দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে খুলনা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনা একটু পুরোনো হলেও, এর মধ্য দিয়ে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের একটা প্রকাশ্য রূপ আমাদের চোখে পড়ছে, যা কেউ ভাবেনি। বিশেষ করে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধ থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করার বিপরীতে এ ঘটনাটা সচেতন মহলকে বিস্মিত করেছে। সেই বৈঠক জাতীয় জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছিল। তাই মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে কুয়েটের এই রক্তাক্ত সংঘাত কারো কাছেই কাম্য ছিল না। বিশেষ করে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি না করার ঐতিহ্য ভেঙে ছাত্রলীগের মতোই তৎপরতা এবং অতঃপর রক্তাক্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা দেশের মানুষ নানাভাবে দেখার চেষ্টা করছে। অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে ধারালো চাপাতি হাতে সংঘর্ষে অংশ নেওয়া যুবককে যুবদল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা অভিযোগের সত্যতাও প্রমাণিত হয়। তারপরও অনেক কথা থেকে যায়।
মাত্র ছয় মাসের মাথায় এ রকম একটি দৃশ্য দেখতে হবে, তা আমরা কল্পনায়ও ভাবিনি। ভিডিও ফুটেজ ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত স্থির ছবি দেখে মনে হলো, আমরা যেন জুলাইতে ফিরে গেছি, যেখানে ফ্যাসিস্টরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। ঝরাচ্ছে রক্ত। তাদের হাতেও ছিল বন্দুক, পিস্তলসহ দেশীয় সব অস্ত্র। আর এদের হাতে শুধু আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া আর সবই ছিল। এটা হচ্ছে ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের চিত্র। এ দৃশ্য দেখে মনে হলো, আমরা কি আরেকটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছি? কারণ কুয়েট ঘটনার মধ্য দিয়ে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের একটা প্রকাশ্য রূপ চোখে পড়ছে, যা কেউ ভাবেনি।
অথচ কদিন আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের’ প্রথম বৈঠকে রাজনীতিবিদরা একত্র হয়ে ঐক্যের জয়গান গেয়ে জাতীয় জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তাই মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে কুয়েটের এই রক্তাক্ত সংঘাত কারো কাছেই কাম্য ছিল না। বিশেষ করে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি না করার ঐতিহ্য ভেঙে ছাত্রলীগের মতোই তৎপরতা, অতঃপর রক্তাক্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা দেশের মানুষ নানাভাবে দেখার চেষ্টা করছে। অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে ধারালো চাপাতি হাতে সংঘর্ষে অংশ নেওয়া যুবককে যুবদল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা অভিযোগের সত্যতাও প্রমাণিত হয়। তারপরও অনেক কথা থেকে যায়।
মূলত এত দিন ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যকার যেসব দ্বন্দ্ব বক্তৃতা-বিবৃতি ও টেবিল আলোচনায় সীমাবদ্ধ ছিল, তা কুয়েট সংঘাতের মাধ্যমে জনসম্মুখে স্পষ্ট হয়ে উঠল। জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে জড়িত এই পক্ষগুলো পরস্পর সংঘাতে লিপ্ত হয়ে পড়লে কারা লাভবান হবে, সেই হিসাব-নিকাশও করার সময় এসে গেছে। সম্ভবত এ ধরনের আত্মঘাতী সংঘাতে ওই তিনপক্ষের কাউকেই লাভবান করবে না। বরং এ ধরনের সংঘাতকে বিপ্লবীদের মধ্যকার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার দ্বন্দ্ব হিসেবেও অনেকে দেখার চেষ্টা করছেন, যা কার্যত বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দিতে পারে।
সবাইকে এটা গভীরভাবে ভাবতে হবে, রাজনীতি হচ্ছে বুদ্ধিমত্তা ও গণিতের সমন্বয়। এ ক্ষেত্রে ভুল হলে নিদারুণভাবে পস্তাতে হবে। তা ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের যুগে ক্যাম্পাস দখলের ৮০ ও ৯০-এর দশকের সেই সংঘর্ষ, সংঘাতের রাজনীতিও এখন অচল। সুতরাং, এখনই সবপক্ষকে সতর্ক হওয়া দরকার। আর সতর্ক হওয়ার জন্য দরকার ভুলগুলো শুধরানো। সেই সঙ্গে কিছু প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতে হবে, যা আমাদের সংকট উত্তরণের পথ দেখিয়ে দেবে।
প্রথমত, কোনো ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কী থাকবে না, তা কোনো একটি পক্ষ চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় না। এ ব্যাপারে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সবপক্ষের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই হতে হবে। কারণ এই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন করা। তাই কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঐকমত্য থাকতে হবে। আর পরস্পরকে শত্রু ভেবে তা অর্জন করা সুদূরপরাহত।
দ্বিতীয়ত, ঘটনাপ্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে, সবাই ক্ষমতার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে মহান হওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ এখন সে সময় নয়। আর অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে মহান হওয়াও যায় না। এখন সময় হচ্ছে একতাবদ্ধ থাকা। একে অন্যকে দোষারোপ করার গেম থেকে বেরিয়ে আসা। নিজেদের কৃতিত্ব ও গৌরবের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে অন্যদের ওপর দোষ চাপানো কর্তৃত্ববাদেরই নামান্তর। আওয়ামী লীগ যেমন ৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখা অন্য সবার গৌরবকে কুক্ষিগত করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিল; তেমনিভাবে যদি জুলাই বিপ্লবীরা ভাবতে থাকে, তাহলে সেটা হবে মারাত্মক এক ভুল, যার খেসারত দিতে হবে পুরো জাতিকে।
তৃতীয়ত, আগামীতে যে দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সে দলের নেতাকর্মীরা সবকিছুতে তাড়াহুড়ো অনুভব করছেন কেন? আমি ছাত্রদলের কথা বলছি। কেন তারা ধৈর্যহারা হয়ে পড়েছে? তাদের এখন কাজ হচ্ছে জনগণের ভেতর আস্থা ফিরিয়ে আনা, যে আস্থা আওয়ামী লীগের নিবর্তনমূলক শাসনামলে হারিয়ে গিয়েছিল।
চতুর্থত, কুয়েটে ছাত্রদলের কর্মীরা যদি ক্যাম্পাসে ঢুকে লিফলেট বিলির মতো রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে থাকেন, তাহলে সে ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ না খুঁজে বলপূর্বক তাদের বের করে দেওয়ার পথ কেন বেছে নিলে? এটার পেছনে কি ছাত্রদলকে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিসন্ধি লুকিয়ে ছিল? তাদের উচিত ছিল দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে সংঘর্ষের সামান্যতম সুযোগ সৃষ্টি করতে না দেওয়া। আজ এ কথা সত্য, ১৯৭৯ সালে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সংগঠনটি বিগত ৪৬ বছরের মধ্যে ৩২ বছরই সম্পূর্ণ বিরূপ পরিবেশে রাজনীতি করেছে।
এই ৩২ বছরের মধ্য জেনারেল এরশাদের ৯ বছর, শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের পাঁচ এবং দ্বিতীয় দফায় টানা ১৫ বছর ও ওয়ান-ইলেভেনের দুই বছর। এ সময় তারা জেল-জুলুমসহ চরম নিপীড়নের শিকার হয়েছে। আবার অন্যদিকে বিগত জুলাই বিপ্লবেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের জীবনবাজি রাখা অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। ওই বিপ্লবে বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। সুতরাং, বর্তমান জটিল ও কঠিন সময়কালে সমঝোতার পথ পরিহার করে শুধু ছাত্রদলকে শত্রু ভাবার বিষয়টি সুদূরপ্রসারী কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, তাও ভেবে দেখতে হবে।
তবে দেশের সর্ববৃহৎ এবং অভিজ্ঞ ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদল নেতাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। তাদের ধৈর্যের ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনের গণতান্ত্রিক ও মানবিক নতুন বাংলাদেশ গঠনের সফলতা। কিন্তু তারা ধৈর্য ধারণ না করে কেন বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে আক্রমণমুখী হলো? অথচ ছাত্রসংগঠন হিসেবে বহিরাগতদের নিয়ে এ ধরনের আক্রমণ দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ, যেটা জুলাই বিপ্লবের শুরুতে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে করেছিল। তারা বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় সারাদেশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই ধারণা জন্মায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছাত্রলীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। যার কারণে সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা একযোগে রাস্তায় নেমে পড়তে সামান্য দ্বিধা করেননি।
পঞ্চম, কুয়েট ঘটনার পেছনে গুপ্ত প্ররোচকদের হাত রয়েছে কি নাÑসেটাও ভেবে দেখার বিষয়, যা কোনোপক্ষই বুঝতে পারেনি। আর এ ধরনের ‘গুপ্ত প্ররোচক’ যেকোনো সংগঠনে থাকতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। যেমনÑরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, পতিত ফ্যাসিস্টরা এমন একটা রক্তাক্ত সংঘাত চাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের মন থেকে জুলাইয়ের নিষ্ঠুরতা মুছিয়ে দেবে। তারা তো হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো উবে যায়নি। তারা আশপাশেই আছে। তা ছাড়া তাদের কাছে আছে হাজার হাজার কোটি টাকা।
ষষ্ঠ, এদিকে মোদ্দা কথা হলোÑপুরোনো ও অভিজ্ঞ একটি ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদলের কাছ থেকে মানুষ আরো বেশি ধৈর্যশীলতা ও দক্ষতার ছাপ দেখতে চান। কেন ছাত্রদল নেতারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারলেন নাÑএ প্রশ্নও অনেকের মনে উঁকি দিচ্ছে। নিশ্চয় অনেকের মনে আছে সেই দিনটার কথা। সেটা ছিল ১৯৭৮ সালের ২৬ অক্টোবরের ঘটনা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক প্রশাসক জিয়াউর রহমান যাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি চ্যান্সেলর হিসেবে শিক্ষকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সকালে যথাসময়ে তিনি টিএসসির সামনে পৌঁছালে ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। তিনি দেখেন, ছাত্রছাত্রীরা কালো পতাকা প্রদর্শন করছেন এবং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা রাষ্ট্রপতিকে ফিরে যেতে বলছেন। রোকেয়া হলের সামনে মেয়েরা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির সামনে ছেলেরা মিছিলে স্লোগানে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ে উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জিয়া ছিলেন শান্ত, নিরুদ্বিগ্ন। তিনি প্রথমে এগিয়ে গেলেন রোকেয়া হলের সামনে ছাত্রীদের কাছে। রাষ্ট্রপতি ছাত্রীদের উদ্দেশে বললেন, কী চাও তোমরা। তারা এভাবে রাষ্ট্রপতিকে দেখতে পেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন, হারিয়ে ফেলেন বাকশক্তি। তারা রাষ্ট্রপতিকে আর কিছু বলেননি।
এরপর রাষ্ট্রপতি জিয়া লাইব্রেরির দিকে যান। ছেলেরা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বলছিলেন রাষ্ট্রপতিকে ফিরে যেতে। ছুড়ছিলেন ঢিল। গায়ে ছুড়ে দিয়েছিলেন বালু। ধাক্কা পর্যন্ত দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তারক্ষীরা ধৈর্যের শেষ সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আগের মতোই ছিলেন শান্ত; কিন্তু অবিচল। এ অবস্থায় ছাত্ররা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। রাষ্ট্রপতি তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে নিয়ে সভাস্থল টিএসসিতে উপস্থিত হন। ওখানে উপস্থিত শিক্ষকরা এ দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান। এ ঘটনা সম্পর্কে পরে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন চমৎকার একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন।
যাই হোক, ৭২-৭৫ আওয়ামী লীগের নিবর্তনমূলক কঠিন শাসনের পর একজন সামরিক শাসকের এই উদারতা ছাত্রসমাজ তথা তরুণদের মনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। যার ফলে ছাত্রদলের বিকাশ ঘটেছিল দ্রুতগতিতে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে এই দৃষ্টান্ত সবার জন্য তো বটেই, বিশেষ করে ছাত্রদলের জন্য আরো বেশি শিক্ষণীয় হওয়া উচিত।
পরিশেষে এটা জোর দিয়ে বলতে পারি, জুলাই বিপ্লবের তরুণ বিপ্লবীরা যদি সমঝোতার পথ পরিহার করে পরস্পরকে অভিযুক্ত করার পথে হাঁটতে থাকেন; তাহলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক

