ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ তৈয়্যব

একক ডিগ্রি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংকে বিবেচনা করার সুযোগ নেই

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ০৬

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ‘একটি দেশের প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি কোন একক প্রতিষ্ঠান কিংবা একক ডিগ্রি কিংবা একটি মাত্র ডোমেইন দিয়ে বিবেচনা করার সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

বুধবার নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। পোস্ট এর শেষে তিনি লেখাটি মতামত ব্যক্তিগত বলে অভিমত দেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মনোভাব নয় বলে উল্লেখ করেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, তিন দফা দাবির প্রশ্নে আমার ব্যক্তিগত অবস্থান মোটামুটি এরকম- ১. ৯ম গ্রেড বন্ধ বা পদ কমানো যাবে না। ৯ম গ্রেড বিভিন্ন অপকৌশলে পদ সংখ্যা কমানো আছে বলে অভিযোগ এসেছে। বিএসসি পাস ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য পদ সংখ্যার ভিত্তিতে গ্রেডটি উন্মুক্ত করে দিতে হবে। পাশাপাশি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার বিসিএসও দিবেন। এবং নিয়োগদাতা, প্রার্থীর পারফর্মেন্স সাপেক্ষে প্রমোশন দিবেন। কোটার ভিত্তিতে না। ২. ১০ম গ্রেড ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য থাকবে এবং নিয়োগদাতা প্রার্থীর পারফর্মেন্স সাপেক্ষে প্রমোশন দেবে। কোটার ভিত্তিতে না। ৩৩% কোটা থেকে থাকলে সেটা যৌক্তিক নয়, এটা বন্ধ করা দরকার। ৩. একই পেশার অন্যকে অপমান করার কথা।

আপনি কাউকে নিয়োগ দিলে, তাকে ভালো পারফরমেন্সের সাপেক্ষে প্রমোশনও দিবেন। তবে সেটা কোটার ভিত্তিতে হতে পারবে না, হবে ডিফাইন্ড পারফর্মেন্স কেপিআই এর ভিত্তিতে। বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন নামে দুটি 'নামমাত্র' প্রতিষ্ঠান আছে। এরা কেউই ইন্সটিটিউশন নয়। এরা আসলে ক্লাব। এখানে প্রকৃত প্রকৌশলীর কোন কাজ নেই- এখানে কাজ সিন্ডিকেট করা।

বিষয়টি অংশীজনের সাথে কথা বলে তাদেরই বিষয়টি সমাধান করার কথা ছিল। এখানে মূলত দলাদলি হয়, ভাগাভাগি হয়, রাজনীতি হয়, সবচেয়ে কম হয় ইন্সটিটিউশন সংক্রান্ত কাজ। আমি এসবে মেম্বার হয়নি, হওয়ার ইচ্ছাও আপাতত নাই। এর বাইরে আরেকটা কথা।

আমি মনে করি, প্রশাসনে ডেটা সায়েন্স, টেলিকম, আইসিটি, এআই, জেন-এআই মিলিয়ে দ্রুত একটি ক্যাডার সৃজন করা দরকার। এটা স্থগিত হয়ে পড়া টেলিকম ক্যাডারের নাম পরিবর্তন করে করা যেতে পারে। যেহেতু দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের কাজ আছে এবং লাগবে, তাই এটা এডহক নিয়োগ এবং কনসালটেন্ট নির্ভর হওয়া উচিত না। বিষয়টি নিয়ে কিছু কাজ করবো বলে মনস্থির করেছি।

সবশেষে, এই যে মারামারি, কেন জানেন? ৫% চাকরি, যা সরকার দেয়। বাকি ৯৫% এর কথা কেউ বলে না। উনাদের চাকরি, ভাতা, কাজের পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্য বীমা, পরিবহণ খরচ কিংবা পেনশন নিয়ে কোন আলাপ নাই, নেই কোনো আন্দোলনে। চলুন বাকি ৯৫% বিএসসি এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের কথাও ভাবি, তবেই দেশের টেকসই উন্নয়নের একটা ভিত্তি তৈরি হবে। দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত