র‍্যাব বিলুপ্তসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১০ দাবি অধিকারের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ০৪
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ২০: ১৪

গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে র‌্যাব বিলুপ্তিসহ ১০টি সুপারিশ তুলে ধরেছে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা ‌‘অধিকার’। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসব সুপারিশ পেশ করেন সংস্থাটির সিনিয়র রিসার্চার তাকসিম তাহমিনা।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে রয়েছে-সব গুমের ঘটনায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করতে হবে, গুম অবস্থা থেকে ফেরত না আসা ব্যক্তিদের অনুসন্ধানের জন্য নীতিমালা প্রণয়ণ করে একটি জাতীয় কৌশল গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী বিষয়, গুম থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা বা সাজানো মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, গুম অবস্থা থেকে ফেরত না আসা ব্যক্তিদের পরিবার যেন ভুক্তভোগীর ব্যাংক হিসাব, সম্পদ ও সম্পত্তি পরিচালনা করতে পারে সে জন্য Certificate of Absence প্রদান করা এবং ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণের বিধান রাখতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ণ করতে হবে, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ বাতিল বা সংশোধন করতে হবে, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় জড়িত র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) কে বিলুপ্ত করতে হবে, গুমের প্রমাণ ধ্বংসের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তি বন্ধে ন্যায্য, স্বচ্ছ ও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং আইসিপিপিইডি (ICPPED) বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মান অনুযায়ী ফরেনসিক, আইনগত ও তদন্তে সক্ষমতা উন্নত করতে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি ব্যবস্থা উন্নত করা।

বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে গুমকে ব্যবহার করা হয়েছিল। ডিজিএফআই-এর জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টার ও র‍্যাবের অবৈধ বন্দিশালায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের আটক রেখে নির্যাতন চালানো হতো। অনেক ভুক্তভোগী আজও নিখোঁজ রয়েছেন, কেউ কেউ ফিরে এলেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ভোগান্তিতে আছেন।

অধিকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় নতুন করে গুমের ঘটনা না ঘটলেও বিচার প্রক্রিয়া ধীর গতিতে চলছে। তাই ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিকার-এর প্রেসিডেন্ট ড. তাসনিম সিদ্দিকী।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গুম কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিস এবং দৈনিক আমার দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে বিবৃতিটি পাঠ করেন অধিকার-এর সিনিয়র রিসার্চার তাসকিন ফাহমিনা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত