হেজেমনি প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষায় বন্ধুহীন ‘সাম্প্রদায়িক’ ভারত

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ২৫

জোট নিরপেক্ষতা এবং সেক্যুলারিজমের বয়ান নিয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত যাত্রা শুরু করলেও, দক্ষিণ এশিয়ায় একচ্ছত্র হেজেমনি বিস্তারের এক অসুস্থ আকাঙ্ক্ষার ফলে এই অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ধর্মান্ধতার উন্মাদনায় কলুষিত হতে তেমন একটা সময় লাগে নাই। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে মুসলমান এবং শিখ জনগোষ্ঠী উপনিবেশ-উত্তর ইন্ডিয়ায় সবচেয়ে বেশি নিগ্রহের শিকার হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলে ১৯৮৪ সালের ১০ জুন ভারতীয় সেনাবাহিনী শিখ চরমপন্থিদের দমন করতে গিয়ে তাদের পবিত্রতম উপাসনালয়, পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে অভিযান চালালে মন্দিরে অবস্থানরত হাজারের ওপর শিখ ধর্মাবলম্বী নিহত হওয়ার পাশাপাশি, মন্দিরেরও যথেষ্ট ক্ষতি করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হলে ভারতজুড়ে ভয়াবহ শিখবিরোধী দাঙ্গা হয়। সেই দাঙ্গায় শুধু দিল্লিতেই প্রায় তিন হাজার শিখ নারী, পুরুষ ও শিশুকে দাঙ্গাবাজ হিন্দুরা নির্মমভাবে হত্যা করে। আজ পর্যন্ত শিখদের সেই ক্ষত শুকায়নি। ভারতের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংগঠন ‘র’ এখনো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিদ্রোহী শিখ নেতাদের ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করে যাচ্ছে।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর দিল্লির কংগ্রেস সরকারের মৌন সম্মতিতে বিজেপির নেতৃত্বে ঘোষণা দিয়ে, চরমপন্থি হিন্দুরা সারা ভারত থেকে অযোধ্যা শহরে একত্র হয়। সেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে, অজস্র দেশি-বিদেশি সংবাদকর্মীদের সামনে হাতুড়ি, ত্রিশূল, শাবল ইত্যাদি ব্যবহার করে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়। ১৫২৮ সালে নির্মিত মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা হওয়ার কারণে পৃথিবীর যে কোনো সভ্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল সেটিকে রক্ষা করা। মানবতার নিরিখে ভারতকে অবশ্য সভ্য রাষ্ট্রের কাতারে ফেলা কঠিন। মসজিদ ধ্বংস করেই উগ্র হিন্দুরা সেদিন শান্ত হয়নি। তারা সে বছর ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী জানুয়ারির মধ্যে হাজারের বেশি সংখ্যালঘু মুসলমানদের দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় হত্যা করে। ১৯৪৭ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত ভারতে কত হাজার মুসলমান নারী, পুরুষ এবং শিশু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হয়েছে, তার প্রকৃত হিসাব পাওয়া কঠিন। অভিযোগ আছে, ২০০২ সালের ভয়াবহ গুজরাট দাঙ্গায় মুসলমানদের পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মদত দিয়েছিলেন।

