আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

২০ বছর পর ২৭তম বিসিএস থেকে ৬৭৩ জনকে নিয়োগ

আমার দেশ অনলাইন

২০ বছর পর ২৭তম বিসিএস থেকে ৬৭৩ জনকে নিয়োগ

অবশেষে ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে ৬৭৩ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৭তম বিসিএস পরীক্ষা-২০০৫ এর মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ৫ নভেম্বরের চিঠির সুপারিশক্রমে ৬৭৩ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ অনুসারে (২২,০০০-৫৩,০৬০/- টাকা বেতনক্রমে) নিয়োগ দেওয়া হলো।

বিজ্ঞাপন

নিয়োগের শর্তে বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তদের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অথবা সরকার নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। এ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে তাকে তার চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যেভাবে স্থির করবে সেভাবে পেশাগত ও বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। ২ বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিশকাল অনূর্ধ্ব দুবছর বৃদ্ধি করতে পারবে।

শর্তে বলা হয়, শিক্ষানবিশকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ ব্যতিরেকে তাকে চাকরি হতে অপসারণ করা যাবে। উল্লিখিত প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে। প্রশিক্ষণের জন্য কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি দেওয়া কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করে তাকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে।

এতে বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, যদি তিনি শিক্ষানবিশকালে অথবা শিক্ষানবিশকাল উত্তীর্ণ হওয়ার ৩ বছরের মধ্যে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষ্যে উত্তোলিত অগ্রিম/ভ্রমণভাতা/অন্যান্য ভাতাদি এবং তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয়িত সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন।

শর্তে আরও বলা হয়, চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পূর্বে যদি তিনি তার কর্তব্যকাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তার কাছে সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ বিধান অনুসারে আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্তদের জ্যেষ্ঠতা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে তাদের ব্যাচের নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রথম যে তারিখে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল সেই তারিখ হতে ভূতাপেক্ষিকভাবে নিয়োগ আদেশ কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়, তাদের ব্যাচের প্রথম নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের যোগদানের তারিখ থেকে তাদের ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা বজায় থাকবে। তবে এর ফলে তারা কোনো বকেয়া আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন না।

বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন