বিশেষ প্রতিনিধি
গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে করা ফোনালাপে জাতীয় পার্টির পাশাপাশি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প নিয়েও আলোচনা হয়।
ফোনালাপে দীর্ঘদিনের মিত্র জাতীয় পার্টি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি জিন্দা লাশ।’ জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক শক্তি ও সক্ষমতা নিয়ে উপহাস করেই এমন মন্তব্য করেন হাসিনা।
সোমবার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনা ও নানকের ৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের এই টেলিফোন কথোপকথন তুলে ধরেন। এটি জুলাই আন্দোলনের সময়ের বলে সায়ের উল্লেখ করেছেন।
নানক হাসিনাকে ফোন করে জানতে চান, ‘আপা কারফিউ শিথিল হলে আমাদের মিছিলের কোনো নির্দেশ কী আপনি দিয়েছেন? জবাবে শেষ হাসিনা বলেন, ‘ওরা (ছাত্ররা) যদি নামে তাহলে আমাদেরও একটি প্রস্তুতি থাকা দরকার আছে। তবে, মিছিল করার কথা কে বলেছে? আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। মিছিল করতে কে বলেছে, এটি জেনে আমাকে জানাও তো।’
শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের পর নানক বলেন, ‘আমাকে তো মোহাম্মদপুর থেকে নেতাকর্মীরা বললো-মহানগর থেকে মিছিল করতে বলেছে।’ মহানগর থেকে কে বলেছে, জানতে চাইলে নানক শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘মহানগর থেকে ভোলার কাদের (আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সহভাপতি) বলেছে।
নানকের এমন জবাবের পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরে ওর কোনো কথা বলো না। ও তো সবসময় মিথ্যা কথা বলে। ওর কথা বিশ্বাস কইরো না।’
আন্দোলনকারীদের তালিকা তৈরির বিষয়ে নানক বলেন, ‘আপনি যে তালিকা তৈরি করতে বলেছিলেন। আমি সেটা করেছি। আজকেই আপনাকে আমি ওইটা হেন্ডওভার করবো। পিএমও (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থেকে ফেরার পর আমি আপনাকে দেবো।’
নানক টেলিফোনে আরও বলেন, ‘আপা আরেকটি কথা বলি। আমু ভাই তার বাসায় ১৪ দলের বৈঠক ডাকছে। আমি কি যাবো? আমাকে যেতে বলেছে।’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, যাও। এটি আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। আমি সেদিন সবাইকে ইনভলব করে দিয়েছি।’ হাসিনার কথার মাঝখানে নানক বলেন, ‘আপা এটি একটি ঐতিহাসিক কাজ হয়েছে।’
এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা নানককে বলেন, ‘তুমি আমাকে একটি সত্যি কথা বলো তো। তোমার বিহারিরা কি ঠিকমতো মতো কাজ করছে? একদম সত্যি বলবা। মিথ্যা বলবা না।’ জবাবে নানক বলেন, ‘ওদের ভূমিকা ভালো আপা। শুধু ওইখানে জাতীয় পার্টির সেন্টু একটি কালপ্রিট। ওর সঙ্গে আরও কিছু কালপ্রিট আছে। ও তো ওই এলাকার কাউন্সিলর। ও হলো সব অপকর্মের মূল।’
কথোপকথনের এ পর্যায়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাহলে আজই ওকে পিকআপ করতে হবে। ওদের সবগুলোরে ধরে ফেলতে হবে।’ শেখ হাসিনার এ কথার জবাবে নানক বলেন, ‘আপা সেন্টুকে ধরলে তো আবার জাতীয় পার্টি ক্ষেপবে।’ নানকের এমন মন্তব্যের পর তাকে ধমক দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটা জিন্দা লাশ। ওরা আবার কী ক্ষেপবে। বাহ! ওরা জিন্দা লাশ।’
কড়াইল বস্তি ও বিহারী ক্যাম্পে চিরুনি অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুষ্টুগুলো সব অঘটন ঘটিয়ে বস্তিতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। আমি এবার তাদের কাউকে ছাড়বো না। সবগুলোরে ধরে ফেলবো।’
নানক বলেন, ‘জি আপা। একদম চিরুনি অভিযান চালাতে হবে।’
গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে করা ফোনালাপে জাতীয় পার্টির পাশাপাশি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প নিয়েও আলোচনা হয়।
ফোনালাপে দীর্ঘদিনের মিত্র জাতীয় পার্টি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি জিন্দা লাশ।’ জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক শক্তি ও সক্ষমতা নিয়ে উপহাস করেই এমন মন্তব্য করেন হাসিনা।
সোমবার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনা ও নানকের ৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের এই টেলিফোন কথোপকথন তুলে ধরেন। এটি জুলাই আন্দোলনের সময়ের বলে সায়ের উল্লেখ করেছেন।
নানক হাসিনাকে ফোন করে জানতে চান, ‘আপা কারফিউ শিথিল হলে আমাদের মিছিলের কোনো নির্দেশ কী আপনি দিয়েছেন? জবাবে শেষ হাসিনা বলেন, ‘ওরা (ছাত্ররা) যদি নামে তাহলে আমাদেরও একটি প্রস্তুতি থাকা দরকার আছে। তবে, মিছিল করার কথা কে বলেছে? আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। মিছিল করতে কে বলেছে, এটি জেনে আমাকে জানাও তো।’
শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের পর নানক বলেন, ‘আমাকে তো মোহাম্মদপুর থেকে নেতাকর্মীরা বললো-মহানগর থেকে মিছিল করতে বলেছে।’ মহানগর থেকে কে বলেছে, জানতে চাইলে নানক শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘মহানগর থেকে ভোলার কাদের (আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সহভাপতি) বলেছে।
নানকের এমন জবাবের পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরে ওর কোনো কথা বলো না। ও তো সবসময় মিথ্যা কথা বলে। ওর কথা বিশ্বাস কইরো না।’
আন্দোলনকারীদের তালিকা তৈরির বিষয়ে নানক বলেন, ‘আপনি যে তালিকা তৈরি করতে বলেছিলেন। আমি সেটা করেছি। আজকেই আপনাকে আমি ওইটা হেন্ডওভার করবো। পিএমও (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থেকে ফেরার পর আমি আপনাকে দেবো।’
নানক টেলিফোনে আরও বলেন, ‘আপা আরেকটি কথা বলি। আমু ভাই তার বাসায় ১৪ দলের বৈঠক ডাকছে। আমি কি যাবো? আমাকে যেতে বলেছে।’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, যাও। এটি আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। আমি সেদিন সবাইকে ইনভলব করে দিয়েছি।’ হাসিনার কথার মাঝখানে নানক বলেন, ‘আপা এটি একটি ঐতিহাসিক কাজ হয়েছে।’
এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা নানককে বলেন, ‘তুমি আমাকে একটি সত্যি কথা বলো তো। তোমার বিহারিরা কি ঠিকমতো মতো কাজ করছে? একদম সত্যি বলবা। মিথ্যা বলবা না।’ জবাবে নানক বলেন, ‘ওদের ভূমিকা ভালো আপা। শুধু ওইখানে জাতীয় পার্টির সেন্টু একটি কালপ্রিট। ওর সঙ্গে আরও কিছু কালপ্রিট আছে। ও তো ওই এলাকার কাউন্সিলর। ও হলো সব অপকর্মের মূল।’
কথোপকথনের এ পর্যায়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাহলে আজই ওকে পিকআপ করতে হবে। ওদের সবগুলোরে ধরে ফেলতে হবে।’ শেখ হাসিনার এ কথার জবাবে নানক বলেন, ‘আপা সেন্টুকে ধরলে তো আবার জাতীয় পার্টি ক্ষেপবে।’ নানকের এমন মন্তব্যের পর তাকে ধমক দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটা জিন্দা লাশ। ওরা আবার কী ক্ষেপবে। বাহ! ওরা জিন্দা লাশ।’
কড়াইল বস্তি ও বিহারী ক্যাম্পে চিরুনি অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুষ্টুগুলো সব অঘটন ঘটিয়ে বস্তিতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। আমি এবার তাদের কাউকে ছাড়বো না। সবগুলোরে ধরে ফেলবো।’
নানক বলেন, ‘জি আপা। একদম চিরুনি অভিযান চালাতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে সনদে স্বাক্ষরের যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ঐক্য ও পরিবর্তনের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের প্রতীক। এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে আস্থা তৈরিতেও সহায়ক হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেঅংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনি যুদ্ধকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, নির্বাচনী যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
৪০ মিনিট আগেপ্রবাসীদের ভোট অ্যাপ প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘কোনো কোনো দেশে একবার নিবন্ধন করলেই বছরের পর বছর ভোট দেওয়া যায়। কোনো কোনো দেশে একটা সময়কালের জন্য বা কোনো কোনো দেশে একটা ভোটকে টার্গেট করে এটা করা হয়। তবে আমরা শুধু একটা ভোটকে টার্গেট করেই এটা করেছি।
১ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে স্বীকৃত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করবো। আপনি যখন প্রশিক্ষণ নেবেন আমরা প্রশিক্ষণের একটা ভাতাও আপনাদের দেবো।’
১ ঘণ্টা আগে