নরেন্দ্র মোদি যে দলের প্রধান, সেই বিজেপি আদর্শিক সংগঠন আরএসএস-এর গুরু গোলওয়াকার ১৯৪৭ সালের ৮ ডিসেম্বর দিল্লিতে ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘দুনিয়াতে এমন কোনো শক্তি নাই যা কি না মুসলমানদের ভারতে রাখতে পারবে। তাদের ভারত ছাড়তেই হবে। কোনো মুসলমান হিন্দুস্তানে আর বাকি থাকবে না।’ হিটলারের নাৎসিবাদে চ্যালা, গোলওয়াকার তার বইতে (We or Our Nationhood Defined, Madhav Sadashiv Golwaker) লিখেছেন যে, ‘মুসলমানদের সম্পূর্ণভাবে অস্তিত্ব ছেড়ে হিন্দু হয়ে যেতে হবে। ভারতে তাদের কোনো নাগরিক অধিকার দেওয়া হবে না।’ এর চেয়ে বিস্ময়কর আর কি হতে পারে যে, চরম সাম্প্রদায়িক, নাৎসিবাদী গোলওয়াকারের শিষ্য, ভারতীয় মুসলমানের রক্তে রঞ্জিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আজ বাংলাদেশকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জ্ঞান দিচ্ছে। গোলওয়াকারের শিষ্যরা এখন ভারতে তার মুসলমান নিধনের আদর্শ বাস্তবায়ন করছে। মুসলমানরা ভারতে এতটাই নির্যাতন ও বর্ণবাদের শিকার এবং অনিরাপদ যে, তাদের সে দেশে বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যের নানা অংশে থাকার জন্য ঘর কিংবা ব্যবসা করা জন্য দোকান পর্যন্ত কিনতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের বোঝা দরকার যে, একজন শাহরুখ কিংবা আমির ভারতে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করেন না। ক্রমেই হিটলারের আমলে জার্মানিতে ইহুদি সম্প্রদায়ের মতো ভারতে মুসলমানদের বস্তিবাসী (Ghetto) করা হচ্ছে। মুসলমানের ধর্মপালনে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেই ভারতের উগ্র হিন্দুরা থেমে নেই। তারা দেশটির বিভিন্ন অংশে বহু প্রাচীন মসজিদ এরই মধ্যে ভেঙে ফেলেছে এবং সর্বশেষ আজমির শরিফে অবস্থিত প্রখ্যাত সুফি হজরত মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.)-এর মাজারও ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। চরমপন্থিদের টার্গেটে রয়েছে কয়েক শ’ মসজিদ। ভারতের চরমপন্থি হিন্দুরা এত দিনে মধ্যযুগের সপ্তম আশ্চর্য তাজমহলও ধ্বংস করে দিত, যদি না সেখান থেকে পর্যটনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে ডলার, পাউন্ড, ইউরো আয় হতো।

কেবল মসজিদ ধ্বংসই নয়, মুসলমানদের নামাজ পড়তেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। দিল্লিতে নামাজরত মুসল্লিদের হিন্দু পুলিশের লাথি মারার দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। ভারতীয় মুসলমানদের দুর্দশা থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে আমাদের আধিপত্যবাদী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিদেশ নীতি এবার পর্যালোচনা করছি।

ভারতের চরম উগ্রবাদী অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রতিফলন দেশটির বিদেশ নীতিতেও পড়েছে। নেহরু, প্যাটেলের জমানা থেকেই ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় একচ্ছত্র হেজেমনি প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখছে। একমাত্র ভুটান এবং হাসিনার ১৫ বছরের শাসন আমলের বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশে ভারত তার হেজেমনিক আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ১৯৪৭ সাল থেকেই পাকিস্তান ভারতীয় হেজেমনিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসেছে। এমনকি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পর্যুদস্ত হওয়ার পরও ভারত প্রশ্নে পাকিস্তানের অনমনীয় নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরঞ্চ আণবিক বোমা এবং মিসাইল প্রযুক্তি হস্তগত হওয়ার ফলে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় প্রায় আড়াই দশক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে রেখেও দিল্লি ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রকে দখলে নিতে পারেনি। বরং রাজিব গান্ধীকে তামিল বিদ্রোহীদের আত্মঘাতী হামলায় জীবন দিয়ে তার মা ইন্দিরা গান্ধীর হঠকারী ও ভ্রান্ত শ্রীলঙ্কা নীতির মূল্য চোকাতে হয়েছে। সংখ্যাগুরু বৌদ্ধরা তো বটেই, এমনকি শ্রীলঙ্কার তামিলরাও ভারতকে এখন ঘৃণা করে। শ্রীলঙ্কার কাছের অপর ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ থেকেও নরেন্দ্র মোদিকে লজ্জাজনকভাবে পিছু হটতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু একটি মাত্র ইস্যু, ‘India Out’ ব্যবহার করে সাম্প্রতিক নির্বাচনে জিতেছেন। তার সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রবল প্রতাপশালী ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে মালদ্বীপ থেকে সরতে হয়েছে। মাত্র পাঁচ লাখ জনসংখ্যার দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্রতম দেশটির জনগণের সাহস ও দেশপ্রেম বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে।

এবার হিমালয়ের দিকে দৃষ্টি ফেরাই। ভুটানের বিপদের কথা আগেই উল্লেখ করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই রাষ্ট্রটি ভারতীয় হেজেমনির অধীন হয়ে রয়েছে। ব্রিটিশরা ১৯১০ সালে ভুটান রাজার সঙ্গে যে অধীনতামূলক ‘পুনাখা’ চুক্তি করেছিল, উপনিবেশ সমাপ্ত হলেও ভারত হিমালয়ের ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটিকে সেই অধীনতা থেকে আর মুক্ত হতে দেয়নি। আজ পর্যন্ত পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ে দিল্লিকে এড়িয়ে ভুটান স্বাধীনভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যার ফলে জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের কারও সঙ্গেই ভুটানের আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নেই। চীনকে ভুটান থেকে দূরে রাখার জন্যই ভারত এই বন্দোবস্ত করে রেখেছে। একই পদ্ধতিতে ভারতের নেপালকে কবজা করার চেষ্টা নেপালের দেশপ্রেমিক জনগণ বারবার প্রতিহত করেছে। কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয় সরকারের আমলেই দিল্লি অবরোধ আরোপের মাধ্যমে এই স্থলবেষ্টিত রাজ্যটিকে সায়েস্তা করতে চাইলেও নেপাল নতি স্বীকার করেনি। সর্বশেষ ২০১৫ সালের এপ্রিলে নেপালে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ১০ হাজার জন নিহত এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পর ভারত অত্যন্ত অমানবিকভাবে নেপালের ওপর সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে অবরোধ আরোপ করে। সেই অবরোধ ছয় মাস ধরে অব্যাহত থাকলে নেপালের প্রাকৃতিক দুর্যোগগ্রস্ত মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে বাধ্য হয়। হিন্দু সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র নেপালের জনগণের ওপর এমন অত্যাচার করতে হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার বিন্দুমাত্র দ্বিধাগ্রস্ত হয়নি। নেপালের হিন্দুদের প্রতি কোনো মমতা জাগ্রত হয়নি। আর আজ সেই ভারত সরকারই বাংলাদেশি হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অপচেষ্টা করছে। ভারতের এত চাপ সত্ত্বেও অদ্যাবধি নেপাল তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছে।

আমার আজকের লেখার সর্বশেষ আলোচনা আফগানিস্তান-ভারত সম্পর্ক নিয়ে। সেই ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগাভাগি থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ভারত সেই বিরোধ কাজে লাগিয়ে সাত দশক ধরে আফগানিস্তানের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানকে ঘিরে ফেলার জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান দখল করলে ভারতের সামনে এক মোক্ষম সুযোগ আসে। ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এ দুই দশকব্যাপী মার্কিন দখলদারিত্বের সময়কালে ভারত বাংলাদেশের মতোই আফগানিস্তানের প্রায় সব প্রদেশে গোয়েন্দা স্থাপনা গড়ে তোলে। ২০২১ সালের ৩০ আগস্ট তারিখে মার্কিন বাহিনী কাবুল ত্যাগ করলে সব ভারতীয় কূটনীতিক ও ‘র’-এর লোকজনকে তাদের গোয়েন্দা ‘Asset’ ফেলে রাতারাতি ভারতে পালিয়ে আসতে হয়। এর আগেও ১৯৯৬ সালে তালেবানরা প্রথমবার কাবুল দখল করলে একইভাবে ভারতীয়দের পালিয়ে আসতে হয়েছিল। ২০২২ থেকে দিল্লি কাবুলের বর্তমান শাসকদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভারত ছাড়া সার্কের বাকি সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা সাত। এই সাত দেশের মধ্যে ভুটান ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন। পাকিস্তান এবং ভারত জন্ম থেকেই বৈরী। দখলদার সৈন্যমুক্ত আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখনো অনির্ধারিত। তবে তালেবানদের বিরুদ্ধে ভারতের বিজেপিপন্থি মিডিয়া সর্বদাই উচ্চকণ্ঠ। তালেবানরাও ভারতের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছে।

শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের জনগণ ভারতীয় আগ্রাসনের শিকার। মালদ্বীপের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভারতপন্থি প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। সুতরাং সে দেশের জনগণের ভারতের প্রতি মনোভাব আমরা বুঝতে পারি। বাংলাদেশে ভারতের পুতুল, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে জুলাই বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দিল্লিতে পালাতে হয়েছে। ভারত এবং হাসিনা মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বের নানা অঞ্চলে প্রভাবশালী ও তুলনামূলকভাবে বৃহৎ রাষ্ট্র রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ আফ্রিকায় দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইন্দোনেশিয়া, ইউরোপে জার্মানি ও ফ্রান্স এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের উল্লেখ করা যেতে পারে। এসব অঞ্চলে কোথাও ভারতের মতো এমন তীব্র হেজেমনিক পররাষ্ট্রনীতি পোষণ করা দাম্ভিক দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রতিবেশী পাল্টানো যায় না- এটাই বোধহয় আমাদের দুর্ভাগ্য।

বিষয়:

আমার দেশ
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত