গাজী শাহনেওয়াজ
আইনে রূপান্তরের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর দেড় মাসেও কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে অস্বস্তিতে আছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ এ কারণে আটকে আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ প্রস্তাবটি গত ২ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইসি। কিন্তু ভেটিং শেষে সরকারের অনুমোদনের জন্য তা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেনি মন্ত্রণালয়।
ইসি সূত্রে জানা যায়, অধ্যাদেশটি এখনো পাস না হওয়ায় নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে ইসিকে। এর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হচ্ছে—সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধিমালা প্রয়োগ করতে না পারা, ভোটার তালিকা আইনের সংশোধনী কার্যকরে আইনি বাধা দূর না হওয়া এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা (ম্যানুয়াল) প্রণয়নের কাজে স্থবিরতা। অবাধ, সুষ্ঠু ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের কাজের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাদেশ পাস না হওয়ায় ম্যানুয়াল তৈরি করা যাচ্ছে না। ফলে ইসি নির্বাচনি কর্মকর্তাদের আরপিওর আলোকে কোনো নির্দেশনা দিতে পারছে না।
এদিকে আইন সংস্কারের প্রস্তাবটিতে সংবিধান ও আইনের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিক অনুচ্ছেদ খুঁজে পায়নি আইন মন্ত্রণালয়। এর আগে মন্ত্রণালয় ইসির প্রস্তাবটি নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করে। এ সংক্রান্ত ভেটিং শাখার কর্মকর্তারা জানান, এটা ইসির জন্য ইতিবাচক। তারা জানান, যদি প্রস্তাবে কোনো ত্রুটি থাকত, তাহলে প্রস্তাবটি অবশ্যই ফেরত পাঠাত। এতদিন যেহেতু ইসিতে পাঠানো হয়নি, আপনি ধরে নিন প্রস্তাবটি হুবহু পাস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা হুবহু পাস হলে রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হলেও নির্বাচনে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। একইভাবে নির্বাচনি অনিয়মের কারণে পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে কমিশন। কোনো আসামিকে আদালত পলাতক ঘোষণা করলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এ বিষয়ে আইন সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কোথায় আটকে আছেÑজানতে চাইলে আমার দেশকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, জুলাই সনদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এখানেই এটি আটকে আছে। বলা যায়, জুলাই সনদ কার্যকর নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধ, এনসিপির সনদে সই না করা, ভোট সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নাকি গতানুগতি পদ্ধতিতে হবে এ নিয়ে রাজনৈতিক ভিন্নতা, গণভোট—এসব অমীমাংসিত বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্য না হওয়ায় মন্ত্রণালয়ও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কারণ এটা ইসি ও ওই সংস্থার আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ইসি আইনটি দ্রুত অনুমোদনের জন্য দেনদরবার করছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর ইস্যুতে রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছে মন্ত্রণালয়। কেননা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যুতে একটি দল এক মেরুতে থাকলেও অন্য দলটির অবস্থান বিপরীত মেরুতে। এই অবস্থানে থেকে আরপিও অনুমোদন দেওয়া হলে নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই আইন মন্ত্রণালয় ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করছে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আমার দেশকে বলেন, নির্বাচনি অপরাধের শাস্তি ও নির্বাচনে অনিয়ম, ভোটকেন্দ্র দখল এবং জালভোটসহ নানা অপরাধের দায়ে পুরো নির্বাচন বাতিল করা সংক্রান্ত অনেকগুলো অনুচ্ছেদ আরপিওতে যুক্ত করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এটি পাস না হওয়া ছাড়া কিছু বিষয়ে সমন্বয় করা যাচ্ছে না। এ অধ্যাদেশ পাস হতে বিলম্বের জন্য অনেক কাজ আমরা ঠিকভাবে অনুশীলন করতে পারছি না। এমনকি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে শাস্তি ও জরিমানার বিধানপ্রয়োগেও দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। আরপিও পাস হলে সব অস্পষ্টতা দূর হবে। সর্বোপরি ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ ও মতবিনিময় হচ্ছে। আইনে কী কী সংস্কার এনেছি এসব সভায় তা খোলাসা করতে পারছি না। তাই আরপিও পাস হওয়া জরুরি।
আইনে রূপান্তরের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর দেড় মাসেও কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে অস্বস্তিতে আছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ এ কারণে আটকে আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ প্রস্তাবটি গত ২ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইসি। কিন্তু ভেটিং শেষে সরকারের অনুমোদনের জন্য তা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেনি মন্ত্রণালয়।
ইসি সূত্রে জানা যায়, অধ্যাদেশটি এখনো পাস না হওয়ায় নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে ইসিকে। এর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হচ্ছে—সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধিমালা প্রয়োগ করতে না পারা, ভোটার তালিকা আইনের সংশোধনী কার্যকরে আইনি বাধা দূর না হওয়া এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা (ম্যানুয়াল) প্রণয়নের কাজে স্থবিরতা। অবাধ, সুষ্ঠু ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের কাজের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাদেশ পাস না হওয়ায় ম্যানুয়াল তৈরি করা যাচ্ছে না। ফলে ইসি নির্বাচনি কর্মকর্তাদের আরপিওর আলোকে কোনো নির্দেশনা দিতে পারছে না।
এদিকে আইন সংস্কারের প্রস্তাবটিতে সংবিধান ও আইনের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিক অনুচ্ছেদ খুঁজে পায়নি আইন মন্ত্রণালয়। এর আগে মন্ত্রণালয় ইসির প্রস্তাবটি নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করে। এ সংক্রান্ত ভেটিং শাখার কর্মকর্তারা জানান, এটা ইসির জন্য ইতিবাচক। তারা জানান, যদি প্রস্তাবে কোনো ত্রুটি থাকত, তাহলে প্রস্তাবটি অবশ্যই ফেরত পাঠাত। এতদিন যেহেতু ইসিতে পাঠানো হয়নি, আপনি ধরে নিন প্রস্তাবটি হুবহু পাস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা হুবহু পাস হলে রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হলেও নির্বাচনে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। একইভাবে নির্বাচনি অনিয়মের কারণে পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে কমিশন। কোনো আসামিকে আদালত পলাতক ঘোষণা করলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এ বিষয়ে আইন সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কোথায় আটকে আছেÑজানতে চাইলে আমার দেশকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, জুলাই সনদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এখানেই এটি আটকে আছে। বলা যায়, জুলাই সনদ কার্যকর নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধ, এনসিপির সনদে সই না করা, ভোট সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নাকি গতানুগতি পদ্ধতিতে হবে এ নিয়ে রাজনৈতিক ভিন্নতা, গণভোট—এসব অমীমাংসিত বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্য না হওয়ায় মন্ত্রণালয়ও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কারণ এটা ইসি ও ওই সংস্থার আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ইসি আইনটি দ্রুত অনুমোদনের জন্য দেনদরবার করছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর ইস্যুতে রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছে মন্ত্রণালয়। কেননা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যুতে একটি দল এক মেরুতে থাকলেও অন্য দলটির অবস্থান বিপরীত মেরুতে। এই অবস্থানে থেকে আরপিও অনুমোদন দেওয়া হলে নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই আইন মন্ত্রণালয় ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করছে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আমার দেশকে বলেন, নির্বাচনি অপরাধের শাস্তি ও নির্বাচনে অনিয়ম, ভোটকেন্দ্র দখল এবং জালভোটসহ নানা অপরাধের দায়ে পুরো নির্বাচন বাতিল করা সংক্রান্ত অনেকগুলো অনুচ্ছেদ আরপিওতে যুক্ত করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এটি পাস না হওয়া ছাড়া কিছু বিষয়ে সমন্বয় করা যাচ্ছে না। এ অধ্যাদেশ পাস হতে বিলম্বের জন্য অনেক কাজ আমরা ঠিকভাবে অনুশীলন করতে পারছি না। এমনকি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে শাস্তি ও জরিমানার বিধানপ্রয়োগেও দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। আরপিও পাস হলে সব অস্পষ্টতা দূর হবে। সর্বোপরি ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ ও মতবিনিময় হচ্ছে। আইনে কী কী সংস্কার এনেছি এসব সভায় তা খোলাসা করতে পারছি না। তাই আরপিও পাস হওয়া জরুরি।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ে কর্মশালা করেছে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাটাবন সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ কর্মশালা সভাপতিত্ব করেন মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন।
৩০ মিনিট আগেতৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজ করবে- আমরা এটাই মনে করি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের কাজ করবে। তবে সরকারের পক্ষে তাদের সবকিছু মেনে নেওয়া কখনোই সম্ভব হবে না।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষ আদেশের খসড়া আজ বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেবেন বিশেষজ্ঞরা।
২ ঘণ্টা আগেদেশে গত একযুগে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এক লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন নিহত এবং এক লাখ ৬৫ হাজার ২১ জন আহত হয়েছেন। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হতাহতের এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
৩ ঘণ্টা আগে