নির্বাচন সার্ভিস কমিশন গঠনের উদ্যোগ
গাজী শাহনেওয়াজ
স্বাধীন নির্বাচন সার্ভিস কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবনা প্রস্তুত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আলোকে ইসির সাংগঠনিক কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আসবে। স্বাধীনভাবে জনবল নিয়োগ থেকে শুরু করে বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজন করা থেকে বিরত থাকাসহ সব ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা বাড়বে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদের নাম হবে ‘চেয়ারম্যান’।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং বর্তমান কমিশনের কমিশন সভার সিদ্ধান্তের আলোকে কাজ শুরু করেছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটি। স্বাধীন বিচার বিভাগের আদলে এই কমিশন হবে। ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাবনায় স্বাধীন নির্বাচন সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করে। নির্বাচন কমিশনের একটা নিজস্ব সচিবালয় থাকবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয় নামে অভিহিত হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে আলাদা একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিধিতে সচিব ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সরকারের অন্য বিভাগ থেকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রহিত থাকবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা পাওয়া না গেলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার যিনি এর চেয়ারম্যান হবেন।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পর কমিশন গত ১২ জানুয়ারি তাদের দ্বিতীয় কমিশন সভায় জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের আদলে ইলেকশন সার্ভিস কমিশন গঠনের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। এর আলোকে গত ১৬ এপ্রিল ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সভাপতিত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়। কমিটিকে দুটি কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়, যার একটি বাংলাদেশ ইলেকশন সার্ভিস কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই ও সুপারিশ প্রণয়ন এবং গঠনের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সিনিয়র সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে ইলেকশন সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই বিধিমালা বাংলাদেশ ইলেকশন সার্ভিস কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত করে এক প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়।
সভার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আমার দেশকে বলেন, ইসি একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন সংক্রান্ত স্পর্শকাতর কাজ এ প্রতিষ্ঠানের করতে হয়। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজটি পিএসসির সুপারিশের আলোকে হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। নির্বাচন সার্ভিস কমিশন গঠিত হলে বিতর্কিত কেউ এখানে নিয়োগ পাবে না। নির্বাচনসহ সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরবে। একই সঙ্গে যারাই কমিশনের অধীনে চাকরি করবেন তাদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন করার সাহস দেখাবে না।
সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিগত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন অংশীজন সংলাপ করে পরামর্শ দিয়েছিল, ইসি যাতে স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করতে পারে সেজন্য কমিশন তার নিজস্ব ক্যাডার বা সার্ভিস কমিশন গঠন করতে পারে। যার উপরে ইসির পুর্ণ নিয়ন্ত্রন থাকবে। এ বিষয়ে বার বার দাবি উত্থাপিত হলেও বাস্তবায়নে বিগত কোন কমিশন উদ্যোগি হননি। গত ৫ আগস্টের পর গঠিত সংস্কার কমিশন সুপারিশ করে বলেছে, ইসিকে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ইসি সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস কমিশন গঠনের জন্য। মিটিংয়ে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন, অন্যান্য সার্ভিস কমিশন এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সার্ভিস কমিশনে কি আছে সেগুলো পর্যালোচনার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কাজটি কিভাবে করলে ভালো হয় সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। দ্রুত কাজ শেষ করে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
স্বাধীন নির্বাচন সার্ভিস কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবনা প্রস্তুত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আলোকে ইসির সাংগঠনিক কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আসবে। স্বাধীনভাবে জনবল নিয়োগ থেকে শুরু করে বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজন করা থেকে বিরত থাকাসহ সব ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা বাড়বে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদের নাম হবে ‘চেয়ারম্যান’।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং বর্তমান কমিশনের কমিশন সভার সিদ্ধান্তের আলোকে কাজ শুরু করেছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটি। স্বাধীন বিচার বিভাগের আদলে এই কমিশন হবে। ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাবনায় স্বাধীন নির্বাচন সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করে। নির্বাচন কমিশনের একটা নিজস্ব সচিবালয় থাকবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয় নামে অভিহিত হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে আলাদা একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিধিতে সচিব ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সরকারের অন্য বিভাগ থেকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রহিত থাকবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা পাওয়া না গেলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার যিনি এর চেয়ারম্যান হবেন।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পর কমিশন গত ১২ জানুয়ারি তাদের দ্বিতীয় কমিশন সভায় জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের আদলে ইলেকশন সার্ভিস কমিশন গঠনের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। এর আলোকে গত ১৬ এপ্রিল ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সভাপতিত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়। কমিটিকে দুটি কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়, যার একটি বাংলাদেশ ইলেকশন সার্ভিস কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই ও সুপারিশ প্রণয়ন এবং গঠনের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সিনিয়র সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে ইলেকশন সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই বিধিমালা বাংলাদেশ ইলেকশন সার্ভিস কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত করে এক প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়।
সভার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আমার দেশকে বলেন, ইসি একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন সংক্রান্ত স্পর্শকাতর কাজ এ প্রতিষ্ঠানের করতে হয়। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজটি পিএসসির সুপারিশের আলোকে হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। নির্বাচন সার্ভিস কমিশন গঠিত হলে বিতর্কিত কেউ এখানে নিয়োগ পাবে না। নির্বাচনসহ সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরবে। একই সঙ্গে যারাই কমিশনের অধীনে চাকরি করবেন তাদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন করার সাহস দেখাবে না।
সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিগত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন অংশীজন সংলাপ করে পরামর্শ দিয়েছিল, ইসি যাতে স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করতে পারে সেজন্য কমিশন তার নিজস্ব ক্যাডার বা সার্ভিস কমিশন গঠন করতে পারে। যার উপরে ইসির পুর্ণ নিয়ন্ত্রন থাকবে। এ বিষয়ে বার বার দাবি উত্থাপিত হলেও বাস্তবায়নে বিগত কোন কমিশন উদ্যোগি হননি। গত ৫ আগস্টের পর গঠিত সংস্কার কমিশন সুপারিশ করে বলেছে, ইসিকে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ইসি সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস কমিশন গঠনের জন্য। মিটিংয়ে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন, অন্যান্য সার্ভিস কমিশন এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সার্ভিস কমিশনে কি আছে সেগুলো পর্যালোচনার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কাজটি কিভাবে করলে ভালো হয় সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। দ্রুত কাজ শেষ করে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে উল্লেখ করে এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরাম। শুক্রবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) সাংগঠনিক কার্যক্রম সুসংগঠিত করতে শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটি, ফাইন্যান্স বিষয়ক কমিটি, শিক্ষা ও প্রকাশনা বিষয়ক কমিটিসহ ১৮টি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল শনিবারও খোলা থাকবে সব সরকারি অফিস। গত ৬ মে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাহী আদেশে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ঈদের আগে দুই শনিবার অফিস চালু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেহেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক মান-অভিমান ভুলে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানকে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে