ড. সোহেল মিয়া
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্প খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত পোশাকশিল্প, চামড়া, ইলেকট্রনিকস, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন খাতে লাখ লাখ শ্রমিক সরাসরি জড়িত। কিন্তু শিল্প খাতের বিকাশ ও টেকসই উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়গুলোর একটি হলো শ্রমিক অসন্তোষ। এই অসন্তোষ কখনো বেতন-ভাতা নিয়ে, কখনো নিরাপত্তাহীনতা বা শ্রমঘণ্টা-সংক্রান্ত, আবার কখনো অমানবিক আচরণ কিংবা গণছাঁটাইকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা অসন্তোষ কখনো কখনো বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রায়ই দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হঠাৎ করে সড়কে নেমে আসে, কর্মবিরতি ও উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, এমনকি কখনো কখনো সহিংস ঘটনাও ঘটে। এর ফলে শিল্প উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে, শ্রমিকদের মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীর আস্থা হারায়। এই প্রেক্ষাপটে ট্রেড ইউনিয়নের গঠনমূলক ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।
ট্রেড ইউনিয়নের মূল কাজ হলো শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা এবং মালিক পক্ষের সঙ্গে একটি ন্যায্য সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করা। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে ইউনিয়ন হতে পারে শ্রমিকদের কণ্ঠস্বর, ন্যায্য দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ মাধ্যম এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নের কার্যকর সেতুবন্ধ। তবে বাংলাদেশের শিল্প খাতে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত, বিতর্কিত বা দলীয় রাজনীতির প্রভাবে প্রভাবিত। এই বাস্তবতায় ইউনিয়ন যদি গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে, তাহলে তা শ্রমিক অসন্তোষ হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।
অনেক সময় শ্রমিকরা জানেই না কীভাবে তাদের সমস্যা তুলে ধরতে হয় বা আইনি পদ্ধতি কী। এখানে ইউনিয়ন একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারে শ্রমিকদের নেতৃত্বে দক্ষ, স্বচ্ছ ও প্রশিক্ষিত প্রতিনিধি গড়ে তোলে। যে নেতারা শ্রমিকদের সত্যিকারের প্রতিনিধি হবেন, তারা অসন্তোষ তৈরি হওয়ার আগেই মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
শ্রমিক অসন্তোষ যখন গঠনের পথে, তখন একটি কার্যকর ট্রেড ইউনিয়ন মালিক পক্ষ, প্রশাসন ও শ্রমিকদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে পারে। ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো জটিল সমস্যাও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান সম্ভব হয়, যদি ইউনিয়ন পক্ষদ্বয়কে আস্থায় নিতে পারে। এখানে শ্রম মন্ত্রণালয় বা শিল্প পুলিশকেও ইউনিয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হবে।
শ্রম আইন সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ট্রেড ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদি শ্রমিকরা জানেন কোনটি তাদের অধিকার এবং কীভাবে তা দাবি করতে হয়, তাহলে তারা হঠাৎ করে রাস্তায় না নেমে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। প্রতিবাদ শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও তা হওয়া উচিত নিয়ন্ত্রিত, শান্তিপূর্ণ ও আইনানুগ। ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের শেখাতে পারে কীভাবে উৎপাদন বন্ধ না করেও কার্যকর প্রতিবাদ করা যায়।
আধুনিক ট্রেড ইউনিয়নের উচিত শুধু দাবি-দাওয়ায় সীমাবদ্ধ না থেকে প্রযুক্তিনির্ভর তথ্য ও গবেষণার ভিত্তিতে সমস্যার প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করা। এতে তারা মালিক ও সরকারকে গঠনমূলক প্রস্তাব দিতে পারবে, যা একদিকে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষা করবে, অন্যদিকে অসন্তোষ প্রতিরোধে কার্যকর রোডম্যাপ গড়বে।
অনেক ইউনিয়ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবাধীন হয়ে পড়ে, ফলে তারা শ্রমিক স্বার্থের চেয়ে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেশি মনোযোগী হয়, যা শ্রমিক-মালিক সম্পর্ককে আরো উত্তপ্ত করে তোলে। মালিক পক্ষ অনেক সময় ইউনিয়ন নেতাদের বিরোধী পক্ষ হিসেবে দেখে সহযোগিতার পরিবর্তে প্রতিরোধমূলক মনোভাব পোষণ করেন। এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে না পারলে ট্রেড ইউনিয়নের সম্ভাব্য গঠনমূলক ভূমিকা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সে জন্য ট্রেড ইউনিয়ন ব্যবস্থায় একটি কাঠামোগত ও সমন্বিত সংস্কার অত্যাবশ্যক। এ জন্য সরকারকে নিরপেক্ষভাবে ইউনিয়ন গঠনে সহায়তা করতে হবে, যাতে শ্রমিকরা স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। দ্বিতীয়ত, শ্রম মন্ত্রণালয় ও শিল্প পুলিশের উচিত ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় এবং যোগাযোগ রক্ষা করা, যাতে যেকোনো সমস্যার আগেই যৌথভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া যায়। তৃতীয়ত, ইউনিয়ন নেতাদের জন্য পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, যাতে তারা আইনগত জ্ঞান, আলোচনার কৌশল এবং তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। একই সঙ্গে, শিল্প মালিকদেরও তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে—ইউনিয়নকে বিরোধী শক্তি নয়, বরং যৌথ স্বার্থে কাজ করা অংশীদার হিসেবে দেখতে হবে। এই চারটি কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে ট্রেড ইউনিয়ন হবে শ্রমিক-মালিক-সরকারের মধ্যে একটি কার্যকর সেতুবন্ধ, যা শিল্প খাতে স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করবে।
শিল্প খাতে শ্রমিক অসন্তোষ একটি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ। একে শুধু দমন বা দোষারোপ করে সমাধান করা সম্ভব নয়। ট্রেড ইউনিয়ন যদি শ্রমিকদের প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল, যুক্তিবাদী এবং কৌশলী আচরণ করে, তাহলে শ্রমিক অসন্তোষের অনেক কারণই উৎপত্তির আগেই রোধ করা সম্ভব। গঠনমূলক ও আধুনিক ট্রেড ইউনিয়ন চর্চা হলে শিল্প খাত পাবে স্থিতিশীলতা, উৎপাদন পাবে গতি আর দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে আরো দৃঢ়ভাবে।
লেখক : শ্রম সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্প খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত পোশাকশিল্প, চামড়া, ইলেকট্রনিকস, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন খাতে লাখ লাখ শ্রমিক সরাসরি জড়িত। কিন্তু শিল্প খাতের বিকাশ ও টেকসই উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়গুলোর একটি হলো শ্রমিক অসন্তোষ। এই অসন্তোষ কখনো বেতন-ভাতা নিয়ে, কখনো নিরাপত্তাহীনতা বা শ্রমঘণ্টা-সংক্রান্ত, আবার কখনো অমানবিক আচরণ কিংবা গণছাঁটাইকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা অসন্তোষ কখনো কখনো বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রায়ই দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হঠাৎ করে সড়কে নেমে আসে, কর্মবিরতি ও উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, এমনকি কখনো কখনো সহিংস ঘটনাও ঘটে। এর ফলে শিল্প উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে, শ্রমিকদের মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীর আস্থা হারায়। এই প্রেক্ষাপটে ট্রেড ইউনিয়নের গঠনমূলক ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।
ট্রেড ইউনিয়নের মূল কাজ হলো শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা এবং মালিক পক্ষের সঙ্গে একটি ন্যায্য সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করা। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে ইউনিয়ন হতে পারে শ্রমিকদের কণ্ঠস্বর, ন্যায্য দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ মাধ্যম এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নের কার্যকর সেতুবন্ধ। তবে বাংলাদেশের শিল্প খাতে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত, বিতর্কিত বা দলীয় রাজনীতির প্রভাবে প্রভাবিত। এই বাস্তবতায় ইউনিয়ন যদি গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে, তাহলে তা শ্রমিক অসন্তোষ হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।
অনেক সময় শ্রমিকরা জানেই না কীভাবে তাদের সমস্যা তুলে ধরতে হয় বা আইনি পদ্ধতি কী। এখানে ইউনিয়ন একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারে শ্রমিকদের নেতৃত্বে দক্ষ, স্বচ্ছ ও প্রশিক্ষিত প্রতিনিধি গড়ে তোলে। যে নেতারা শ্রমিকদের সত্যিকারের প্রতিনিধি হবেন, তারা অসন্তোষ তৈরি হওয়ার আগেই মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
শ্রমিক অসন্তোষ যখন গঠনের পথে, তখন একটি কার্যকর ট্রেড ইউনিয়ন মালিক পক্ষ, প্রশাসন ও শ্রমিকদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে পারে। ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো জটিল সমস্যাও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান সম্ভব হয়, যদি ইউনিয়ন পক্ষদ্বয়কে আস্থায় নিতে পারে। এখানে শ্রম মন্ত্রণালয় বা শিল্প পুলিশকেও ইউনিয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হবে।
শ্রম আইন সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ট্রেড ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদি শ্রমিকরা জানেন কোনটি তাদের অধিকার এবং কীভাবে তা দাবি করতে হয়, তাহলে তারা হঠাৎ করে রাস্তায় না নেমে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। প্রতিবাদ শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও তা হওয়া উচিত নিয়ন্ত্রিত, শান্তিপূর্ণ ও আইনানুগ। ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের শেখাতে পারে কীভাবে উৎপাদন বন্ধ না করেও কার্যকর প্রতিবাদ করা যায়।
আধুনিক ট্রেড ইউনিয়নের উচিত শুধু দাবি-দাওয়ায় সীমাবদ্ধ না থেকে প্রযুক্তিনির্ভর তথ্য ও গবেষণার ভিত্তিতে সমস্যার প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করা। এতে তারা মালিক ও সরকারকে গঠনমূলক প্রস্তাব দিতে পারবে, যা একদিকে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষা করবে, অন্যদিকে অসন্তোষ প্রতিরোধে কার্যকর রোডম্যাপ গড়বে।
অনেক ইউনিয়ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবাধীন হয়ে পড়ে, ফলে তারা শ্রমিক স্বার্থের চেয়ে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেশি মনোযোগী হয়, যা শ্রমিক-মালিক সম্পর্ককে আরো উত্তপ্ত করে তোলে। মালিক পক্ষ অনেক সময় ইউনিয়ন নেতাদের বিরোধী পক্ষ হিসেবে দেখে সহযোগিতার পরিবর্তে প্রতিরোধমূলক মনোভাব পোষণ করেন। এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে না পারলে ট্রেড ইউনিয়নের সম্ভাব্য গঠনমূলক ভূমিকা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সে জন্য ট্রেড ইউনিয়ন ব্যবস্থায় একটি কাঠামোগত ও সমন্বিত সংস্কার অত্যাবশ্যক। এ জন্য সরকারকে নিরপেক্ষভাবে ইউনিয়ন গঠনে সহায়তা করতে হবে, যাতে শ্রমিকরা স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। দ্বিতীয়ত, শ্রম মন্ত্রণালয় ও শিল্প পুলিশের উচিত ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় এবং যোগাযোগ রক্ষা করা, যাতে যেকোনো সমস্যার আগেই যৌথভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া যায়। তৃতীয়ত, ইউনিয়ন নেতাদের জন্য পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, যাতে তারা আইনগত জ্ঞান, আলোচনার কৌশল এবং তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। একই সঙ্গে, শিল্প মালিকদেরও তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে—ইউনিয়নকে বিরোধী শক্তি নয়, বরং যৌথ স্বার্থে কাজ করা অংশীদার হিসেবে দেখতে হবে। এই চারটি কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে ট্রেড ইউনিয়ন হবে শ্রমিক-মালিক-সরকারের মধ্যে একটি কার্যকর সেতুবন্ধ, যা শিল্প খাতে স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করবে।
শিল্প খাতে শ্রমিক অসন্তোষ একটি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ। একে শুধু দমন বা দোষারোপ করে সমাধান করা সম্ভব নয়। ট্রেড ইউনিয়ন যদি শ্রমিকদের প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল, যুক্তিবাদী এবং কৌশলী আচরণ করে, তাহলে শ্রমিক অসন্তোষের অনেক কারণই উৎপত্তির আগেই রোধ করা সম্ভব। গঠনমূলক ও আধুনিক ট্রেড ইউনিয়ন চর্চা হলে শিল্প খাত পাবে স্থিতিশীলতা, উৎপাদন পাবে গতি আর দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে আরো দৃঢ়ভাবে।
লেখক : শ্রম সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
৮ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
৮ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
৮ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
১ দিন আগে