শোকবার্তায় তথ্য উপদেষ্টা

পীর আহসানুজ্জামানের কর্মমুখর জীবন সবার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪: ০২
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪: ২০

ঢাকার অন্যতম প্রাচীন সুফি মারকাজ মশুরিখোলা‌ দরবারের পীর শাহ মুহাম্মদ আহসানুজ্জামানের ইন্তেকালে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

বুধবার এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা বলেন, পীর শাহ মুহাম্মদ আহসানুজ্জামান ঢাকাসহ সারাদেশে ১৫টি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ—বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধসের মতো ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দরবারের পক্ষ থেকে তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। তিনি হিজরি সন উদ্‌যাপনের জাতীয় সংগঠন ‘জাতীয় হিজরি নববর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদ’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন শাহ আহসানুল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের ৮ম মোত‌ওয়াল্লি। সমাজসেবার পাশাপাশি দরবার ও সিলসিলাকে এগিয়ে নিতে তার সংগ্রামী প্রচেষ্টা আমৃত্যু অব্যাহত ছিল।

শোকবার্তায় উপদেষ্টা আরও বলেন, পীর শাহ মুহাম্মদ আহসানুজ্জামানের কর্মমুখর জীবন সবার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। দরবার ও সিলসিলার প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করে বাংলাদেশের সুফি সমাজে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উপদেষ্টা দোয়া করে বলেন, তার উত্তরসূরিগণ যেন দরবার ও সিলসিলাকে তার দেখানো পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন এবং সমাজসেবায় সকলে যেন তার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারেন।

পীর মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আহসানুজ্জামান মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মশুরিখোলা দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ মুহাম্মদ আহাসনুল্লাহর নাতি শাহ মুহাম্মদ আহসানুজ্জামান ১৯৫২ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা-ই আলিয়া থেকে আনুষ্ঠানিক পড়াশোনা সমাপ্ত করে ১৯৭২ সালে দরবারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর দরবারকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার মাধ্যমে আরো জনসম্পৃক্ত করার জন্য তিনি বহুবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

বিষয়:

বন্যা
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত