রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। বাংলাদেশসহ ভারতেও অনুভূত হয়। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আজ (শুক্রবার, ২১ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী নামক স্থানে। আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি ভূমি থেকে অন্তত ১৩ কিলোমিটার গভীরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের আকস্মিক কম্পন। ভূ-অভ্যন্তরে একটি শিলা অন্য শিলার ওপর সরে গেলে বা অবস্থান পরিবর্তন করলে ভূমি কেঁপে ওঠে। আবার অনেক সময় ভূ-অভ্যন্তরের গ্যাস ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলে সেখানে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। পৃথিবীর উপরের স্তরের চাপ দ্রুত সেই জায়গায় নেমে আসায় তীব্র কম্পন তৈরি হয়—যাকে আমরা ভূমিকম্প বলি।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঘটে—
ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তন
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
শিলাচ্যুতিজনিত চাপ সঞ্চয় ও মুক্তি
ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হলেও এই অল্প সময়েই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা মাপা হয়। স্কেলে এককের সীমা ১ থেকে ১০। মাত্রা ৫-এর ওপরে হলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
৫–৫.৯৯: মাঝারি
৬–৬.৯৯: তীব্র
৭–৭.৯৯: ভয়াবহ
৮-এর বেশি: অত্যন্ত ভয়াবহ
রাজধানীর ভূমিকম্পের মাত্রা কত ছিল এবং এর উৎস কোথায়—তা জানতে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যের অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সবাইকে সতর্ক থাকার এবং পরবর্তী নির্দেশনায় নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

