গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য

রুবী আমাতুল্লা
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ১২
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ১৪

গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলাই গণতান্ত্রিক শাসন বজায় রাখার চাবিকাঠি। তবে রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং অন্য অংশীদারদের মধ্যে একটি ব্যাপক ঐকমত্য ছাড়া গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সম্ভব নয়।

বিশেষ করে জাতির গঠনমূলক সময়ে- যেমন একটি বিপ্লবী যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, বা দেশব্যাপী বিদ্রোহের পরে-একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মতৈক্য গঠনের প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য বিভেদ ও ভিন্ন চিন্তার অবসান ঘটানো নয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য মৌলিক বিষয়ে ও নীতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য (Consensus) গণতন্ত্র এবং সুশাসন বজায় রাখতে অপরিহার্য।

বিজ্ঞাপন

দুর্ভাগ্যবশত, এই বিরল ঐতিহাসিক মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর এবং অন্য অংশীদারদের মধ্যে কোনো ঐকমত্য নেই।

অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে যে শিক্ষা পাওয়া যায় তা হলো, যদি কোনো প্রধান রাজনৈতিক দল যথাযথ বিরোধী দল এবং সমালোচকদের অংশগ্রহণ ছাড়া ও সুশাসনের সিস্টেম ছাড়া শাসন করতে চায়, তবে সেই দল নিজেকে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে কখনো নিজেকে রক্ষা করতে পারে না।

ক্ষমতার ভারসাম্য ছাড়া নেতাদের ও দলকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে; অপরিমিত ক্ষমতা দুর্নীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই দলটি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে ও ভীষণ অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে ওঠে। বিপ্লব ও ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়ে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ইতিহাসে বহুবার। ইরানের শাহর পতন (১৯৫৩), নিকোলা চাউসেস্কু (১৯৮৯), অগাস্টো পিনোচেট (১৯৯০), মিসরের হোসনি মোবারকের দল (২০১১), আর অসংখ্য নজিরানা রয়েছে এই প্যাটার্নের।

আমরা বাংলাদেশিরা এই পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই সচেতন, কারণ আমরা ভুক্তভোগী। আশা করা যায়, এবার আমরা এই শিক্ষা গ্রহণ করব এবং আমাদের নেতারা অন্যদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা এড়ানোর চেষ্টা করবেন।

২০১১ সালে ঐকমত্য গঠনের মাধ্যমে তিউনিসিয়া বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছিল

২০১১ সালে জেসমিন বিপ্লবের পর ২৩ বছরের স্বৈরশাসক বেন আলির শাসন উৎখাত হয়। এতে একটি ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয় এবং দেশ অরাজকতা, সংঘাত এবং সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যায়। ইসলামপন্থি এবং ধর্মনিরপেক্ষ (secular) গোষ্ঠীগুলো, যেগুলো শক্তিশালী শ্রম এবং বাণিজ্য ইউনিয়নের দ্বারা সমর্থিত ছিল, মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

তিউনিসিয়ার বৃহত্তম এবং প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল ইসলামপন্থি দল এন্নাহদা নির্বাচনে প্রচলিত পদ্ধতিতে, ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট’ অনুসরণ করলে, সংসদের ৮০ শতাংশের বেশি আসন পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো হুমকি দেয় যে তারা নির্বাচন বর্জন করবে এবং এন্নাহদা যদি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation or PR)-ভিত্তিক নির্বাচনী পদ্ধতি মেনে না নেয়, তবে দেশকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে। এই পদ্ধতিতে এন্নাহদার সংসদীয় ক্ষমতা অনেক কমে যাবে এবং ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর রাজনীতি ও শাসনে ভূমিকা বাড়বে।

দেশকে এই সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে একটি ঐকমত্য গঠনের ব্যবস্থা, যা জাতীয় ডায়ালগ কোয়ার্টেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল। এটি একটি সিভিল সোসাইটি জোট ছিল, যারা বেন আছুর কমিশন নামে একটি প্ল্যাটফর্ম সংগঠিত করেছিল। এই কমিশনে দেশের সব অংশীদারেরÑসব রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের সদস্য, শ্রম ও বাণিজ্য ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা একত্র হন।

এই বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠীগুলো প্রায় চার মাস ধরে তীব্র বিতর্ক এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করে। এরপর কমিশন একটি প্রস্তাব জারি করে, যা সংবিধানের মূল কাঠামো বা প্রজাতন্ত্রের ভিত্তির ওপর সাত থেকে আটটি মৌলিক পয়েন্টকে নিয়ে গঠিত ছিল। অবশেষে, কমিশনের ১৫৫ সদস্যের মধ্যে ১৫১ জন এই ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মৌলিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এই ব্যাপক ঐকমত্য জনগণের আস্থা অর্জন করে। এটি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশ গড়ার কাজে। জাতিকে একটি সংঘাতমুক্ত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে একসঙ্গে কাজ করার আশা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করে।

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, বেন আছুর কমিশনের ঐকমত্য গঠনে অসাধারণ সফলতা আধুনিক ইতিহাসে স্বল্পসময়ের মধ্যে একটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অন্যতম কার্যকর রূপান্তর করতে সাহায্য করেছে। (আমার ২০১৬ সালে The Daily Star-এ প্রকাশিত প্রবন্ধটি দেখুন : Islamists and secularists adjust to work together http://www.thedailystar.net/op-ed/politics/islamists-and-secularists-adjust-work-together-1244620)

মিসর ঐকমত্য গঠনে ব্যর্থ হয় এবং গণতন্ত্রের অবসান ঘটায়

মিসরের আরব বসন্ত বিপ্লব ২০১১ সালে তিউনিসিয়া বেন আলির শাসন উৎখাত করার প্রায় একই সময়ে মুবারক সরকারের পতন ঘটায়। তবে তিউনিসিয়া কার্যকর গণতন্ত্রে রূপান্তরিত হতে সক্ষম হলেও মিসর তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। ঐকমত্য গঠনে গুরুত্ব না দেওয়া এই ব্যর্থতার প্রধান কারণ।

(বিস্তারিত জানার জন্য আমার প্রবন্ধ পড়ুন : Tunisia's Successes and Egypt's Regressions http://www.thedailystar.net/tunisias-successes-and-egypts-regressions-27936)

ঐকমত্য গঠন : বহুদলীয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সংগতিপূর্ণ রাজনীতি গঠনে সহায়ক

সমন্বিত রাজনীতি শাসনব্যবস্থাকে উদ্দীপিত ও উজ্জীবিত করে এবং বৈশ্বিক ঔপনিবেশিক শোষণমূলক শক্তিগুলোর হাত থেকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপাল দেখিয়েছে কীভাবে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী বৈশ্বিক শক্তিÑভারত ও চীনের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ড অন্তর্ভুক্ত দেশ জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে এবং ২০০৬ সালের পর রাজনীতিতে উদ্দীপনা আনতে সক্ষম হয়েছে।

নেপালের সংগতিপূর্ণ রাজনীতি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী শক্তির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে সক্ষম হয়েছে

নেপাল দেখিয়েছে কীভাবে দুটি শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতিবেশী হয়েও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া যায়। এর গোপন রহস্য কী?

দীর্ঘদিন ধরে উভয় বৈশ্বিক শক্তি এ দেশে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৬ সালের আগে নেপাল একটি বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। তখন রাজতন্ত্রের বাহিনী এবং সবচেয়ে বৃহৎ ও সামরিকভাবে শক্তিশালী মাওবাদী দলের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছিল। মাও দল রাজতন্ত্রকে পরাস্ত করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা স্থাপন করতে চেয়েছিল এবং এই গৃহযুদ্ধ এক দশক ধরে (১৯৯৬-২০০৬) চলেছিল। শেষে মাও নেতাদের মধ্যে প্রজ্ঞার উদয় হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালে সবকিছু বদলে যায় সেদিন থেকে, যেদিন মাও দলের নেতারা নেপালে বহুদলীয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমন্বিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়।

মাও এবং অন্যান্য দল ঐকমত্য ঘোষণা করার পরপরই রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং ২০০৬ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হয়। এরপর একটি গতিশীল এবং প্রতিশ্রুতিশীল যাত্রা শুরু হয়, যেখানে ছোট দলগুলোও তাদের উৎসাহ ও প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে। রাজনীতিতে সমতল ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় তারা বিপুল সম্ভাবনা দেখেছে।

ঐকমত্য একটি দৃঢ় রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করতে সহায়তা করে, যা প্রতিযোগিতা ও সহযোগিতা উভয়কে উৎসাহিত করে এবং সংগতিপূর্ণ এবং সমন্বিত রাজনীতির ভিত্তি গড়ে তোলে।

২০১৭ সালের নির্বাচনের ধাক্কা

২০১৭ সালের নির্বাচনে দুটি প্রধান বাম দল, যার মধ্যে একটি ছিল মাও দল, একত্র হয়ে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সাধারণত গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক, কারণ এটি শাসক দলকে অপরিমিত ক্ষমতা প্রদান করে। দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং অন্য দলগুলোকে কোণঠাসা করে ফেলে।

এখন নেপাল আবার সঠিক পথে ফিরতে চেষ্টা করছে এবং নিজেকে নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। তবে, নেপালি রাজনীতিবিদদের মধ্যে চলমান ক্ষমতার লড়াই সমন্বিত রাষ্ট্রব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে, ২০১৭ সালের পর থেকে। বাংলাদেশের জন্য নেপাল একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।

মালয়েশিয়ার মাহাথির কেন কর্তৃত্ববাদী থেকে গণতন্ত্রে ফিরে এলেন?

মাহাথির ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ কিন্তু স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন শাসক। তিনি তার দেশকে দ্রুত উন্নয়নের জন্য স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন এবং একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা তৈরি করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি উপলব্ধি করেন যে, নিজেই এমন একটি দৈত্য তৈরি করে রেখে গেছেন, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। তার তৈরি করা কর্তৃত্ববাদী সংস্কৃতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার দলকে অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী করে ফেলে।

নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাহাথির তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দল ত্যাগ করেন। তিনি তার শত্রু আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে নতুন একটি দল গঠন করেন। আনোয়ার ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ, যাকে মাহাথির ভুল বুঝেছিলেন। একসঙ্গে, তারা দুর্নীতিগ্রস্ত শাসক দল, যা মাহাথিরের প্রাক্তন দল ছিল, সেটিকে পরাজিত করেন এবং মালয়েশিয়ার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন। এটি এমন একটি উদাহরণ, যা আমাদের নেতাদের জন্য পথপ্রদর্শক হওয়া উচিত।

দুই বিপ্লবের কাহিনি

ভালো শাসনের জন্য সমঝোতার ভিত্তিতে সমন্বিত রাজনীতি গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে, যা মানবিক মূল্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং ‘সাধারণ বিবেক’র অনুসরণ করে। ১৭৭৬ সালে আমেরিকান বিপ্লবের সূচনা হয়, যখন ১৩টি বৈচিত্র্যময় রাজ্য একত্র হয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকে উৎখাত করতে কাজ করে। এরপর ৪৯ জন নেতা, যাদের ‘প্রতিষ্ঠাতা পিতা’ (founding fathers) হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়, তারা ১১ বছর ধরে বিতর্ক ও আলোচনার পর একমত হয়ে সংবিধান তৈরি এবং যুগান্তকারী ঐতিহ্য শুরু করেন। এই সমঝোতা জাতির প্রথম দিনগুলোয় জাতিকে একত্র করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক যুগের এই সর্বপ্রথম গণতন্ত্র আড়াই শতাব্দীর বেশি সময় পর আজও চলছে।

তবে ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব আমেরিকান বিপ্লবের সাফল্যে প্রভাবিত হয়েছিল। তবু ফরাসি বিপ্লব সফলকাম হয়নি। কারণ ঐকমত্যের অভাব ও প্রতিহিংসার প্রভাব।

নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ও নির্যাতনের শাসনে পরিণত হয়েছিল। অবশেষে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৭৯৯ সালে দেশকে আবার একটি রাজতন্ত্রে পরিণত করেছিলেন।

কেন ২৭ খ্রিষ্টপূর্বে রোমান প্রজাতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল?

যদি আমরা প্রাচীন সময়েও চলে যাই, তাহলে রোমান প্রজাতন্ত্র, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ দীর্ঘমেয়াদি গণতন্ত্র ছিল এবং প্রায় ৫০০ শতাব্দী স্থায়ী ছিল। আইনের শাসন এবং বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও ঐকমত্য (consensus) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিরাট সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তারপর হঠাৎ, জনগণ সংকট এবং কষ্টের সম্মুখীন হওয়ার পর, সমঝোতার শাসন ত্যাগ করে কর্তৃত্ববাদী কিছু ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে এই গণতন্ত্রের ধ্বংসকে ডেকে নিয়ে আসে। প্রধানত. মতৈক্য না থাকার কারণে, নানা বিভেদ, সংঘর্ষ ও বিপদ একের পর এক আসতে থাকে এবং সাম্রাজ্য ২৭ খ্রিষ্টপূর্বে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান

এই ক্রান্তিলগ্নে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রয়োজন বাংলাদেশে।

অত্যন্ত আবশ্যকীয় পরিবর্তনÑরাজনৈতিক নেতারা, রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা তৈরি ছাড়া বাস্তবায়িত হতে পারে না। যে অমূলক সংস্কার ও প্যারাডাইম শিফট এখন অত্যন্ত প্রয়োজন, তা কোনো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের দারা সম্ভব নয়, কারণ দলের স্বার্থ এই পরিবর্তনের পরিপন্থী হয়ে দাঁড়াবে। অতীত এর সাক্ষী।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত