অর্থনৈতিক রিপোর্টার
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। এ আট বছরে দেশের কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে এক দশমিক ৯৮ শতাংশ, বনভূমি কমেছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গতকাল রোববার প্রকাশিত ‘পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. এনামুল হক। সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. সাদ্দাম হোসেন।
জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত আট বছরে কৃষি ও বনভূমি কমার বিপরীতে নগরায়িত এলাকার পাশাপাশি জলাশয়ের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তাছাড়া দেশের কৃত্রিম বনায়ন বাড়লেও একই সময়ে ঘন জঙ্গল কমে গেছে। ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. এনামুল হক বলেন, আমাদের ধানের জমি কমে যাচ্ছে। এসব জমি কমে যাচ্ছে কারণ আমরা ঘর-বাড়ি বানাচ্ছি। আমাদের হাওরের জমি কমে যাচ্ছে। আমাদের সম্পদ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, আমরাই শেষ করে ফেলছি। জমির জিঙ্ক কমে যাচ্ছে, এটিও বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
তিনি বলেন, জরিপের তথ্যে দেখা যাচ্ছে আমাদের জঙ্গল কমে যাচ্ছে। এতে আমাদের বন্যপ্রাণীর চলাচলের জায়গা সীমিত হচ্ছে। তাদের জন্য হুমকি বাড়ছে।
কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে ১.৯৮ শতাংশ
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ২০১৫ সালে দেশের মোট ভূমির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে কৃষি জমি ছিল ৭৪ হাজার ৩৮৬ বর্গ কিলোমিটার (৫০.৪১ শতাংশ)। কিন্তু ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৯১৫ বর্গকিলোমিটারে (৪৯.৪১ শতাংশ)। অর্থাৎ কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শহর ও শিল্পায়নের প্রসারের কারণে এ হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
বনভূমি কমেছে ৫.৪১ শতাংশ
একই সময়ে বনভূমির পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯৯ বর্গকিলোমিটার থেকে কমে ১৭ হাজার ৪৯৮ বর্গকিলোমিটারে নেমে এসেছে। যা মোট ভূমির ১২.৫৪ শতাংশ থেকে ১১.৮৬ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ আট বছরের ব্যবধানে বনভূমি কমেছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ সময়ে সবচেয়ে ‘অন্যান্য বনভূমি’ কমেছে ১৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে আশার কথা হচ্ছে, দেশে কৃত্রিম বনায়ন ২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
শহর ও নির্মিত স্থানের পরিমাণ বেড়েছে
নগরায়ণ এবং শিল্প-উন্নয়নের কারণে নির্মিত অঞ্চল তথা ‘আর্টিফিশিয়াল সারফেস’ বা ‘বিল্ট-আপ এরিয়া’ ৩৩ হাজার ১৪০ বর্গকিলোমিটার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৩ বর্গকিলোমিটার। এটি মোট ভূখণ্ডের ২৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, যা ২০১৫ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি।
জলাশয়ের পরিমাণে বড় পরিবর্তন
ভূ-অভ্যন্তরীণ জলাশয় তথা নদী, খাল, বিল ও হ্রদের আওতায় পড়া জমির পরিমাণ ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৯৬ কিলোমিটার, যা ২০১৫ সালে ছিল ১৮ হাজার ১২০ কিলোমিটার। অর্থাৎ আট বছরে মোট জলাশয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। পাশাপাশি উপকূলীয় জলাশয় ও মোহনার এলাকা ৬৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার হয়েছে।
জঙ্গলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে
২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গুল্মভূমি এবং অনাবাদি ভূমি যথাক্রমে ১৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছে।
বিবিএস বলছে, এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। কৃষি জমি ও বনভূমির ক্রমাগত কমে যাওয়ায় পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু অভিযোজন ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে কৃত্রিম বনায়ন ও নগর ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন পরিস্থিতির কিছুটা ভারসাম্য বজায় রাখছে।
তবে কিছু অনুৎপাদনশীল জমি এখন কাজে লাগছে। অব্যবহৃত জমির পরিমাণ কমেছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। জানতে চাইলে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হাসনাত আলম আমার দেশকে বলেন, দেশের কিছু অনুৎপাদনশীল জমি ব্যবহৃত হচ্ছে, এটি ইতিবাচক দিক। সেগুলো অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। এ আট বছরে দেশের কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে এক দশমিক ৯৮ শতাংশ, বনভূমি কমেছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গতকাল রোববার প্রকাশিত ‘পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. এনামুল হক। সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. সাদ্দাম হোসেন।
জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত আট বছরে কৃষি ও বনভূমি কমার বিপরীতে নগরায়িত এলাকার পাশাপাশি জলাশয়ের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তাছাড়া দেশের কৃত্রিম বনায়ন বাড়লেও একই সময়ে ঘন জঙ্গল কমে গেছে। ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. এনামুল হক বলেন, আমাদের ধানের জমি কমে যাচ্ছে। এসব জমি কমে যাচ্ছে কারণ আমরা ঘর-বাড়ি বানাচ্ছি। আমাদের হাওরের জমি কমে যাচ্ছে। আমাদের সম্পদ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, আমরাই শেষ করে ফেলছি। জমির জিঙ্ক কমে যাচ্ছে, এটিও বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
তিনি বলেন, জরিপের তথ্যে দেখা যাচ্ছে আমাদের জঙ্গল কমে যাচ্ছে। এতে আমাদের বন্যপ্রাণীর চলাচলের জায়গা সীমিত হচ্ছে। তাদের জন্য হুমকি বাড়ছে।
কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে ১.৯৮ শতাংশ
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ২০১৫ সালে দেশের মোট ভূমির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে কৃষি জমি ছিল ৭৪ হাজার ৩৮৬ বর্গ কিলোমিটার (৫০.৪১ শতাংশ)। কিন্তু ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৯১৫ বর্গকিলোমিটারে (৪৯.৪১ শতাংশ)। অর্থাৎ কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শহর ও শিল্পায়নের প্রসারের কারণে এ হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
বনভূমি কমেছে ৫.৪১ শতাংশ
একই সময়ে বনভূমির পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯৯ বর্গকিলোমিটার থেকে কমে ১৭ হাজার ৪৯৮ বর্গকিলোমিটারে নেমে এসেছে। যা মোট ভূমির ১২.৫৪ শতাংশ থেকে ১১.৮৬ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ আট বছরের ব্যবধানে বনভূমি কমেছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ সময়ে সবচেয়ে ‘অন্যান্য বনভূমি’ কমেছে ১৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে আশার কথা হচ্ছে, দেশে কৃত্রিম বনায়ন ২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
শহর ও নির্মিত স্থানের পরিমাণ বেড়েছে
নগরায়ণ এবং শিল্প-উন্নয়নের কারণে নির্মিত অঞ্চল তথা ‘আর্টিফিশিয়াল সারফেস’ বা ‘বিল্ট-আপ এরিয়া’ ৩৩ হাজার ১৪০ বর্গকিলোমিটার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৩ বর্গকিলোমিটার। এটি মোট ভূখণ্ডের ২৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, যা ২০১৫ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি।
জলাশয়ের পরিমাণে বড় পরিবর্তন
ভূ-অভ্যন্তরীণ জলাশয় তথা নদী, খাল, বিল ও হ্রদের আওতায় পড়া জমির পরিমাণ ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৯৬ কিলোমিটার, যা ২০১৫ সালে ছিল ১৮ হাজার ১২০ কিলোমিটার। অর্থাৎ আট বছরে মোট জলাশয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। পাশাপাশি উপকূলীয় জলাশয় ও মোহনার এলাকা ৬৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার হয়েছে।
জঙ্গলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে
২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গুল্মভূমি এবং অনাবাদি ভূমি যথাক্রমে ১৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছে।
বিবিএস বলছে, এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। কৃষি জমি ও বনভূমির ক্রমাগত কমে যাওয়ায় পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু অভিযোজন ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে কৃত্রিম বনায়ন ও নগর ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন পরিস্থিতির কিছুটা ভারসাম্য বজায় রাখছে।
তবে কিছু অনুৎপাদনশীল জমি এখন কাজে লাগছে। অব্যবহৃত জমির পরিমাণ কমেছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। জানতে চাইলে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হাসনাত আলম আমার দেশকে বলেন, দেশের কিছু অনুৎপাদনশীল জমি ব্যবহৃত হচ্ছে, এটি ইতিবাচক দিক। সেগুলো অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুধবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তিনটি কনভেনশন অনুসমর্থন
১ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে