেদের নিরপেক্ষতা, সততা ও সাহসিকতা সমুন্নত রেখে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের ঐতিহাসিক পৃথককরণের ১৮ বছর পূর্তি স্মরণ করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতের স্বার্থে আর্থিক স্বাধীনতাসহ সম্পূর্ণ নির্বাহী হস্তক্ষেপমুক্ত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপন, বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও যথাশিগগির তা বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।
জাজেস’ লিগ্যাল ডিসকাশন গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) সাঈদ শুভ’র সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম (জেলা ও দায়রা জজ) ও মহাসচিব মো. মাযহারুল ইসলাম (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ)।
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই ওয়েবিনারের আয়োজন করে দেশের জেলা বিচার বিভাগে কর্মরত বিচারকদের নিয়ে একাডেমিক আলোচনার উদ্দেশ্য গঠিত সংগঠন জাজেস’ লিগ্যাল ডিসকাশন গ্রুপ (জেএলডিজি)।
এদিন বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে ‘ট্রাস্ট ডেফিসিট ইন বাংলাদেশ জুডিসিয়ারি: অ্যা প্যাথোলজিক্যাল ডায়াগনসিস’ শীর্ষক ওই ওয়েবিনারটি প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী চলে। যেখানে জেলা বিচার বিভাগের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রায় ২ শতাধিক বিচারক অংশ নেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ অবস্থিত পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের (স্থায়ী সালিশ আদালত) সদস্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৯০ হাজার সেনা, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনী ও দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মাঠে নামছে। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে বলেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের আলোচনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, কল্যাণরাষ্ট্র গঠন করতে হলে প্রবীণদের অতীত অভিজ্ঞতা, জ্ঞানের আলো আর জীবনের বাস্তবতা নিয়ে নবীনদের সৃজনশীলতার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের প্রান্তিক খামারি ও মৎস্যচাষিদের বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কৃষকেরা যে রেটে ভর্তুকিপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ পান, খামারিরা তা পান না; বরং তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা কমার্শিয়াল রেটে বিল দিতে হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রশাসনে আমার লোক, তোমার লোক’ চিহ্নিত করার কাজটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভয়াবহ অবস্থায় গেছে। বাংলাদেশে যত খারাপ কাজ, শয়তানি কাজ, সেটা প্রথম ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ আমলে শুরু হয়েছে। সমস্ত খারাপ কাজ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই শুরু।
৪ ঘণ্টা আগে