ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় পলাতক আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী মো. কবিরের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। শুনানি চলাকালে কবির জানান, মোটরসাইকেলটি তার বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছেন। তবে কেনার সময় শুধু তার আইডি কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আসামি কবির। তিনি মোটরসাইকেলে দিয়ে হত্যাচেষ্টায় সহযোগিতা করেছেন।
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে। তবে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন।
এ সময় কবির আদালতকে বলেন, ‘আমি উবার গাড়ি চালাতাম। মাঝেমধ্যে ফয়সাল করিম মাসুদ আমাকে ফোন দিত। তার কাছে যেতাম। আমাকে গুলশানসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮-২০ দিন আগে ফোন করে হাদির অফিসে নিয়ে যেতে চায়। বলে, গেলে উপকার হবে। পরে হাদির অফিসে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, মোটরসাইকেলটি আমার বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছে। আমরা দুজনই একই দিনে গাড়ি কিনতে যাই। শুভ আমার আইডি কার্ড দিয়ে গাড়ি কেনে। মোটরসাইকেলের সবকিছু ওর নামে। শুধু আমার আইডি কার্ড ব্যবহার করেছে। অনেক দিন আগে গাড়িটা কিনেছি।
এর আগে সোমবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন এলাকা থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তার বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তার শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনার পর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

